পোস্টগুলি

কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার বলতে কিছুই নেই

ছবি
আমার বলতে কিছু নেই যতই বলি, “এটা আমার, ওটা আমার”— স্রষ্টা বলেন, “নির্জনে শোনো আমার বারংবার: তোমার কিছুই নয় সত্যিকার! তোমার এই শরীর, তোমার এই প্রাণ, আমারই সৃষ্টি, আমারই দান। শুধু তোমার কর্মের ফলই চিরকাল তোমার।” বাড়ি, গাড়ি, ধন-দৌলত, সবই রবে ধুলোয়, নিঃস্ব আর কোলাহলহীন মৌনতায়। তোমার ‘আমার’ বলার অধিকারে আমি তো দিইনি কোনো স্বীকৃতি কোনো দিন। তোমার ‘তুমি’ও একসময় বিলীন— শুধু কর্ম, শুধু ন্যায়ের দিন-রজনী, সেইটুকুই যাবে তোমার সাথে, বাকিটুকু পড়ে থাকবে নিঃস্পন্দ পৃথিবীতে। তাই বলি, আমার বলতে কিছুই নেই— সবই মহান স্রষ্টার, এই জীবন, এই দেহ, এই শেষ অবধি পথটাও, তাঁরই করুণায় দেয়া উপহার। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু — পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, সাহিত্যপ্রেমী ও সমাজচিন্তক। লেখালেখির মাধ্যমে সমাজ, দর্শন ও মানবিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। 📘 ব্লগ: নিতাই বাবুর ব্লগ 📤 শেয়ার করুন: 🔵 Facebook 🔷 Twitter 🟢 WhatsApp পাঠকের প্রতিক্রিয়া লেখককে অনুপ্রাণিত করে। আপনার অনুভূতি নিচে মন্তব্যে জানাতে ভ...

আমি এদেশে সংখ্যালঘু

ছবি
আমি এদেশে সংখ্যালঘু আমি এদেশে সংখ্যালঘু , তবুও আমি “এদেশের” — এই মাটি, এই জল, এই পল্লীর পেঁপে গাছ, এই বর্ষার জলঢাকা পথ— সবই আমার চেনা। আমি হিন্দু, আমি বৌদ্ধ, আমি খ্রিস্টান— তবু আমি বাংলাদেশী , আমি সেই মা-বাবার সন্তান, যারা একাত্তরে কাঁধে বোমা নয়, কাস্তে-কলম-লাঠি তুলে দাঁড়িয়েছিল পাক-হানাদারের বিপক্ষে। আমার দাদার বুকেও বয়ে গিয়েছিল গুলি, জন্মভূমিকে ভালোবেসে। কিন্তু আজ তার নাতি আমি— নতুন করে পরিচয়ের সনদ চাই। আমি এদেশে সংখ্যালঘু, আমার ঈশ্বরকে আমি মাটির মূর্তিতে দেখি— তাই আমি ভয় পাই, কারণ একদিন সেই মূর্তি ভাঙা হয় ‘অপরাধে’ যে আমি ভিন্ন রূপে ঈশ্বরকে ভালোবাসি। আমি শারদীয়া দুর্গাপূজায় মা দুর্গাকে স্বাগত জানাই, আর সেই সময় আমার কাঁপে বুক— বাজার থেকে ফেরার পথে গলার মালা ছিঁড়ে ফেলা হতে পারে, ঘরের প্রতিমায় পাথর ছোঁড়া হতে পারে। পুলিশ হয়তো আসবে, আবার হয়তো আসবেই না। আমি স্কুলে বাংলায় ‘মা’ লিখি, কিন্তু প্রশ্ন আসে— “তুমি হি...

