পোস্টগুলি

মে ৬, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ফেসবুকে ট্যাগ কখন করবেন এবং কাকে করবেন?

ছবি
অনেকেই আছেন যারা অনেক দিন ধরেই ফেসবুক ব্যবহার করেই যাচ্ছেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা রাতদুপুরে মেসেজ দিয়েই যাচ্ছেন, দিয়েই যাচ্ছেন। কিন্তু বন্ধু তালিকায় থাকা বন্ধুদের পোস্টে ভুলেও লাইক/কমেন্ট করছেন না! এমনকি মাসে একবারও চুপি দিয়ে দেখছেন না, বন্ধুটি কি পোস্ট করেছে। লাইক/কমেন্ট তো দূরেরই কথা! আবার নিজের একটা ভালোলাগা ভিডিও মেসেঞ্জারে প্রেরণ করছেন। ভাবছেন না যে, আমি যেটা পছন্দ করছি বা আমার যেটা পছন্দ, সেটা আমি যাকে প্রেরণ করছি, তার কাছে ভালো লাগবে কিনা! আপনার পছন্দের ভিডিও আপনার প্রিয় বন্ধুটির কাছে সেটা ভালো না-ও লাগতে পারে। সেটা না ভেবেই নিজের ইচ্ছেমতো বলা নেই কয়া নেই, সময় নেই গময় নেই; দিনরাত মেসেঞ্জারে বিরক্ত করেই যাচ্ছেন। এতে নিজের কাছে ভালো লাগলেও, তা অন্যের কাছে হতে পারে বড়ই বিরক্তির বা অশান্তির মহৌষধ! তবে হ্যাঁ, মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করবেন। কখন এবং কেন করেন? যখন আপনার বিশেষ প্রযোজন হবে, তখন মেসেজ বা বার্তা প্রেরণ করতে পারেন। নিজের আত্মীয় স্বজনদের ছবি নিজের আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠাতে পারেন। জরুরি কোন সংবাদ প্রাপকের ইচ্ছায় প্রেরণ করতে পারেন। এছাড়া তো কোন অবস...

কান্নার প্রতিযোগিতা

ছবি
করোনা কালে চলছে কান্নার প্রতিযোগিতা, কান্নার চাপে হারিয়ে গেছে সহমর্মিতা কাঁদছে কবিদের লেখা কবিতা কাঁদছে বিশ্বের মানবিকতা পর্যটনে নীরব নিস্তব্ধতা  কান্নার প্রতিযোগিতা। কান্নার প্রতিযোগিতায়, কাঁদে স্বজন হারানোর বেদনায় কেউ কাঁদে ভুগে ঘাতক করোনায় কেউ কাঁদে দ্বারে-দ্বারে ক্ষুধার জ্বালায় কাউ কাঁদে রাস্তায় সন্তানের অবহেলায় কেউ কেউ নীরবে কাঁদে ধুঁকে ধুঁকে লজ্জায়। কাঁদছে কেউ নিজের আখের গোছানোর ধান্দায়, টাকার পাহাড় গড়তে কাঁদছে বসে অট্টালিকায় জনপ্রতিনিধিরা চোখ মুছে চালের বস্তায় কেউ কাঁদার অভিনয়ে পরকে ঠকায় অসাধু ব্যক্তিরা সুযোগে কাঁদায় কন্নার প্রতিযোগিতায়। কান্নার প্রতিযোগিতায়, কান্নায় ভেঙে পড়ছে নমুনা পরীক্ষায় কান্না থামছে না হাসপাতালের বারান্দায় চলছে কান্নার প্রতিযোগিতা জায়গায় জায়গায়  কেউ কাঁদে সুখে, কেউ কাঁদে দুখে, কেউ কাঁদে ধান্দায়  প্রতিদিন নতুন করে যোগ হচ্ছে কান্নার প্রতিযোগিতায়। প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।   নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনালা ব্লগ  ও  শব্দনীড় ব্লগ। ০৬/০৫/২০২৩ইং।

দুইজন অন্ধ ভিখারির কথোপকথন

ছবি
বর্তমানে আমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি হলো, বিনা পুঁজিতে লাভজনক এক ব্যবসা। যাদের কিছুই বলতে নেই, তারাই এই লাভজনক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা। কিন্তু এখন এখন এই ব্যবসার থাতে জড়িত হয়ে পড়েছে যাদের অনেককিছুই আছে, তারাও। এমনও দেখা যায় গার্মেন্টসে চাকরি করে ছুটির অবসরে বোরকা পরে রাস্তায় হাত পেতে দাড়িয়ে থাকে। অসহায় ভেবে মানুষ হাঁটা-চলার সময় স্বচ্ছল স্বাবলম্বী ভিখারির হাতে কিছু-না-কিছু দিয়ে যায়, ছওয়াবের আশায়। কেউ আবার রুগী সেজে বড়সড় মার্কেটের সামনে, রাস্তার পাশে, হাট-বাজারে, পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে মুখ ঢেকে শুয়ে থাকে। পথচারী পথচলার মাঝে দিয়ে যায়, অসহায় ভেবে যে যা পারে। আসলে কিন্তু এরা কেউ দিন দুখি নয়! এরা বদ স্বভাবের দুখি। তাহলে এদের মধ্যে সত্যিকারের ভিখারি কারা? এদের মধ্যে ভিখারি বা ভিক্ষুক হলো, যাদের চোখ নেই, হাত নেই, পা নেই তারা। তাদের মধ্যে দুইজন ভিখারির কথোপকথন আমার এই লেখায় তুলে ধরছি। তো শুরু করার আগে দুজন ভিখারির সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। একজন হলো, ভিক্ষুক আনোয়ার। আরেকজন হলো, ভাসানী। তারা দুইজনই কিন্তু অন্ধ! তো চলুন শুরু করা যাক! ভিক্ষুক আনোয়ার যখন রাস্তায় বের হয়, তখন তার হাতে একটা লাঠি ...