পোস্টগুলি

দেবতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার — প্রতীকী না বাস্তব?

ছবি
  হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার প্রসঙ্গ | নিতাই বাবু 💫 হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার প্রসঙ্গ হিন্দুধর্মে দেব-দেবীদের কাহিনি মূলত পুরাণ ও শাস্ত্রে বর্ণিত। সেখানে দেবতাদের মানবীয় রূপ, চরিত্র, আবেগ, এমনকি বিয়ে ও সংসার করার বিষয়ও পাওয়া যায়। যেমন— মহাদেবের পত্নী দুর্গা/পার্বতী , নারায়ণের পত্নী লক্ষ্মী , আবার ব্রহ্মার পত্নী সরস্বতী । 📖 প্রতীকী ব্যাখ্যা দেবতাদের বিয়ে-সংসারকে আক্ষরিক অর্থে না দেখে প্রতীকী অর্থে বুঝতে হয়। হিন্দু দর্শনে প্রতিটি দেবতা কোনো মহাজাগতিক শক্তির প্রতিরূপ , আর তাদের পত্নী অন্য এক শক্তির প্রতীক। যেমন— শিব = সংহার ও তপস্যার প্রতীক, পার্বতী = শক্তি ও মাতৃত্বের প্রতীক। বিষ্ণু = সংরক্ষণের প্রতীক, লক্ষ্মী = সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ব্রহ্মা = সৃষ্টির প্রতীক, সরস্বতী = জ্ঞান ও বিদ্যার প্রতীক। অর্থাৎ দেবতা-পত্নী সম্পর্ক আসলে পুরুষ ও প্রকৃতির মিলন , যা সৃষ্টি, পালন ও সংহার চক্রকে প্রতীকীভাবে বোঝায়। 👪 কেন সংসাররূপে কল্পনা? মানুষ দেবতাদের নিজের মতো করেই কল্পনা কর...

মহাদেব দেবাদিদেব: লিঙ্গ প্রতীকী ও পূজার বিধান ব্যাখ্যা

ছবি
  🔱 মহাদেব দেবাদিদেব: লিঙ্গ প্রতীকী এবং পূজার বিধান মহাদেব, যিনি শিব নামে পরিচিত, হিন্দু ত্রিদেবের মধ্যে একজন প্রধান দেবতা। তাঁকে বলা হয় “দেবাদিদেব” অর্থাৎ সকল দেবতার মধ্যে সর্বশক্তিমান। শিবপূজা বিশেষভাবে লিঙ্গ প্রতীকী মাধ্যমে করা হয়, যা তাঁর শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার প্রতীক। 🔹 লিঙ্গের অর্থ: লিঙ্গ হলো সৃজনশীল শক্তির প্রতীক। এটি মহাদেবের অসীম শক্তি ও সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ। লিঙ্গকে পূজার মাধ্যমে ভক্তরা শিবের শক্তি, জ্ঞান ও ধার্মিকতা লাভের উদ্দেশ্য সাধন করে। 🔹 মহাদেব পূজার বিধান: শিবলিঙ্গে জল, দুধ, গোবর, গঙ্গাজল, ফলা ইত্যাদি অর্চন করা হয়। শিবলিঙ্গকে ফুল, ধূপ ও আলো দিয়ে পূজা করা হয়। মহাদেবের পূজা সাধারণত সোমবার বা মাঘ ও শ্রাবণ মাসে বিশেষ গুরুত্ব পায়। ভক্তরা মন্ত্র উচ্চারণ (যেমন "ওম নাম: শিবায়") ও ধ্যানের মাধ্যমে শিবের আর্শীবাদ লাভ করে। 🔹 পূজার লিঙ্গ প্রতীকী অর্থ: লিঙ্গের শীর্ষ অংশকে "অন্যপ্রাণ" এবং নীচের অংশকে "সৃজনশীল শক্তি" হিসেবে দেখা হয়। এটি মানব জীবনের শক্ত...

গণেশ ও কার্তিক – দুই ভাই কি, দুর্গার সন্তান? বিস্তারিত ব্যাখ্যা

ছবি
  গণেশ ও কার্তিক – দুই ভাই কি, দুর্গার সন্তান? বিস্তারিত ব্যাখ্যা হিন্দু পুরাণে শিব ও পার্বতীর দুই সন্তান হিসেবে গণেশ ও কার্তিকের উল্লেখ রয়েছে। গণেশকে সাধারণত বুদ্ধি, জ্ঞান ও বাধা দূর করার দেবতা হিসেবে মানা হয়। তিনি হস্তি-মুখধারী এবং শিশুরাও সহজে চিনতে পারে এমন রূপে পূজিত। অন্যদিকে, কার্তিক বা কুমারকে যুদ্ধ, বীরত্ব এবং শত্রুপক্ষ বিনাশের দেবতা হিসেবে সম্মান করা হয়। তিনি দেবতাদের সৈনিক এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। গণেশ ও কার্তিক **দুই ভাই**, অর্থাৎ একই পিতামাতা (শিব ও পার্বতী) দ্বারা জন্মগ্রহণ করেছেন। শাস্ত্রে তাদের জন্মের পটভূমি ও ধর্মীয় কাহিনী বিস্তারিতভাবে বর্ণিত আছে। গণেশের জন্মকথা অনুযায়ী, পার্বতী নিজে থেকে মাটি দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং শিবের সঙ্গে সংঘর্ষের পরই তাকে আর্শীবাদ দেওয়া হয়েছিল। কার্তিকের জন্মকথা অনুসারে, তিনি পবিত্র গঙ্গা ও শিবের শক্তি দ্বারা সৃষ্টি হয়েছেন এবং তাঁর মূল উদ্দেশ্য শত্রুদের ধ্বংস করা। কিছু লোকমুখের রূপকথা বা লোককাহিনীতে গণেশ ও কার্তিককে **দুর্গার সন্তান** হিসেবে উল্লেখ করা...