পোস্টগুলি

জুলাই ৩, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজা ও প্রজার কথোপকথন

ছবি
রাজা প্রজা দৃশ্য: রাজপ্রাসাদ। রাজা তার সিংহাসনে বসলেন। সামনে দাঁড়িয়ে আছে তার প্রজা। রাজা: “প্রজারে! আ-রে বেটা, তোর এতো সাহস কে-রে? তুই কি জানিস, আমি কি করতে পারি তোকে? চুপ থাকিস! আমার পক্ষে থাকিস, নাহয় দেখবো তোকে।” প্রজা: “রাজা মহাশয়, আপনার মালিক, আমারও মালিক ঐ স্রষ্টা নির্দোষ। আমি জানি, আপনি মহান। কিন্তু আমরাও মানুষ, আমাদেরও প্রাণ, আমাদেরও আশা।” রাজা: “কি বললি? দিবো সাজা, কাটবো হাত তোদের! আমি রাজা, আমি মালিক, বুঝে নে ছোট জাত!” প্রজা: “মহান রাজা, শক্তি দিয়ে যদি শাসন চালাও, তাহলে অন্যায় হবে, জ্বলবে কারাগার! আমরা নই শুধুই ভয়ে, আমরা চাই ন্যায়, আমরা চাই শান্তি, প্রগতি আর আশা।” রাজা: “সত্য কি? সত্য আমার কথা! আমি চাই তোমরা শাসনের আওতায় থাকো, অথচ তোমরা বিদ্রোহী—কী করবে তা?” প্রজা: “বিদ্রোহ নয়, রাজা, তা স্বপ্নের ডাক, যে দিবে মুক্তি, যে দেখাবে সঠিক পথ। শাসন নয় প্রজা, আমরা চাই শ্রদ্ধা, তোমার গর্জন নয়, আমাদের হৃদয়ে শান্তি।” রাজা: “চুপ কর, নত মাথা, আমার কথা শুন! অবা...

মেহনতি মানুষের জয় হোক

ছবি
মেহনতি মানুষের জয় হোক ✊ রাজা তলোয়ারে ঠেকিয়ে বলে, "এই যে নিত্য গোপাল! তুই কেন এমন কপাল! দিনরাত খাটিস, মাটি কাটিস— বল তো, কবে পাবি আরেকটা ভালো হাল?" নিত্য গোপাল হেসে জবাব দেয়, "রাজামশাই, আপনারও তো দরকার জয়! আমি না খাটলে, ফসল উঠবে কই? রাজ্য জয়ের পেছনে, লুকিয়ে আছে গরিবের ক্ষয়।" রাজা চোখ লাল করে গর্জে ওঠে, "তোদের রক্তে নয় মোর কপাল! আমি ভাগ্যবান, রাজার মতোই মোর চাল— তোদের মতো সাত কপাল না, আমার একটাই রাজকপাল!" নিত্য গোপাল মাথা নিচু করে বলে, "রাজা মশাই, ভাগ্য কারো এক, কারো দুই নয়, আছে শুধু সময়ের খেলা—একালের পরে আসে সেকাল! টাকার ঢেউয়ে সুখ আসে না, বুকের শান্তিতেই তো প্রকৃত কপাল!" রাজা হাসে, রঙ্গ করে— "বোকা গোপাল! সুখ তো আমার রাজপ্রাসাদে! তোর জীবনে কেবল হাহাকার, আর আমার প্রাসাদে সুখের পাহাড়!" নিত্য গোপাল এবার চোখ তুলে চায়— "রাজা মশাই, সুখ যার ভেতরে, সে-ই রাজা হয়! স্রষ্টা একদিন সবাইকে সমান করে দেয়— সেই দিন রাজাও ফকির হয়! তখনই বোঝা যাবে কার সত...

নগর খাঁনপুরের পুকুরপাড়ে

ছবি
 নগর খাঁনপুরের পুকুরপাড়ে শীতলক্ষ্যার কোলঘেঁষে একটি পুরনো মহল্লা— নগর খাঁনপুর । পাড়ার দক্ষিণ পাশে একটি বড় পুকুর, যার ঘাটে কাকভোরে আসে বৃদ্ধেরা স্নান করতে, আর দুপুরে নেমে পড়ে ছেলেরা জলে। এই পুকুরঘাটেই একদিন বিনয়ের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। বিনয় পাল—এক দরিদ্র হিন্দু পরিবারে জন্ম। বাবা ছিলেন নরসুন্দর, পুকুরপাড়ে কাঠের চৌকিতে বসে দাড়ি কামাতেন। বিনয় হাফশার্ট আর ছেঁড়া চটের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেত, স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে শিক্ষক হবার। একদিন পুকুরঘাটে বসে থাকতেই হঠাৎ চোখে পড়ে এক অচেনা মেয়েকে—চুলে সাদা ফিতা, হাতে জলভরা কলসি। মেয়েটি জিজ্ঞেস করে, “এই পুকুরে সবাই গোসল করে?” বিনয় কিছু বলতে পারে না, শুধু চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। মেয়েটির নাম সুমনা সরকার —শহর থেকে বদলি হয়ে আসা বাবার সঙ্গে নতুন বাসা নিয়েছে নগর খাঁনপুরে। সেদিন থেকেই প্রতিদিন দেখা, গল্প, আর এক মধুর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে পুকুরপাড়ে। কিন্তু সুখ চিরকাল থাকে না। হঠাৎ একদিন সুমনা জানায়—তাদের আবার শহরে ফিরে যেতে হবে। শেষ বিকেলে পুকুরপাড়ে সুমনা বসে থাকে, চুপচাপ। বিনয় কাঁপা হাতে দেয় একটি কাঠের পেনসি...