পোস্টগুলি

শৈশব লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবনচক্র

ছবি
  জন্ম থেকে জীবন শুরু, চিতায় আগুনে হয় শেষ, শৈশব থেকে বৃদ্ধকাল, যৌবনে উত্তাল ধরে কত ছদ্মবেশ। হেঁটে চলে জীবনের পথে, কত শত মুখ দেখি, কত স্মৃতি হয় জড়ো, কিছু হাসি, কিছু কান্না, কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়া, আবার কিছু না পাওয়ার শূন্যতা! আশার আলোয় আলোকিত এক নতুন সকাল, কত স্বপ্ন, কত ইচ্ছে, কত উন্মাদনা ধরা দেয় হৃদয়ে। শৈশবের দুরন্তপনা, কৈশোরের বাঁধনহারা উন্মত্ততা, প্রেমের প্রথম স্পর্শ, সবুজ পাতায় লেখা জীবনের নতুন অধ্যায়, আর বার্ধক্যের বিষণ্ণতা। তবুও এই খেলা থেমে থাকে না, জীবন আবার ফিরে আসে নতুন করে নতুন কোনো রূপে, এক জীবন থেকে আরেক জীবনে যেন এক অফুরন্ত নদী! একবার যদি শুরু হয় এই জীবন, তবে এর শেষ কোথায় কে জানে, কে বলতে পারে? জীবনের গল্প চলতেই থাকে, নতুন গল্প তৈরি হয়, আর সেই গল্পে লেখা হয়— নতুন এক ইতিহাস। নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুর...

গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বন্দরের পথে: বাদাম বিক্রির শৈশব স্মৃতি

ছবি
🩵 গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বন্দরের পথে: বাদাম বিক্রির শৈশবের দিনলিপি ✍️ লেখক: পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক নিতাই বাবু 📍 স্থান: নোয়াখালীর মহাতাবপুর, গ্রাম - থেকে - লক্ষ্মণখোলা, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ। ১৯৬৩ সালের জুনে আমার জন্ম, সেই অবহেলিত গ্রাম মহাতাবপুর -এ। গ্রামের পাশেই বাজরা রেলস্টেশন, আর দূরে কোথাও ছিল যুদ্ধের গন্ধ। বাবা তখন নারায়ণগঞ্জের এক ছোট চাকুরে, মাটি দিয়ে ঘেরা একটা দোচালা ঘর আর মা'র আঁচলে বাধা শান্তি ছিল আমাদের পৃথিবী। ১৯৬৮ সালে আমি ভর্তি হই মহাতাবপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে । পা জোড়া ছিল খালি, মাথায় ছিল ধুলো, আর কাঁধে ছালার ব্যাগে কয়েকটা বই। খাতার পাতা ভরে উঠতো কাঁচা হাতের অক্ষরে, কিন্তু মনের আকাশে আঁকা হতো স্বপ্নের রং। ১৯৭১ সালে দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। দেশ স্বাধীন হবার পর গ্রামে ডাকাতে উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার আমরা আর গ্রামে থাকতে পারিনি। আমাদের পরিবার চলে আসে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় । আমি ভর্তি হই লক্ষ্মণখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । সেখানেও অভাব পিছু ছাড়েনি। ক্লাসের ফাঁকে বাদাম বিক্রি করতাম বাজারে, সেই টা...

স্মৃতির আল্পনা

ছবি
🌸 স্মৃতির আল্পনা কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন। বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এফএম রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন তবুও আঁকি স্মৃতিগুলো! – নিতাই বাবু নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ০২/০৫/২০২৩ ইং। ছবি নিজের তোলা, এলাকার সোনা মিয়া। 📤 শেয়ার করুন: Facebook | Twitter | WhatsApp | Email