পোস্টগুলি

জুলাই ১৪, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অক্ষরের মেলা

ছবি
  📚 অক্ষরের মেলা 📚 ✍️ স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের ছড়া আ -কে বলে আদর করে, আ -কারেতে নামটা ধরে। ই-উ এসে দেয় যে হাসি, ঋ বলে, “আমিও আসি!” এ -ও আছে, ঐ -ও পরে, ও -ও বলে, “আমি থাকি পড়ে!” ঔ নাচে ঢেউয়ের তালে, স্বরবর্ণ থাকে লেখার জালে। কিন্তু দেখো, ব্যঞ্জন দল , আটত্রিশ জনের একটাই বল! ক–খ গ–ঘ , হায় রে ভাই, চ–ছ জ–ঝ , বলে উপায় নাই! ট–ঠ ড–ঢ টানাটানি, ত–থ দ–ধ শোনায় মধুর বাণী। প–ফ ব–ভ দারুণ রাগে, ম–য র–ল কেন আগেভাগে? শ–ষ–স একসাথে হাঁটে, হ বলে, “আমিও আছি পাঁটে!” ক্ষ–ত্র–জ্ঞ জটিল বটে, তবুও তারা চলে একজোটে! স্বর আর ব্যঞ্জন মিলে, শব্দের পিঠে ছন্দ গিলে। বাংলা ভাষা বাজে হৃদয়তারে, গল্প বলে সুখে-দুঃখে, ছন্দ-সঞ্চারে। ✍️ লেখক: নিতাই বাবু 🏅 পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭ 🌐 ব্লগ ডট বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম 🔗 শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে: Facebook Twitter WhatsApp Email

কেউ এগিয়ে এলো না!

ছবি
  "একটা মানুষও এগিয়ে এলো না!" নিহতের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন— “এতো মানুষ মিলে একটা মানুষকে মারলো, একটা মানুষও এগিয়ে এলো না…” তার কণ্ঠে কান্না ছিলো, কিন্তু তার কথায় ছিলো এক ভয়ংকর প্রশ্নের দহন। তাঁর স্বামীকে প্রকাশ্যে পাথর দিয়ে হত্যা করা হলো, আর চারপাশে শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলো— তাকিয়ে থাকলো। কেউ কিছু বললো না, কেউ হাত বাড়ালো না। কেউ প্রতিবাদ করলো না। কেউ সাহস দেখালো না। এখন প্রশ্ন জাগে… এই দেশের মানুষ কী তবে খুনিদের মৌন সমর্থক? নাকি সবাই শুধু নীরব দর্শক? নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা কি সত্যের পাশে না দাঁড়ানোর অন্য নাম নয়? ভয়ের কাছে আত্মসমর্পণ কি খুনের অনুমোদন নয়? একটি সমাজের ভয়, নির্বাকতা, আর আত্মকেন্দ্রিকতা যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে থামিয়ে দেয়, তখন অপরাধীরা সাহস পায়—আর নিরীহরা প্রাণ হারায়। এই ঘটনায় শুধু একজন মানুষ মারা যায়নি, আসলে আহত হয়েছে আমাদের মানবতা। মারা গেছে নৈতিকতা। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা সেই শত শত মানুষ— তারা কি সত্যিই নিরাপদ? 🕯️ আমরা কি এক ভয়াবহ নির্লিপ্তির যুগে প্রবেশ করলাম, যেখানে ন্যায়বোধ নেই, প্রতিবাদ নেই, শুধু আছে চোখ, কিন্তু নেই দৃষ্টি...

দূর হোক শিবলিঙ্গ নিয়ে ভুল ধারণা – একটি তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ

ছবি
  🔱 দূর হোক শিবলিঙ্গ নিয়ে ভুল ধারণা আমরা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী , তাই বর্তমানে এই উপমহাদেশে আমরা ‘ হিন্দু ’ নামে পরিচিত। এ কারণে অনেকসময় আমাদের মুসলমান বন্ধু রা কিংবা আশেপাশের মানুষ নানা প্রশ্ন করে থাকেন। কেউ বলে ফেলেন — চাড়াল, মালাউন, ডেডাইয়া, বিধর্মী ইত্যাদি। আবার কেউ প্রশ্ন করে — সনাতন ধর্মের মানুষ মৃত্যুর পর পোড়ানো হয় কেন? বারো মাসে তেরো পূজা বলতে কী বোঝায়? ৩৩ কোটি দেবতার নাম জানা আছে? লিঙ্গ পূজা করা হয় কেন? মাটির মূর্তি বানিয়ে এত টাকা খরচ করে পূজা করে, আবার ফেলে দেওয়া হয় কেন? এসব প্রশ্নের পেছনে একটা বড় কারণ হল ভুল ধারণা আর সঠিক তথ্যের অভাব । অনেকেই মনে করেন, হিন্দু ধর্ম মানেই মূর্তিপূজা ও হরিনাম সংকীর্তন — যা একটি একরৈখিক ভুল ধারণা। 📜 ‘হিন্দু’ শব্দের উৎপত্তি ও বৈদিক ব্যাখ্যা ‘হিন্দু’ শব্দটি বৈদিক শাস্ত্রে নেই , এটি ঊনবিংশ শতাব্দীতে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক শ্রেণি নির্দেশক শব্দ। মূলত ‘সিন্ধু’ নদীর পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের পারস্যবাসীরা উচ্চারণ করত ‘হিন্দু’। এ থেকেই নামকরণ। তবে ‘হিন্দু’ শব্দটি ‘হিংসা করেন না’ হিংসা আর অহংকারে ...