পোস্টগুলি

যজুর্বেদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চার বেদ — ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ: বিষয়বস্তু ও গুরুত্ব

ছবি
  চার বেদ — ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ চার বেদ — ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ বেদ হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম গ্রন্থ, যা শ্রুতি নামে পরিচিত। এগুলো ঋষিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত বাণী হিসেবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মৌখিকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বেদ মোট চারটি—ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ। প্রতিটি বেদের আলাদা স্বরূপ, ব্যবহার ও তাৎপর্য রয়েছে। ১. ঋগ্বেদ ঋগ্বেদ হলো সবচেয়ে প্রাচীন বেদ । এতে প্রায় ১,০২৮টি সূক্ত (স্তোত্র) আছে, যা বিভিন্ন দেবতাকে উদ্দেশ করে রচিত। প্রধানত অগ্নি, ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র প্রভৃতি দেবতার স্তবগান এতে স্থান পেয়েছে। এই সূক্তগুলো প্রাচীন আর্যদের আচার, ধর্মবিশ্বাস ও দার্শনিক চিন্তার প্রতিফলন। ২. সামবেদ সামবেদকে বলা হয় সঙ্গীতের বেদ । এতে ঋগ্বেদের অনেক মন্ত্র সুরের মাধ্যমে গাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যজ্ঞকালে পুরোহিতেরা সুরেলা কণ্ঠে এই মন্ত্রপাঠ করতেন। তাই সামবেদ ভারতীয় সঙ্গীত ও রাগ-রাগিণীর মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। ৩. যজুর্বেদ যজুর্বেদে মূলত যজ্ঞ ও আচারবিধির বিস্ত...

বেদ — হিন্দুধর্মের প্রাচীনতম গ্রন্থ, রচয়িতা ও বিষয়বস্তু

ছবি
  হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থ বেদ — পরিচয়, বিষয়বস্তু ও গুরুত্ব হিন্দুধর্মের মূল গ্রন্থ বেদ — পরিচয়, বিষয়বস্তু ও গুরুত্ব বেদ হলো হিন্দুধর্মের সবচেয়ে প্রাচীন ও মূল ধর্মগ্রন্থ। ‘বেদ’ শব্দের অর্থ জ্ঞান বা বিদ্যা । এগুলোকে বলা হয় শ্রুতি (ঈশ্বরপ্রদত্ত জ্ঞান), কারণ প্রাচীন ঋষিরা ধ্যান ও তপস্যার মাধ্যমে এ জ্ঞান লাভ করে শিষ্যদের মুখে মুখে প্রচার করেছিলেন। বেদের রচয়িতা বেদের নির্দিষ্ট কোনো মানব রচয়িতা নেই। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী— বেদ অপরুষেয় , অর্থাৎ মানব-অতীত ও ঈশ্বরপ্রদত্ত। ঋষি-মুনিরা এই জ্ঞান ‘শ্রবণ’ করেছিলেন এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রচার করেছেন। পরবর্তীতে বেদব্যাস এগুলোকে লিখিত রূপ দেন এবং চার ভাগে বিভক্ত করেন। বেদ কি সর্বপ্রথম হিন্দুধর্মের গ্রন্থ? হ্যাঁ, বেদকে হিন্দুধর্মের সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম গ্রন্থ ধরা হয়। এটি হিন্দু সভ্যতার আদি ধর্মগ্রন্থ। ঋগ্বেদের স্তোত্রগুলি খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ১৫০০–১২০০ অব্দের মধ্যে রচিত। তাই বেদই হিন্দুধর্মের প্রথম ও প্রধান ধর্মগ্রন্থ । বেদ কয়টি? বেদ মোট চারটি — ঋগ...