পোস্টগুলি

নিতাই_বাবু লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ | অর্জুন বিষাদ যোগ প্রস্তাবনা

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ | নিতাই বাবু 📖 শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ ✍️ নিতাই বাবু 🔰 প্রস্তাবনা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক গ্রন্থ। এখানে জীবনের কর্তব্য, ধর্ম, নীতি ও আধ্যাত্মিকতার অনন্য সমন্বয় পাওয়া যায়। এই ধারাবাহিকে আমরা গীতার প্রতিটি অধ্যায় বাংলায় সহজভাবে উপস্থাপন করব। মোট ২৫ পর্বে সম্পূর্ণ গীতা এখানে আলোচনা হবে। 🕉️ প্রথম অধ্যায়: অর্জুন বিষাদ যোগ মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন যখন সেনাদের দেখে ভীত ও দুঃখভারাক্রান্ত হন, তখন তিনি শ্রীকৃষ্ণের শরণ নেন। তিনি যুদ্ধ না করার জন্য নানা যুক্তি দেখাতে থাকেন। এই অধ্যায়কে বলা হয় অর্জুন বিষাদ যোগ , কারণ এখানে অর্জুনের মানসিক দুঃখ ও দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে। 📜 নির্বাচিত শ্লোক ধৃতরাষ্ট্র উবাচঃ — “ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুত্সবঃ। মামকাঃ পাণ্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয়।। ১.১।।" অর্থাৎ—ধৃতরাষ্ট্র বললেন: হে সঞ্জয়! ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রে যখন আমার পুত্রগণ ও পাণ্ডবগণ যুদ্ধ করতে সমবেত হল, তখন তারা কী করল? এভাবেই গীতার শুরু হয়। ধীরে ধীরে অর্জুন যখন নিজের আত্মীয়-স্বজন, গ...

অহংকার বনাম আত্মবিশ্বাস

ছবি
  অহংকার: আত্মবিশ্বাসের ছদ্মবেশ না আত্মবিনাশের পথ? একটি পুরনো বাংলা প্রবাদে আছে— "অহংকার পতনের মূল" । এই একটি বাক্যেই লুকিয়ে আছে বহু যুগের অভিজ্ঞতা, দর্শন ও সতর্কতা। অহংকার এমন একটি মানসিক অবস্থা, যা মানুষের চিন্তা, আচরণ ও সামাজিক সম্পর্ককে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে। 🔍 অহংকারের সংজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি ‘অহংকার’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত "অহং" (অর্থাৎ ‘আমি’) এবং "কার" (অর্থাৎ ‘করা’ বা ‘সৃষ্টি’) থেকে। এর অর্থ—নিজেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ, বড় বা শ্রেষ্ঠ ভাবা এবং অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করা। 🕋 ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অহংকার ইসলাম: ইসলাম ধর্মে অহংকারকে মারাত্মক গুনাহ বলা হয়েছে। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন— “যার অন্তরে এক অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (সহীহ মুসলিম) হিন্দুধর্ম: ভগবদ্গীতায় (অধ্যায় ১৬, শ্লোক ৪) বলা হয়েছে— “অহংকার, দাম্ভিকতা ও রাগ হলো অসুরদের লক্ষণ।” অহংকার মানুষকে মায়া জালে বেঁধে রাখে এবং আত্মজ্ঞান থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। বৌদ্ধ ধর্ম: অহংকারকে “মান” বলা হয় এবং এটি “অবিধ্যা” বা অজ্ঞতার একটি রূপ। নির্বাণ লাভ করতে হলে...

প্রতিশোধ নিতে হবে - একটি গদ্য কবিতা

ছবি
  প্রতিশোধ নিতে হবে - একটি গদ্য কবিতা ✊ প্রতিশোধ নিতে হবে (একটি গদ্য কবিতা) তারা তো কিছুই চায়নি বেশি, শুধু একটু সম্মান, একটু নিরাপত্তা, একটু মানুষ হয়ে বাঁচার অধিকার। তারা হাতে রাখেনি অস্ত্র— রাখেনি হিংসা কিংবা বিদ্বেষ— তাদের ছিল কেবল কণ্ঠ, আর ছিল বিশ্বাস। কিন্তু এই কণ্ঠই ভয় দেখায় শাসকদের, এই প্রশ্নই কাঁপিয়ে দেয় ক্ষমতার মঞ্চ। তাই তো তারা গুলি চালায়, নিঃশব্দ করে দেয় প্রতিবাদের ছায়া। একেকটা শরীর পড়ে থাকে রাস্তায়, একেকটা হৃদয় চিরতরে থেমে যায়, আর বাড়ি ফিরে আসে শুধু খালি জামা। তারা যে ফিরে আসবে না— তারা যে ঘরে ঢুকবে না আর কোনোদিন— সে শোক কি কোনো পতাকা মেলে? সে রক্ত কি ধুয়ে যায় মৌনতার জল দিয়ে? না, আমরা ভুলে যাব না। আমরা ঝরে যাওয়া প্রতিটা চোখের জল গুনে রাখবো, আমরা জমা রাখবো প্রতিটি নিঃশ্বাসের ব্যথা, আমরা শপথ করবো— এই প্রতিশোধ হবে ঘৃণায় নয়, হিংসায় নয়, এই প্রতিশোধ হবে আলো দিয়ে, সাহস দিয়ে, সত্য দিয়ে। তারা চেয়েছিলো ন্যায়ের পথ— আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাবো। কণ্ঠকে নীরব করলেও...

