পোস্টগুলি

জুলাই ১১, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি লিখতে চাই

ছবি
  লিখতে চাই পৃথিবী নিয়ে… এই বিশাল পৃথিবীতে আমি কেন এলাম — এই প্রশ্নটা বারবার ফিরে আসে। মা-বাবার কোলে জন্ম নিলেও, আমার আসার পেছনে কি শুধু জৈবিক কারণ? না কি কোনো অদৃশ্য হাত আমাকে নামিয়ে দিয়েছে এই মাটির গ্রহে — কিছু শেখানোর, কিছু ভুল শোধরানোর, কিছু ভালোবাসার দায় দিয়ে? এই পৃথিবী — যেখানে নদী আছে, পাখি আছে, কাঁদে মানুষ, হাসে শিশুরা — এত সুন্দর হয়েও এত ভঙ্গুর কেন? কেন এতো হিংসা, যুদ্ধ, লোভ? কেন এত ক্লান্ত দুঃখ জমে থাকে বাতাসে? আমি লিখতে চাই এই পৃথিবীর যত অপূর্ণতা নিয়ে, আবার লিখতে চাই তার অপার সৌন্দর্য নিয়েও — যে সৌন্দর্য আমাকে প্রতিদিন বাঁচিয়ে রাখে। লিখতে চাই সংসার নিয়ে… সংসার — শব্দটা ছোট হলেও, এর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। দুজন মানুষ যখন পাশে দাঁড়ায়, তখন শুধু শরীর নয়, দুটি জীবন জড়ায় — আশা, ভরসা, দুঃখ, ক্লান্তি, কষ্ট, স্বপ্ন নিয়ে। সংসার মানে একটা ঘর, কিছু দেয়াল, কিছু ব্যবহৃত বাসন নয় — সংসার মানে একটা পৃথিবী, যেটা গড়া যায় আবার ভেঙেও যায়। লিখতে চাই সেই ঘরবন্দি হাসিমুখগুলো...

ছিলাম প্রকাশ্যে, এখন আলো-আঁধারে

ছবি
  ছিলাম প্রকাশ্যে, এখ আলো-আঁধারে একদিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুমটা যেন ছিল কোনো নরম হাতের আশীর্বাদ, শান্তির চাদরে মোড়ানো এক অচেনা যাত্রা। ঘুমের ঘোরে আমি এমন এক স্বপ্নে প্রবেশ করলাম, যেটা আমার পূর্বজীবনের কোনো গল্প নয়—এ যেন ভবিষ্যতের, বা তারও ওপারে কোনো অলিখিত অধ্যায়। স্বপ্নে আমি আনন্দে ভেসে বেড়াচ্ছিলাম। হালকা আলো, শীতল বাতাস, গায়ে গায়ে নরম তরঙ্গের মতো ভেসে আসা হাসির ছায়া—যেন স্বর্গের সীমানায় হেঁটে বেড়াচ্ছি আমি। না কোনো দুঃখ, না কোনো ক্লান্তি, না কোনো সময়ের গলা টিপে ধরা বাঁধন। কেবল প্রশান্তি আর মুক্তির গান। এই অপার্থিব অনুভবের মাঝে হঠাৎই কানে আসে এক কান্নার শব্দ। খুব পরিচিত। ঘরের ভেতরের কেউ যেন কাঁদছে—চিৎকার করে বলছে, "ওঠো না কেন? শুনছো না? আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো?" আমি চোখ ফেরালাম। দেখি আমারই ঘরের মেঝেতে আমি শুয়ে আছি—নিস্তব্ধ, নিশ্চল। আমার চারপাশে পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে কাঁদছে। আমি সবই দেখছি, শুনছি, কিন্তু আমার শরীরে ফিরতে পারছি না। যেন সেই দেহ হয়ে উঠেছে একটি শূন্য ঘর, যার প্রতিটি দরজা-জানালা বন্ধ। আমি অনেক চেষ্টা করেও ভেতরে ঢুকতে পারছি ...