পোস্টগুলি

মানবিকতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রেম মানেই নারী-পুরুষের ভালোবাসা নয়! প্রেমের প্রকৃতি ও মানবিক দিক

ছবি
  🌹 প্রেম মানেই নারী-পুরুষের ভালোবাসা নয়! প্রেমের প্রকৃতি ও মানবিক দিক সমাজে সাধারণত আমরা প্রেমকে শুধু নারী-পুরুষের রোমান্টিক সম্পর্কের সঙ্গে সংযুক্ত করি। কিন্তু প্রেম আসলে অনেক বিস্তৃত এবং বহু মাত্রার। এটি শুধুই রোমান্স নয়, বরং মানবিক, নৈতিক ও সামাজিক দিকের একটি অন্তর্নিহিত শক্তি। 💖 প্রেমের প্রকৃতি প্রেম বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এটি কেবল ভালোবাসার অনুভূতি নয়, বরং মানুষের **আত্মা ও মনকে উন্নত করার উপায়**। প্রেমের মূল দিকগুলো হলো: সহানুভূতি ও স্নেহ: অন্যের সুখ-দুঃখ উপলব্ধি করে পাশে থাকা। এটি রোমান্টিক বা পারিবারিক, উভয় ক্ষেত্রেই থাকতে পারে। আত্মত্যাগ: নিজের স্বার্থের চেয়ে অন্যের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দেওয়া। সত্যিকারের প্রেমে নিজের ক্ষতি হলেও অন্যকে সাহায্য করা হয়। মানবিক মূল্যবোধ: সম্মান, সততা, ন্যায় এবং দায়িত্ববোধ প্রেমের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। বন্ধুত্ব ও পরিবার: বন্ধু, মা-বাবা, ভাই-বোন বা সহকর্মীর সঙ্গে যত্নশীল সম্পর্কও প্রেমের অংশ। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা: পৃথিবী, পরিবেশ, গাছ...

হিংসার পরিণাম

ছবি
  হিংসার পরিণাম ✍️ হিংসার পরিণাম হিংসা—মানব মনের এক ভয়ংকর ব্যাধি, যা বাইরে থেকে দৃশ্যমান না হলেও ভেতরটা নিঃশেষ করে ফেলে। এটি এমন এক বিষ, যার প্রথম শিকার নিজেই হিংসুক মানুষটি। সেই মানুষটি হয়তো অন্যের অগ্রগতি দেখে হাসে না, বরং মনের গভীরে জ্বলে ওঠে। অন্যের প্রাপ্তি তার কাছে হয়ে ওঠে নিজের অপূর্ণতার প্রতিচ্ছবি। আর এই অনুভূতির বীজ থেকেই জন্ম নেয় ঈর্ষা, বেড়ে ওঠে হিংসা। "হিংসুক ব্যক্তি অপরের সুখ দেখে কষ্ট পায়, আর নিজের দুঃখে অন্ধ হয়ে যায়।" 🎭 হিংসার ছদ্মবেশ হিংসুকরা মুখে প্রশংসা করলেও মনে থাকে অন্যের পতনের পরিকল্পনা। তারা উপরে উপরে হাসে, অথচ মনে মনে কারো ব্যর্থতা কামনা করে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে তারা সফল মানুষদের টেনে নামাতে চায়। তারা ভুলে যায়— "অন্যের আলো নিভিয়ে নিজেকে উজ্জ্বল করা যায় না।" 🔥 হিংসার ফলাফল হিংসা থেকে জন্ম নেয় কুৎসা, অপপ্রচার, বিশ্বাসঘাতকতা। অনেক সময় হিংসা ব্যক্তিকে ঠেলে দেয় অন্যায় ও অপরাধের দিকে। ছোট থেকে ছোট হিংসাও একদিন বড় বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিবারে বিভেদ, বন্ধুত্বে দূরত্ব, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় হিংস...

প্রতিশোধ নিতে হবে - একটি গদ্য কবিতা

ছবি
  প্রতিশোধ নিতে হবে - একটি গদ্য কবিতা ✊ প্রতিশোধ নিতে হবে (একটি গদ্য কবিতা) তারা তো কিছুই চায়নি বেশি, শুধু একটু সম্মান, একটু নিরাপত্তা, একটু মানুষ হয়ে বাঁচার অধিকার। তারা হাতে রাখেনি অস্ত্র— রাখেনি হিংসা কিংবা বিদ্বেষ— তাদের ছিল কেবল কণ্ঠ, আর ছিল বিশ্বাস। কিন্তু এই কণ্ঠই ভয় দেখায় শাসকদের, এই প্রশ্নই কাঁপিয়ে দেয় ক্ষমতার মঞ্চ। তাই তো তারা গুলি চালায়, নিঃশব্দ করে দেয় প্রতিবাদের ছায়া। একেকটা শরীর পড়ে থাকে রাস্তায়, একেকটা হৃদয় চিরতরে থেমে যায়, আর বাড়ি ফিরে আসে শুধু খালি জামা। তারা যে ফিরে আসবে না— তারা যে ঘরে ঢুকবে না আর কোনোদিন— সে শোক কি কোনো পতাকা মেলে? সে রক্ত কি ধুয়ে যায় মৌনতার জল দিয়ে? না, আমরা ভুলে যাব না। আমরা ঝরে যাওয়া প্রতিটা চোখের জল গুনে রাখবো, আমরা জমা রাখবো প্রতিটি নিঃশ্বাসের ব্যথা, আমরা শপথ করবো— এই প্রতিশোধ হবে ঘৃণায় নয়, হিংসায় নয়, এই প্রতিশোধ হবে আলো দিয়ে, সাহস দিয়ে, সত্য দিয়ে। তারা চেয়েছিলো ন্যায়ের পথ— আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাবো। কণ্ঠকে নীরব করলেও...