এইতো জীবন

ছবি
এইতো জীবন — এক আক্ষেপ, এক উপলব্ধি জীবন বেশি সময়তো নয়, যতটুকুই সময়, অনেক সময় হয় অপচয় কতো জয়, কতো ক্ষয়, কতো ভয় আশা-নিরাশার দোলাচালে বেঁচে রয় সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। জীবন বেশি সময়তো নয়, খুবই অল্প সময়, চাওয়া-পাওয়ার জয়-পরাজয় প্রেম-বিয়ে ভালোবাসাও তো হয় কেউ ব্যর্থ, সফলতায় জীবন মধুময় সময় ফুরোলে সবকিছুই স্মৃতি হয়ে রয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। 🖊️ কবি: নিতাই বাবু ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু—(মূল নাম: নিতাই চন্দ্র পাল) একজন চিন্তাশীল কবি, ব্লগার ও সমাজ-মনস্ক লেখক। জন্ম ১৯৬৩ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশের এক প্রাকৃতিক শোভাময় গ্রামে—নোয়াখালীর মহতাবপুরে। তাঁর শৈশব কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের ছায়া ও দারিদ্র্যের বাস্তবতায়, যা তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও সংবেদনশীলতার ছাপ রেখে গেছে। তিনি bdnews24 ব্লগের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, লেখেন মানবিকতা, শহর-জীবন, নদী-সংস্কৃতি, এবং নান্দনিক সমাজবোধ নিয়ে। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে সময়ের ক্ষণস্থায়িত্ব, ভালোবাসা, অপচয়, বেদনা এবং আশা-নিরাশার দোলাচল। নিতাই বাবুর লেখনী সরল অথচ হৃদয়গ্রাহী—যেখানে পাঠক খ...

শহরের ফুটপাত

ছবি
ফুটপাত,  কিছুতেই কমছে না হকারদের উৎপাত এতে শত উন্নয়ন-ই হয়ে যাচ্ছে ধূলিসাৎ, পথচারীদের মাথায় পড়ছে বজ্রপাত ফুটপাতের কারণেই যানজটের সূত্রপাত!  ফুটপাত,  শহরের রাস্তা মাত্র কয়েক হাত তারমধ্যে অর্ধেক রাস্তাই ফুটপাত, সরাতে গেলে পেটে লাগে আঘাত কেউ বলে গরিবের উপর কষাঘাত!  ফুটপাত,  তাহলে কীভাবে হবে মুক্ত ফুটপাত? যদি না থাকে বিশিষ্টজনের দৃষ্টিপাত, শহরের উন্নয়ন সৌন্দর্য সবই ধূলিসাৎ  নির্বিঘ্নে হাঁটার বিঘ্ন ঘটাচ্ছে ফুটপাত।  নিতাই বাবু  ৩০/০৪/২০২৩ইং। ছবি নারায়ণগঞ্জ কালীর বাজার সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ'র সাননে থেকে।

এই পৃথিবী আমার নয়

ছবি
এই পৃথিবী আমার নয় এই পৃথিবী আমার নয় — জন্মের পর থেকেই বুঝি এই আলো, এই রঙ, এই কোলাহল কোনো কিছুই তো আমার মতো নয়। আমার আকাশ নীল নয়, ধূসর আমার বাতাসে নেই বেলিফুলের গন্ধ, আমার ঘরে নেই শব্দের উল্লাস শুধু নীরবতা, ক্ষীণ শ্বাস। সবাই হাসে, আমি দেখি — হাসির আড়ালে জমে থাকা কান্না, সবাই বলে, "এ জীবন সুন্দর", আমি বলি, "সুন্দর কিন্তু কাদের জন্য?" ঘড়ির কাঁটা ঘোরে, আমার দিন রাত হয় — কিন্তু সময় কি কখনও আমার নাম রেখেছে নিজের কানে? এই পৃথিবী আমার নয় — তবু থেকেছি, কাগজে আঁকিনি বিদায়ের ছবি, তবু লিখেছি, নিঃশব্দের মাঝে একটি কবিতার দগদগে জীবনগাথা। — নিতাই বাবু 📘 লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু একজন সাহিত্যপ্রেমী, ব্লগার এবং কথাশিল্পী যিনি বাংলা ভাষার গভীরে ডুবে গিয়ে লিখে চলেছেন জীবনের কথা, সমাজের কথা। তাঁর কবিতায় উঠে আসে আত্মজিজ্ঞাসা, নিঃসঙ্গতা, শৈশবের ক্ষত এবং মানুষের অভ্যন্তরের অন্ধকার। তিনি bdnews24.com ব্লগের একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক। 🔗 ফেসবুক: fa...