শীতলক্ষ্যা নদী – এক নদীর আত্মকথা

ছবি
  🌊 শীতলক্ষ্যা নদী – এক নদীর আত্মকথা শীতলক্ষ্যা, তুমি নীরব এক সাক্ষী, কালের কণ্ঠে বাজে তোমার গল্প-গান। ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে শোনা যায় শত কথা— সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, হাহাকার আর প্রাণ। তোমার তীরে গড়ে ওঠে শিল্পের শহর, কলের ধোঁয়ায় আকাশ ঝাপসা হলেও— প্রাণে তবুও ছড়িয়ে থাকে জীবন-উচ্ছ্বাস, চলার ছন্দ, শ্রমের গান, ভালোবাসা ঢেউ। নাবিকেরা গায় সুরে সুরে সারি গান, জেলেরা ফেলে জাল, গলায় আশার সুর। তোমার বুকে খেলে যায় পালতোলা নৌকা, স্টিমারের ভেঁপু যেন দূরের স্বপ্নদূত। তুমি কভু শান্ত, কভু হয়ে ওঠো উত্তাল, তোমার স্রোত যেন হৃদয়ের হাহাকার। তুমি শুধু নদী নও, তুমি ইতিহাস, তুমি সংস্কৃতির প্রাণ, জনপদের কাব্যধ্বনি। তোমার জলে মিশে আছে ঘাম আর আশা, স্বপ্ন আর কান্না, আত্মা আর ইতিহাস। তুমি অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য এক কণ্ঠস্বর— বুকে তোমার বাজে জীবনের আর্তনাদ। শীতলক্ষ্যা, প্রিয় নদী, বয়ে চলো চিরকাল, তোমার শীতল পরশে থাকুক শান্তি ও ছায়া। তোমার কুল কুল ধ্বনি হোক ঘুমপাড়ানি গান, তোমার জলে জেগে থাকুক আমাদের প্রাণ। ✍️ কবি:নিতাই বাবু| উৎসর্গ: প্রিয় শীতলক্ষ্যা নদী | ...

শেষ চিঠি পৃথিবীর মানুষের কাছে

ছবি
  🌑 শেষ চিঠি পৃথিবীর মানুষের কাছে — নিতাই বাবু একদিন, যখন আমি আর থাকবো না, আমার ঘরের দেওয়ালে, বাতাসে, কিংবা কারও স্মৃতিতে যদি থেকে যাই— তখন একটু থেমে আমার এই লেখা পড়ে নিও। এই পৃথিবীকে আমি ভালোবেসেছিলাম জলপাই পাতার মতো শান্ত এক পৃথিবী কল্পনায়, যেখানে শিশুর কান্না যেন শুধুই খুশির বিস্ময়, যেখানে বৃদ্ধের চোখে অনন্ত শ্রান্তি নয়— থাকে শুধু শান্তির নদী। আমি দেখেছি, রোদ উঠে কিন্তু আলো আসে না, মানুষ হাসে কিন্তু ভিতরে কাঁদে, একজন আরেকজনের খুব পাশে থেকেও কি অদ্ভুতভাবে একা একা হেঁটে চলে! তোমরা যারা এখনো বেঁচে আছো, একটু ভালোবাসা দাও— একটু কান পেতে শোনো তোমার নীরব সন্তানের ভেতরের চিৎকার, একটু হাত রাখো তোমার পাশের বৃদ্ধ বাবার কাঁপা কাঁধে। এই পৃথিবীর সবচেয়ে করুণ দুঃখ— মানুষ বেঁচে থেকেও কারও হয়ে বাঁচে না। আমি চলে যাবো, খুব নিঃশব্দে, তবে আমার কণ্ঠে থেকে যাবে একটুকরো আকুতি— "ভালো থেকো, একটু ভালো থেকো সকলের জন্য।" নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো ...