ভোরের অপেক্ষা

ছবি
  🌅 গল্প: ভোরের অপেক্ষা রাত পেরিয়ে নতুন একটি দিনের ভোর আসছে। গ্রামের শেষ প্রান্তের মাটির ঘরে বসে অশীতিপর বৃদ্ধ নিমাই দাদা তাকিয়ে আছেন পুরোনো কাঠের জানালা দিয়ে। বাইরের আকাশে এখনও ঘুটঘুটে অন্ধকার, কিন্তু তাঁর চোখে আলো। নয়, বাইরের নয়—ভেতরের আলো। তিনি জানেন, আজ হয়তো তাঁর জীবনের শেষ ভোর। বুকের ব্যথাটা এখন সহ্য হয় না। হাঁটতে পারেন না ঠিকমতো, কথা বলতে গেলেই কাশি চেপে ধরে। তবুও তিনি জানালা খুলে বসে আছেন, ভোর দেখবেন বলে। এই ভোর তাঁর কাছে শুধু সূর্য ওঠার সময় নয়, এটা যেন তাঁর জীবনের শেষ আলো। তিনি অপেক্ষা করছেন ছোট ছেলে সুমনের জন্য। শহর থেকে ফোন করেছিল গতকাল—‘বাবা, কাল আসব’। সেই অপেক্ষার ভোর আজ। নিমাই দাদার হাত কাঁপছে, কপালে ঘাম, কিন্তু চোখে অপেক্ষার আলো। হঠাৎ গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে একটা বাইকের শব্দ। জানালা দিয়ে ঝুঁকে তাকান তিনি। অন্ধকার ভেদ করে আলোয় ভেসে ওঠে সুমনের মুখ। নিমাই দাদা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাসলেন—যেন জীবনের সব দুঃখ লাঘব হয়ে গেল এই এক পলকে। ভোর এসেছিল, তবে সূর্য ওঠার আগেই নিমাই দাদা চোখ বুজলেন। আর সেই মুহূর্তে ঘরের বাইরে ছড়িয়ে পড়ল প্রথম রশ্মির আলো। ছেলে পাশে বসে...

বিশ্বে সকল দিবসের সাথে ভিক্ষা দিবস চাই

ছবি
🌍 বিশ্বে সকল দিবস থাকতে ভিক্ষা দিবস নেই কেন? ভালোবাসা দিবস আছে, মা দিবস আছে, বাবা দিবস আছে, শিশুদিবস, নারী দিবস, শ্রমিক দিবস, এমনকি টয়লেট দিবসও আছে! কিন্তু বিশ্বে আজও একটি দিবস নেই, যার নাম হতে পারত ‘বিশ্ব ভিক্ষা দিবস’। ভাবছেন, আমি কি ব্যঙ্গ করছি? হয়তো কিছুটা। কিন্তু প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে—এই পৃথিবীতে যখন প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ অভুক্ত ঘুমায়, যখন শিশুদের হাতে বইয়ের বদলে প্লাস্টিক বোতল আর ভাঙা বাটি, তখন কি ভিক্ষুকদের কথা স্মরণ করার জন্য একটা দিনও বরাদ্দ হতে পারত না? ভিক্ষুক কারা? বস্তুত, ভিক্ষুক মানে শুধু রাস্তার মোড়ে বসে থাকা কাঁপা হাতে পয়সা চাওয়া মানুষ নয়। ভিক্ষুক মানে সেই বাবা, যে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে না পেরে সমাজের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ায়। ভিক্ষুক মানে সেই মা, যে হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক পরিচয়ের দরজায় দরজায় ঘোরে। ভিক্ষুক মানে সেই পুরো জাতি, যাদের শাসকগোষ্ঠী বৈদেশিক অনুদানের জন্য মাথা নিচু করে বসে থাকে। ভিক্ষা কি লজ্জা, না প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা? আমরা ভিক্ষুকদের দেখি, করুণা করি, অনেকে গালও দিই। কিন্তু কতজন ভাবি, কেন তারা পথে? কতজন ভাবি, এই ...