লেখা কথা

ছবি
লেখা কথা — নিতাই বাবু কলম ধরি, কাগজে ঝরে, মনের যত কথা, লেখা যেন জীবনের ক্ষতবিক্ষত ব্যথা। কারও জন্য প্রেম, কারও জন্য বেদনা, শব্দেরা জানে শুধু, আমার গভীর চেনা। আমি কবি না, আমি শুধু এক জনতা, যে জীবনের গল্প লেখে রাতের নিঃসঙ্গতা। বুকের ভেতর যে ঢেউ ওঠে নিঃশব্দে, তারই প্রতিধ্বনি — এই লেখার অবগাহনে। শব্দে শব্দে গাঁথা এক নীরব ইতিহাস, যা কেউ পড়লে ভাবে — বাহ! এ তো আমারই আশ! লেখা মানে মুক্তি, লেখা মানে যন্ত্রণা, লেখা মানেই — বুকের ভাঙা প্রাচীন বন্দনা। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু — একজন আবেগপ্রবণ কবি, ব্লগার ও শব্দসন্ধানী চিন্তাশীল মানুষ। বাংলার গ্রামীণ জীবন, ভাষা, সংগ্রাম ও আত্মপরিচয় তার লেখার মূল থিম। তিনি bdnews24 ব্লগের একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক এবং  নারায়ণগঞ্জ শহরের ঐতিহ্য-সংগ্রামী হিসেবে সুপরিচিত। শীতলক্ষ্যা নদী, বন্দর, এবং ভাষার ইতিহাস তার কবিতার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে। 🔗 শেয়ার করুন: 📘 ফেসবুকে শেয়ার করুন 🐦 টুইটারে শেয়ার করুন ...

কষ্টের জীবন

ছবি
🌑 কষ্টের জীবন 🌑 — নিতাই বাবু জীবনটা যেন এক অদৃশ্য যুদ্ধক্ষেত্র, কেউ দেখে হাসিমুখ, কেউ বোঝে না ভিতরটা ভাঙা কতবার। ঘুম আসে না অনেক রাতে, আকাশের তারা যেন চোখের অশ্রু গোনে চুপচাপ। দিন যায়, রাত যায় — চাল নেই ঘরে, তবু মুখে হাসি রাখতে হয় সন্তানের সামনে। চুলে পাকা রঙ, হাতে কড়ে গোনা টাকা — অভাবের সংসারে ভালোবাসাও যেন বিলাসিতা। পড়াশোনা হয়নি, কিন্তু মনের গভীরে লেখা থাকে হাজারো অক্ষরের যন্ত্রণার কবিতা। কেউ ডাকে “অশিক্ষিত”, আমি ডাকি নিজেকে “অভিজ্ঞ” — যন্ত্রণার অভিধানে। চায়ের দোকানে বসে শুনি জীবনের গল্প, সবার মুখে আছে স্বপ্ন, আর আমার কাঁধে শুধু দায়। তবু বলি না কিছু — কারণ কষ্টেরও একটা গর্ব থাকে, অভিমানের মতো নীরব। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি না — আজটা কোনোভাবে পার করলেই যেন বেঁচে থাকা ধন্য। তবু লিখি... এই কষ্টের জীবন নিয়ে, কারণ এটাই আমার অস্তিত্ব। 🔗 শেয়ার করুন: 📘 ফেসবুকে শেয়ার করুন 🐦 টুইটারে শেয়ার করুন ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু, একজন আবেগপ্রবণ কবি ও ব্লগার, যিনি সমাজ, স্মৃতি ও যন্ত্রণার গভীর অনুভূতি নিয়ে লেখেন।