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি

ছবি
  🕊️ আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি — নিতাই বাবু আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি— না, সিনেমার পর্দায় নয়, ইতিহাস বইয়ের পাতায় নয়, আমি নিজ চোখে দেখেছি আগুনের নিচে পোড়া মাটি, দেখেছি কাঁপতে থাকা শিশুর চোখে পিতৃহীন বিস্ময়, দেখেছি বধ্যভূমির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া নীরব জনপদ। আমি স্বাধীনতা দেখেছি— রক্তের বিনিময়ে কেনা সেই একটুকরো সকাল, যেখানে সূর্য উঠেছিল এক নতুন পতাকা হাতে। আমি দেখেছি, কীভাবে এক জাতি তার অস্তিত্বের জন্য লড়েছিল আগুন আর বুলেটের বিপরীতে দাঁড়িয়ে। আমি দেখেছি বাংলার মা-বোনদের আর্তনাদ, দেখেছি টান পড়ে যাওয়া শাড়ির ভাঁজে একটা স্বাধীন দেশের জেদ আটকে আছে। সেই কান্নার শব্দ আজও বাতাসে বেজে ওঠে, শুধু আমরা কান পেতে শুনি না। আমি দেখেছি লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবন দিতে, তাদের চোখের শেষ দৃষ্টিতে ভেসে উঠেছিল একটি মুক্ত ভূখণ্ডের স্বপ্ন— যেখানে কেউ আর পরাধীন হবে না, কেউ আর মুখ বুজে কাঁদবে না। এই আমি, এক ক্ষুদ্র মানুষ, একটি বড় ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। আমি বয়ে বেড়াই সেই অস্থিচূর্ণ করা অতীত, আর বুকের ভিতর আজও জ্বলে— এক অসমাপ্ত বিজয়ের আগুন। ✒️ নিতাই বাবু পুরস্কারপ্...

যেদিন ঈশ্বর কাঁদলেন—গদ্য কবিতা (পর্ব-৯)

ছবি
  🕯️ গদ্য কবিতা – পর্ব–৯ যেদিন ঈশ্বর কাঁদলেন সেদিন আকাশ ছিল রক্তিম। বাতাসে ছিল পচা লাশের গন্ধ। শিশুর কান্না মিশে গিয়েছিল গোলাগুলির শব্দে। আর ঠিক তখনই, ঈশ্বর কাঁদলেন। তাঁর চোখে জল ছিল না— কারণ মানুষের কান্না এতটাই গভীর ছিল, যে ঈশ্বরের নিজস্ব চোখকেই ম্লান লাগছিল তাদের সামনে। তিনি কাঁদলেন এক মায়ের আর্তনাদে, যে হারিয়েছিল তার একমাত্র সন্তানকে, কাঁদলেন সেই পিতার শূন্য দৃষ্টিতে, যে শেষবার ছেলের মুখ ছুঁতে পারেনি। তাঁর কান্না জমে ছিল মাটির গভীরে, যেখানে মানুষের রক্ত লেগে ছিল ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবিতে। ঈশ্বর বললেন না কিছুই। কারণ তিনি জানেন— সব ধর্ম মিলেও যদি একটিও প্রাণ বাঁচাতে না পারে, তবে তা শুধু নিয়মের খোলস । ঈশ্বর তখন মানুষ হতে চাইলেন— যেন কাউকে জড়িয়ে ধরতে পারেন, যেন কারও হাত ধরে বলতে পারেন, “আমি আছি, আর কাঁদতে দিও না।” কিন্তু মানুষ তখন ঈশ্বরকে খুঁজছিল মন্দিরে, কেউ গীর্জায়, কেউ কাবায়, কেউ প্রতিমার চোখে— অথচ ঈশ্বর দাঁড়িয়েছিলেন বারান্দায় এক অনাথ শিশুর পাশে, যার কোনো ধর্ম ছিল না, ছিল শুধু ক্ষুধা...

ঈশ্বরের চিঠি —গদ্য কবিতা (পর্ব-৮)

