পোস্টগুলি

মানবতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি আছি সবার মাঝে

ছবি
আমি আছি সবার মাঝে আমি আছি সবার মাঝে। সকালবেলায় যখন শহর ঘুম ঘুম চোখ মেলে, আমি হাঁটি মানুষের মুখের ভিড়ে। সন্ধ্যায় যখন সবাই ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরে, আমি দাঁড়িয়ে থাকি সেইসব মুখগুলোর পাশে— যাদের ঘরে আলো জ্বলে না, যারা ভালোবাসা বোঝে, অথচ ভালোবাসা পায় না। আমি দল বুঝি না, জাত বুঝি না, আমি শুধু মানুষ বুঝি। আমি কারও ধর্ম দেখি না, দেখি তার চোখে থাকা অশ্রু। আমি কারও পরিচয় জিজ্ঞেস করি না, জিজ্ঞেস করি— ‘তোমার কিছু লাগবে?’ দুঃখ পাই যখন কারো কান্না শুনি। মনে হয় যদি পারতাম, সেই কান্নাকে মুছে দিতে। অর্থ নেই হাতে, কিন্তু থাকলে আমি এক মুহূর্ত দেরি করতাম না। আমি দিতে চাইতাম, খোলা হাতে— আশ্রয়হীনকে আশ্রয়, ক্ষুধার্তকে খাদ্য, ক্লান্ত পথিককে একটু পানি, বৃদ্ধকে একটু সাহচর্য। কেউ যখন চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার ধারে, আমি বুঝি, সে কোনো কিছু বলার অপেক্ষায় আছে। একটা ভালোবাসার শব্দ, একটা নির্ভরতার স্পর্শ— অনেক সময় সেটাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আমি চাই না বিখ্যাত হতে, চাই না বড় কিছু হত...

নিজেদের শান্তির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তাকে অশান্তিতে রাখা

ছবি
আমার ঠাকুরদার সংসারে সন্তান ছিল মাত্র তিনজন—তিন ছেলে। তাদের মধ্যে যিনি সবার বড়, তিনিই আমার বাবা। আর বাকী দুজন ছিলেন আমার বাবার ছোট ভাই, অর্থাৎ আমার মেজো কাকা ও ছোট কাকা। এখন হয়তো তাঁদের কেউ-ই আর বেঁচে নেই। আমার বাবার সংসারে আমরা ছিলাম ছয় ভাই-বোন—দুই ভাই ও চার বোন। ছোটবেলায় আমাদের মধ্যে হরহামেশাই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। কখনো কখনো সেটা রীতিমতো হাতাহাতিতে গড়াত। বাবা আমাদের থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতেন। জোর করে আলাদা করতেন, বোঝাতেন, কিন্তু তবুও যখন আমাদের থামানো যেত না, তখন তিনি চুপচাপ বাড়ির উঠোনে বসে পড়তেন। আমি আজও ভুলতে পারিনি সেই দৃশ্য— বাবা কপালে হাত রেখে চোখের জল ফেলে বুক ভাসাতেন। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলতেন: > “ওরে তোরা ঝগড়া করিস না! আমার ভালো লাগে না! তোদের এই অশান্তি আমি আর সইতে পারছি না! হে দয়াল, আমাকে মৃত্যু দাও!” সেই সময় আমরা, শিশুমনে, বাবার সেই কান্নার গভীরতা বুঝতে পারিনি। কিন্তু আজ, যখন বাবা নেই, বড়দাদা নেই, বড়দিদিও নেই—তখন নির্জনে বসে ভাবি, সেই সময় বাবা কেন কেঁদেছিলেন? বুঝি, তিনি কাঁদতেন আমাদের মধ্যে শান্তি না দেখে, পরিবারের ভেতরে ভাঙন দেখে, ভালোবাসার অভাব দেখে। আজ এই...

সূর্যকে করেছিলাম দুটি প্রশ্ন!