সৃষ্টিকর্তা একজন

ছবি
✨ সৃষ্টিকর্তা একজন ✨ কতো ধর্মের কতো মানুষ সৃষ্টিকর্তা হলো একজন, ধর্ম হোক ভিন্ন ভিন্ন মানুষ মানুষের আপনজন। তুমি রাজা আমি প্রজা পার্থক্য শুধু এখানে, মৃত্যুর পরে চলে যাবো আমরা সবাই একস্থানে। কেউ খাচ্ছে কোরমা পোলাও কেউ পঁচা পান্তাভাত, কেউ ঘুমায় লেপ তোষকে কেউ জাগে রাত। কেউ থাকে দালান কোঠায় কেউ থাকে রাস্তায়, সবার দিনই যাচ্ছে চলে সবারই রাত পোহায়। আমি গরিব তুমি ধনী রক্তের বর্ণ একরকম, মানবজাতির হাসি কান্না হয়না তো দুইরকম! কেউ বলে আল্লাহ রসূল কেউ বলে ভগবান, কেউ বলে গড ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা বড়ই মহান। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) — একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্লগার, যিনি bdnews24.com-এর ব্লগ প্ল্যাটফর্মে লেখেন। তিনি সমাজ, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত। তাঁর কলমে উঠে আসে জীবন, যৌবন ও যন্ত্রণার নিখুঁত চিত্র। 📘 ফেসবুকে লেখক: fb.com/srinitai.srinitai ...

পৃথিবীটা গোল

ছবি
🌍 পৃথিবীটা গোল পৃথিবীটা গোল, তাইতো এতো হট্টগোল। চারদিকে চিৎকার, কান্নার রোল, দেশে দশে বাজছে যুদ্ধের ডামাডোল! পৃথিবীটা গোলাকার, তাইতো দেখি চারদিকে হাহাকার। আশ্রয়হীনের আর্তনাদ, ক্ষুধার্তের চিৎকার, স্বদেশহারা শরণার্থীদের বুকফাটা আর্তচিৎকার! পৃথিবীটা ঘূর্ণায়মান, তবু কেন থেমে যায় মানবতার গান? বুকের ভিতর জমে ওঠে শত অভিমান, শান্তির নামে চলে রক্তাক্ত অভিযান। পৃথিবীটা ঘোরে, তবু বাঁচে না কাতর মায়ের চোখের কোণে ঘোরে। ক্ষমতার লোভে গড়ে বন্দুকের পাহাড় চূড়ে, অভাগাদের স্বপ্ন ভেঙে পড়ে মৃত্যু কবরের গহ্বরে। পৃথিবীটা ঘোরে ঠিকই, তবু হৃদয় যেন চিরদিনই অধিকারহীন একদিক! তবু কিছু শিশু আজও গায় নতুন দিনের সঙ্গীত, ভালোবাসা আর মানবতা হোক এই ধরণীর একমাত্র ঐশ্বরিক শক্তি চিরস্থায়ী নীত! ✍️ নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, কবি ও সমাজসচেতন লেখক। bdnews24 ব্লগ -এ ‘নিতাই বাবু’ নামে লেখালেখি করেন বহু বছর ধরে। তাঁর লেখায় উঠে আসে শৈশব, গ্রামীণ জীবন, নারায়ণগঞ্জ শহর ও শীতলক্ষ্যার আত্মজ স্মৃতি...