ছবি
  💌 গদ্য কবিতা – পর্ব-৮ ঈশ্বরের চিঠি প্রিয় মানুষ, আমি জানি, তুমি অনেক ব্যস্ত। জীবনের দৌড়ে তুমি কখনো কাঁদো, কখনো হাসো, কখনো পাপ করো, কখনো প্রেমে পড়ো। আমি সব দেখি, তবু চুপ থাকি। তুমি ভাবো আমি দূরে আছি— আকাশে, মিনারে, বা কোনো ধর্মগ্রন্থে আটকে। অথচ আমি আছি তোমার ভিতরে, যখন তুমি চুপ করে কারও কাঁধে হাত রাখো, কিংবা মা'র কপালে একটু তেল মেখে দাও। তুমি প্রার্থনা ভুলে গেছ? কোনো ক্ষতি নেই। আমি তোমার কান্নার ভাষাও বুঝি। তুমি হয়তো পাপ করেছ, তাও আমি তোমাকে ত্যাগ করিনি। আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করি— তুমি একবার নিজেকে ক্ষমা করো, তাহলেই আমিও ক্ষমা করব। তুমি যদি ভাবো, আমি শাস্তির ঈশ্বর— তবে তুমি আমাকে চিনোনি। আমি ভালোবাসার ঈশ্বর। আমি চাই তুমি ভেঙে পড়ো না, জেগে উঠো। তুমি যদি কখনো একা অনুভব করো, চোখ বুজে আমার নাম নিও না, বরং তাকাও আয়নায়— আমি তোমার মাঝেই আছি, কণ্ঠে নয়, হৃদয়ে আমার বসবাস । ভালো থেকো, মানুষ হও, বাকিটা আমি আছি। —তোমার ঈশ্বর ...

ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম— গদ্য কবিতা (পর্ব-৬)

ছবি
  🪔 গদ্য কবিতা – পর্ব-৬: ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম… ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম, জিজ্ঞেস করতাম— এত কষ্ট দিয়ে কেন পাঠালে? ভাঙা ঘর, অনাহারী শিশু, বৃদ্ধ মায়ের কাঁপা হাত এসব কি তোমার ইচ্ছার ফল? আমি হয়তো কাঁদে ফেলতাম, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে চাইতাম— “তুমি কি দেখো না? তোমার নামে কত হত্যা, ঘৃণা, দ্বন্দ্ব?” ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম, একটিবার জড়িয়ে ধরতাম তাঁকে বলতাম— "তুমি কি জানো, তোমাকে না দেখতে পেয়ে কত রাতে ঘুম আসেনি?” আমি চাইতাম না সোনার মন্দির, চাইতাম না কোনো ধর্মের প্রমাণ, শুধু একটা হাত রাখতেন আমার কাঁধে আর বলতেন, “আমি আছি, পাশে আছি।” ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম, বলতাম— “চলো, একদিন পথে হাঁটি, দেখো কত মানুষ তোমায় ডাকে কিন্তু কেউ পায় না— কেবল ঘরভরা নিয়ম আর ভয়!” আমি তাঁর চোখে চোখ রেখে বলতাম, “ভালোবাসা শেখাও, ভয় নয়। মানবতা শেখাও, ধর্ম নয়। কারণ তুমি যদি ঈশ্বর হও, তবে তোমার প্রথম নাম হওয়া উচিত— ভালোবাসা ।” — নিতাই বাবু নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চল...

ঈশ্বর কি ভয় পান? গদ্য কবিতা (পর্ব-৫)

ছবি
  🕯️ গদ্য কবিতা – পর্ব-৫: ঈশ্বর কি ভয় পান? তুমি বলো— ঈশ্বর সব কিছু জানেন। তাহলে তিনি ভয় পান কিসে? নারীর খোলা চুলে? প্রেমের আলিঙ্গনে? নাকি নিরীহ কার্টুনের তুলিতে আঁকা এক চেহারায়? আমি শুনি, কেউ কেউ বলে ঈশ্বর নারাজ হন হাসিতে, রেগে যান স্বাধীন চিন্তায়, অপমান বোধ করেন— প্রশ্নে! ঈশ্বর কি এতটাই দুর্বল যে তাঁর ভক্তের ঠোঁট থেকে নামটা সরে গেলেই কাঁপে? তাঁকে যে ভালোবাসে না— সে কি চিরদিন দগ্ধ হবে? তাহলে সে ঈশ্বর নয়, ভয়ভীতির একটা নামমাত্র তলোয়ার! আমি বিশ্বাস করি, ঈশ্বর ভয় পান না, তিনি চান— মানুষ মুক্ত থাকুক, ভালোবাসুক, প্রশ্ন করুক, তাঁকে খোঁজে হৃদয়ে, রক্তে, জীবনে— কোনো বাধ্যতায় নয়। ঈশ্বর কি ভয় পান? না, আমি বলি— ভয় পান আমরা, তাই ঈশ্বরের নামে বানিয়ে ফেলি দেয়াল, পড়াই ভয়, বানাই ধর্ম, আর ভুলে যাই— ঈশ্বর আসলে ভালোবাসা। — নিতাই বাবু নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে। মূলত সমাজ, সংস্কৃতি, স্মৃতিচারণা ও ছন্দনিবদ্ধ রচনায় আগ্রহী। ভ...