স্কন্দপুরাণে শিবতীর্থের মাহাত্ম্য ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য

স্কন্দপুরাণে শিবতীর্থের মাহাত্ম্য (সূত্র: স্কন্দপুরাণ, কাশীখণ্ড, পূর্বার্ধখণ্ড, ৩৩.৩১-৩৪) 📖 শাস্ত্রীয় বর্ণনা ত্রিভুবন তথা ভূলোক, অন্তরিক্ষলোক এবং স্বর্গলোকের মধ্যে যত তীর্থ আছে, তার মধ্যে প্রধান এই তীর্থ শিবতীর্থ নামে খ্যাত হবে। শিবশব্দার্থজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলেন— শিব মানে জ্ঞান । এই তীর্থে ভগবান শিব নিজ মহিমায় সেই জ্ঞানকে জলের মধ্যে দ্রবীভূত করেছেন। এজন্য এই তীর্থ ত্রিলোকে ‘জ্ঞানোদ’ নামে প্রসিদ্ধ হবে। এই কুণ্ডতীর্থ দর্শন করলে সর্বপাপ মোচন হয়, স্পর্শ করলে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়, আর আচমন ও পানে রাজসূয় ও অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হয়। ফল্গুতীর্থ, পুষ্কর বা কুরুক্ষেত্রের সমতুল্য ফল এখানে সহজেই পাওয়া যায়। এমনকি বৃহস্পতিবার, পুষ্যানক্ষত্রযুক্ত শুক্লপক্ষীয় অষ্টমীতে ব্যতীপাতযোগ হলে এই কুণ্ডতীর্থে শ্রাদ্ধ করলে গয়ার শ্রাদ্ধ অপেক্ষা কোটি গুণ ফল লাভ হয়। 🌊 তীর্থস্নানের মাহাত্ম্য এই তীর্থে স্নান ও শ্রাদ্ধ করলে পিতৃলোকের মুক্তি ঘটে। অষ্টমী ও চতুর্দশীতে উপবাস করে প্রভাতে স্নান করলে হৃদয় শিবময় হয়ে ওঠে। একাদশ...