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

ছবি
🌊 আমার শৈশবের বন্ধু – শীতলক্ষ্যা 💙 নদী মানেই শুধু পানি নয়... নদী মানে এক বুক স্মৃতি, একমুঠো স্বপ্ন, একটুকরো শৈশব। স্বাধীনতার পর, বন্দরে আসার শুরুতেই আমার নতুন জীবনের গল্পে শীতলক্ষ্যা ছিল আমার প্রতিদিনের সঙ্গী। সকালবেলা স্কুলে যাওয়ার পথে তার কলকল শব্দ, দুপুরে ঘাটের ছেলেদের খেলাধুলা, আর বিকেলে নৌকার হালকা দুলুনিতে স্বপ্ন দেখা—এসব কিছুই বাঁধা ছিল এই নদীর সঙ্গে। কিন্তু আজ... আমার সেই প্রিয় বন্ধুটা আর আগের মতো নেই। কলকারখানার দূষণ, বেদখল আর লোভের আগ্রাসনে সে যেন দম বন্ধ হয়ে আসা এক নীরব আত্মা। এই নদীর বুকেই আমি ছুঁয়েছিলাম জীবনের প্রথম স্বাধীনতা। আজ সেই নদীর বুক চিড়ে বয়ে চলে বিষ ও বিসর্জনের ধারা। তবুও স্মৃতির ভেতর সে এখনো আছে। আমি আজও শুনতে পাই সেই ঢেউয়ের ডাক। — নিতাই বাবু

মেয়ের বাড়ি করপাড়ায়

ছবি
সবুজ ছায়া ছুঁয়ে আসে, বৌলতলি বাজার পেরিয়ে— করপাড়ার পথ ধরে হাটছি, যেন গ্রামজীবনের গভীর এক বয়ে যাওয়া গান। এক পাশে কলাপাতা নড়ে, চুপিচুপি বলে যায় গল্প, অন্য পাশে ধানক্ষেতের হাসি মাঠের বুক ভরে দেয় স্বপ্ন। এই পথে কতদিন হেঁটেছে পা, মাঠের ছেলে, স্কুলের মেয়ে, কখনো বর্ষায় কাদামাখা, কখনো শরতে রোদে ভেজা। বোলাকর বাজারের ডাক, দূরে বাজে যেন শালিকের গান, এই পথ শুধু রাস্তা নয়— এ এক মায়ার টান। গোধূলি নামলে গাছেরা কাঁপে, হাওয়ার সাথে বাজে বাঁশির সুর, এই করপাড়ার শান্ত ছায়াপথ আমার হৃদয়ের উর্বর থির। ভূমিকা গ্রাম মানেই একটানা চলতে থাকা প্রাণের ছন্দ— সবুজ গাছ, পাখির ডানা, মাঠের বুকজুড়ে বাতাসের পরশ। আমার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের করপাড়া গ্রাম— যেখানে বৌলতলি বাজার থেকে শুরু হয়ে একটি সরু পিচঢালা রাস্তা এগিয়ে চলে মাঠের পাশ দিয়ে, গাছের ছায়া পেরিয়ে, মানুষের চেনা মুখ, হারিয়ে যাওয়া গন্ধ আর ফেলে আসা দিনগুলোর মতো এক অনুভব বয়ে নিয়ে। এই পথ শুধু যাত্রার মাধ্যম নয়, এ পথ আমার শৈশবের সঙ্গী, আমার নীরব ভালোবাসা, আমার স্মৃতির রঙিন রেখা। এই করপাড়ার পথকে ঘিরেই রচিত হয়েছে একটি কবিতা— যার প্রতিটি শব্দে মিশে আছে মাটি, গন্ধ, ছায়...

