একজন ঘুড়ি ওড়ানোর মাস্টার ও ছাত্র চণ্ডী
ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে লেখাপড়া শেখা। জমিদারের জমিদারির কথা কে না জানে? ধনসম্পদের অভাব তো নেই! অভাব নেই দাসদাসীরও। কিন্তু জমিদার বাবু ছিলেন নিঃসন্তানের মতো। বিয়ে করার ১২ বছরের মাথায়ও জমিদার বাবু সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়ে ওঠেনি। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক কান্নাকাটির পর দয়াময়ের কৃপায় এক পুত্রসন্তানের পিতা হলেন, জমিদার বাবু। ছেলের নাম রাখলেন, এক দেবতার নামের সাথে মিল রেখে ‘চণ্ডী’। দিন যায়, মাস যায়, বছর গড়ায়। এভাবে পুত্র চণ্ডী একসময় ৫ বছরের এক বালক হয়ে গেলো। এখন চণ্ডীর লেখাপড়া শেখার বয়স হয়েছে। এই বয়সে ছেলেপেলেরা মাদ্রাসায় যায়, মক্তবে যায়, স্কুলে যায়। কিন্তু জমিদার পুত্র চণ্ডী এসবের ধারেকাছেও যায় না। চণ্ডী শুধু ঘুড়ি আর ঘুড়ি। ঘুড়ি ছাড়া চণ্ডীর আর কিছুই ভালো লাগে না। সারাদিন তো আছেই, রাতে শোবার সময়ও চণ্ডী তার ঘুড়ি আর নাটাই সাথে নিয়েই ঘুমায়। ঘুড়ির প্রতি চণ্ডীর এরকম ভাব দেখে জমিদার বাবু দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল! দাস-দাসী দিয়ে চণ্ডীকে অনেকবার স্কুলে পাঠিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। স্কুলে বই খাতা রেখে চণ্ডী বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এ...