ছবি
🔆 প্রশ্ন ও উত্তর 🔆 মহান স্রষ্টা নিরাকার। আমরা দুই, দু’য়েতে একাকার । শুধু পৃথিবীর মাঝেই দেখি যত হাহাকার ,  অত্যাচার  অবিচার । তা দেখে মহান স্রষ্টা হতবাক নির্বিকার ! তিনি বলে— "জানি না তোমাদের মাঝে কিসের এতো অহংকার !" প্রশ্ন: তুমি কেন পাপি-তাপীদের মাঝে সমানভাবে তোমার আবির মাখা আলো বিতরণ করছো? আমাদের সমাজপতিরা তো তাঁদের ক্ষমতা বলে নিজেদেরই আখের গোছায়। উত্তর: আমার কাজ আলো বিতরণ করা। কে পাপী , কে তাপী , তার হিসাব না করা। পাপ করে যাঁরা সজা পাবে তাঁরা। পূণ্য করবে যাঁরা, সুখ পাবে তাঁরা। আমার কাজ সুষ্ঠু বিতরণ । আমাদের মহান স্রষ্টা করেছে বারণ । কোরো না কারোর অধিকার হরণ । আর তোমারা জীবের সেরা মানুষ হয়েও করছো অসুরের রূপধারণ । বুঝি না এর কী কারণ ! — নিতাই বাবু ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু একজন জননন্দিত কবি, ব্লগার ও সমাজসচেতন লেখক। নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিক নাগরিক সমস্যা, ভাষাচর্চা ও দর্শনভিত্তিক রচনার জন্য তিনি পরিচিত। bdnews24 ব্লগে তাঁর লেখাগুলো পাঠকের মন ছুঁয়ে যায় গভীরভাবে। 📤 শে...

সৃষ্টিকর্তা একজন

ছবি
✨ সৃষ্টিকর্তা একজন ✨ কতো ধর্মের কতো মানুষ সৃষ্টিকর্তা হলো একজন, ধর্ম হোক ভিন্ন ভিন্ন মানুষ মানুষের আপনজন। তুমি রাজা আমি প্রজা পার্থক্য শুধু এখানে, মৃত্যুর পরে চলে যাবো আমরা সবাই একস্থানে। কেউ খাচ্ছে কোরমা পোলাও কেউ পঁচা পান্তাভাত, কেউ ঘুমায় লেপ তোষকে কেউ জাগে রাত। কেউ থাকে দালান কোঠায় কেউ থাকে রাস্তায়, সবার দিনই যাচ্ছে চলে সবারই রাত পোহায়। আমি গরিব তুমি ধনী রক্তের বর্ণ একরকম, মানবজাতির হাসি কান্না হয়না তো দুইরকম! কেউ বলে আল্লাহ রসূল কেউ বলে ভগবান, কেউ বলে গড ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা বড়ই মহান। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) — একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্লগার, যিনি bdnews24.com-এর ব্লগ প্ল্যাটফর্মে লেখেন। তিনি সমাজ, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত। তাঁর কলমে উঠে আসে জীবন, যৌবন ও যন্ত্রণার নিখুঁত চিত্র। 📘 ফেসবুকে লেখক: fb.com/srinitai.srinitai ...

পৃথিবীটা গোল

ছবি
🌍 পৃথিবীটা গোল পৃথিবীটা গোল, তাইতো এতো হট্টগোল। চারদিকে চিৎকার, কান্নার রোল, দেশে দশে বাজছে যুদ্ধের ডামাডোল! পৃথিবীটা গোলাকার, তাইতো দেখি চারদিকে হাহাকার। আশ্রয়হীনের আর্তনাদ, ক্ষুধার্তের চিৎকার, স্বদেশহারা শরণার্থীদের বুকফাটা আর্তচিৎকার! পৃথিবীটা ঘূর্ণায়মান, তবু কেন থেমে যায় মানবতার গান? বুকের ভিতর জমে ওঠে শত অভিমান, শান্তির নামে চলে রক্তাক্ত অভিযান। পৃথিবীটা ঘোরে, তবু বাঁচে না কাতর মায়ের চোখের কোণে ঘোরে। ক্ষমতার লোভে গড়ে বন্দুকের পাহাড় চূড়ে, অভাগাদের স্বপ্ন ভেঙে পড়ে মৃত্যু কবরের গহ্বরে। পৃথিবীটা ঘোরে ঠিকই, তবু হৃদয় যেন চিরদিনই অধিকারহীন একদিক! তবু কিছু শিশু আজও গায় নতুন দিনের সঙ্গীত, ভালোবাসা আর মানবতা হোক এই ধরণীর একমাত্র ঐশ্বরিক শক্তি চিরস্থায়ী নীত! ✍️ নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, কবি ও সমাজসচেতন লেখক। bdnews24 ব্লগ -এ ‘নিতাই বাবু’ নামে লেখালেখি করেন বহু বছর ধরে। তাঁর লেখায় উঠে আসে শৈশব, গ্রামীণ জীবন, নারায়ণগঞ্জ শহর ও শীতলক্ষ্যার আত্মজ স্মৃতি...