করপাড়ার পথ

ছবি
সবুজ ছায়া ছুঁয়ে আসে, বৌলতলি বাজার পেরিয়ে— করপাড়ার পথ ধরে হাটছি, যেন গ্রামজীবনের গভীর এক বয়ে যাওয়া গান। এক পাশে কলাপাতা নড়ে, চুপিচুপি বলে যায় গল্প, অন্য পাশে ধানক্ষেতের হাসি মাঠের বুক ভরে দেয় স্বপ্ন। এই পথে কতদিন হেঁটেছে পা, মাঠের ছেলে, স্কুলের মেয়ে, কখনো বর্ষায় কাদামাখা, কখনো শরতে রোদে ভেজা। বোলাকর বাজারের ডাক, দূরে বাজে যেন শালিকের গান, এই পথ শুধু রাস্তা নয়— এ এক মায়ার টান। গোধূলি নামলে গাছেরা কাঁপে, হাওয়ার সাথে বাজে বাঁশির সুর, এই করপাড়ার শান্ত ছায়াপথ আমার হৃদয়ের উর্বর থির। ভূমিকা গ্রাম মানেই একটানা চলতে থাকা প্রাণের ছন্দ— সবুজ গাছ, পাখির ডানা, মাঠের বুকজুড়ে বাতাসের পরশ। আমার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের করপাড়া গ্রাম— যেখানে বৌলতলি বাজার থেকে শুরু হয়ে একটি সরু পিচঢালা রাস্তা এগিয়ে চলে মাঠের পাশ দিয়ে, গাছের ছায়া পেরিয়ে, মানুষের চেনা মুখ, হারিয়ে যাওয়া গন্ধ আর ফেলে আসা দিনগুলোর মতো এক অনুভব বয়ে নিয়ে। এই পথ শুধু যাত্রার মাধ্যম নয়, এ পথ আমার শৈশবের সঙ্গী, আমার নীরব ভালোবাসা, আমার স্মৃতির রঙিন রেখা। এই করপাড়ার পথকে ঘিরেই রচিত হয়েছে একটি কবিতা— যার প্রতিটি শব্দে মিশে আছে মাটি, গন্ধ, ছায়...

আমি সমাজের ঘৃণিত মানুষ

ছবি
                 শ্রী নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) আমি হিন্দু আমি বিধর্মী আমি ছাড়াল আমি চণ্ডাল, আমি মূর্তিপূজা করি তাই কেউ বলে আমি সমাজের জঞ্জাল। আমি গরিব আমি দরিদ্র আমি অর্থহীন আমি ভূমিহীন, আমি অসহায় নিঃস্ব তাই কেউ বলে আমি সমাজের ডাস্টবিন। আমি কুশ্রী আমি অসুন্দর আমি দুর্বল আমি শক্তিহীন, আমি চাকরি করি তাই কেউ বলে আমি চাকর পরাধীন। আমি শত্রু আমি কুলাঙ্গার আমি গৃহহীন আমি সর্বহারা, আমি বস্তিতে থাকি তাই কেউ বলে আমি উদ্বাস্তু বাস্তুহারা। আমি অসহায় আমি অভিশপ্ত আমি সংখ্যালঘু আমি ঘৃণিত, আমি মূর্খ অশিক্ষিত তাই কেউ বলে আমি সমাজের নিন্দিত। আমি মানব আমি সৃষ্টির সেরা আমি স্রষ্টার প্রেরিত মানুষ, আমি সমাজের দরিদ্র তাই কেউ বলে আমি সমাজের অমানুষ। আমার জীবনের গল্প নিয়ে কিছু লেখার লিংক দেয়া হলো।  জীবনের গল্প-১ এখানে।   জীবনের গল্প-২ এখানে। জীবনের গল্প-৩ এখানে।   জীবনের গল্প-৪ এখানে। জীবনের গল্প-৫ এখানে।   জীবনের গল্প-৬ এখানে। জীবনের গল্প-৭ এখানে।   জীবনের গল্প-৮ এখানে। জীবনের গল্প-৯ এখানে।   জীবনের গল্প-১০ এখানে। ...

অভাবে স্বভাব নষ্ট

ছবি
              ছবি নিজের এডিটিং করা। সংসারে যদি থাকে অভাব  বলে তাকে অভাবী, অভাবে হয় স্বভাব নষ্ট  হয় সে দুশ্চরিত্র স্বভাবী।  অভাব নাই যার ঘরে সুখ তার সংসারে, সুখী সংসারেও লাগে আগুন  জ্বলে-পুড়ে মরে। যার নাহয় স্বভাব নষ্ট  হয়না তার কষ্ট, যদিও থাকে না খেয়ে সে থাকে সুস্থ পরিপুষ্ট। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৯/০৫/২০২৩ইং।

দুখী মানব

ছবি
দুখী আমি অভাগা আমি লোকে বলে আমি ভিখারি, ভিক্ষুক চাইলে দেয়না ভিক্ষা  তারাই নাকি এই সমাজে হাজারী।  দিনমজুর আমি অভাবী আমি লোকে বলে আমি নাকি দুখী, পরের ধন খায় লুটেপুটে  তারাই নাকি এই সমাজে চিরসুখী।  কাঙাল আমি জঞ্জাল আমি এই সমাজের মানুষের কাছে, কাঙালিদের খাবার কেড়ে খায় তারাই নাকি থাকে ক্ষমতার আগে-পাছে। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৯/০৫/২০২৩ইং।

মায়ের ভালোবাসা

ছবি
মায়ের ভালোবাসা এমনই হয়, সন্তানে মুখে খাবার তুলে দিয়ে নিজেই না খেয়ে রয়! মায়ের দায়িত্ব এমনই হয়, শত দুঃখ-কষ্ট আপদ-বিপদেও সন্তানকে বুকে ধরে রয়! মায়ের ভুমিকা এমনই হয়, কখন যে আসবে ঝড়তুফান  সেদিকে কান পেতে রয়! মায়ের আশা এমনই হয়  সন্তানকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে তুলে লয়! মায়ের ঋণ শোধরাবার নয়, সন্তানের শরীরের চামড়া দিয়েও যদি মায়ের পায়ের জুতো বানানো হয়।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।

পাঁচ বালতি জমি

ছবি
পাঁচ বালতি জমি আমার পরের বাড়ি থাকি, জমিতে করেছি ফুলের চাষ ধান থাকলো বাকি। আস্তেধীরে চাষ করবো সব আলু পটল বেগুন, এসবের নাকি ফলন ভালো  দামেও চড়া দ্বিগুণ। পাঁচ বালতি জমিতে আমার তুলসী দেখায় শোভা,  তুলসী লাগে দেব পূজায়  ফুলও লাগে জবা। একটা গাছে ফুটেছে রক্তজবা  আর একটায় কামিনী,  তা দেখে সবাই খুশি  খুশি মোর অর্ধাঙ্গিনী। প্রিয় পাঠক, লেখা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৯/০৫/২০২৩ইং।

হে জাতির পিতা

ছবি
হে জাতির পিতা,  আমি যদি শিল্পী হতাম, তোমার ছবি এঁকে রাখতাম! দেয়ালে দেয়ালে তোমার ছবি আঁকতাম,   ছবিগুলো দেখে রাখতে অনুরোধ করতাম। যাদুঘরে মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখতাম, জনমে জনমে মনের মনিকোঠায় রেখে দিতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি কবি হতাম! তোমার নামে কবিতা লিখতাম, আমার সোনালী ডায়রিতে লিখে রাখতাম! কবিতার বই ছাপিয়ে সবাইর হাতে দিতাম, তোমার নাম কাগজে লিখে বাতাসে ওড়াতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি ইতিহাসবিদ হতাম!  তোমার নামে ইতিহাস রচনা করতাম, তুমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তা লিখতাম।  জীবনভর শুধু তোমার ইতিহাসই লিখে যেতাম, পৃথিবীর বাইরে থাকা ভিনগ্রহেও প্রচার করতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি হিমালয় হতাম! পর্বতের চূড়ায় পদ্মাসনে বসাতাম, তোমাকে আমার দেবতা মেনে পূজা করতাম! আমার মন মন্দিরে তোমার ছবি টাঙিয়ে রাখতাম, সকাল-সন্ধ্যা-রাতে তোমার ছবিতে ফুল ছেটাতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি বিচারক হতাম! তোমার হত্যাকারীদের শাস্তি দিতাম, ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতাম! দুষ্টু মদতদাতাদের বিচারের আওতায় আনতাম, বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাকারীদের ...

অশান্ত মন

ছবি
অশান্ত এই মন  করে শুধু বনবন  ভাবে বসে সারাক্ষণ কী করি এখন?  দিতে চায় ওজন  সেরে সেরে মণ মেলে না যখন গোলমাল বাধে তখন! ভাবতে হয় ভীষণ হিসাব নেবে মহাজন  মেলাবে কে এখন সময়ও নেই বেশিক্ষণ! তবুও ভাবে কিছুক্ষণ  ফাঁকি চলে কতক্ষণ  হাতে সময় অল্পক্ষণ  কী হবে যে কখন! কে আছে আপন  কোথায় আপনজন প্রিয়জন পরিজন আত্মীয়স্বজন বন্ধুগণ কাছে নেই স্বজন।  বিপদে বন্ধুর লক্ষণ ক্ষুধায় উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ  লোভে কুমন্ত্র গ্রহণ  বিশ্বাসে মন্ত্র শ্রবণ।  এমনি করে কতোজন  ভাগ্যে সিংহাসনে আহরণ  জোটে ক্ষমতার আসন ময়দানে বক্তৃতা ভাষণ। বনে যায় রাবণ কাঁপায় রাজনীতির অঙ্গন  দুর্নীতিতে গড়ে বিলাসভবন  চামচিকা করে তৈলমর্দন।  এভাবেই চলছে ভূবণ  মরছে দেশের জনসাধারণ  চালিয়ে যায় আন্দোলন নিশ্বাস থাকে যতক্ষণ।  হোক না মরণ চলুক দমন পীড়ন  করবো না পলায়ন প্রভুকে করবে স্মরণ!  একজন দুইজন তিনজন  ক্ষমতায় আসে যতজন  তারাই করছে ভোজন  কে আছে আস্থাভাজন?  মেলেনা মনের মতন  এমনই হিসাবের ধরন  বোধহয় জীবনটা রণাঙ্গন...

উন্নয়ন বিসর্জন

ছবি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দুর্মূল্যের কথা করেছি শ্রবণ  দাম বেড়েছে চাল ডাল তেল মরিচ আলু পটল লবণ রোজগার তো বাড়েইনি খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ এখন দিনমজুররা সীমিত মজুরিতে খেতেও পাচ্ছে না তেমন।  বড়লোকরা তো টেরই পায় না, তারা করে নিত্য ভ্রমণ কেউ যায় সিঙ্গাপুর, কেউ আমেরিকা, কেউ যায় লন্ডন দ্রব্যাদির দাম যতই বাড়ুক, তারা করে রাজকীয় ভোজন ইলিশ মাছ ভাজা, রুই মাছের ঝোল, মাংসও থাকে কমন। দুর্মূল্যের জাঁতা কলে মরছে দেশের যতো গরিব জনগণ নুন আনতে ফুরোয় পান্তা, দেখা যায় গ্রাম শহরে এমন আগে গরিবেরা খেতো আটার রুটি, ধনীরা হাসতো তখন সেই আটা গরিবের হাত ছাড়া, ধনীরাই খায় যখন-তখন।  দুর্মূল্যের বাজারে সবকিছু বদলে হয়েছে পরিবর্তন  গরিবের ফুটপাতে ভিড় জমায় শহরের নামি মহাজন রিকশাওয়ালাকে ছোটলোক বলতো কতো বিশিষ্টজন এখন তারাই চশমা পরে রিকশা চালায় রাত হয় যখন।  ডাস্টবিনে ফেলা পচা খবর খেয়ে যারা বাঁচাতো জীবন  সেই ডাস্টবিনে খাবার না পেয়ে হচ্ছে অনেকেরই মরণ ৭৪-এর দুর্ভিক্ষে আটার জাউ গরিবরা করেছিল ভক্ষণ  দুর্মূল্যের এই নীরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মরছে কতোজন? মন্ত্রী বলে প্রতিদিন তিনবেলা মাংস খেতে পা...