পোস্টগুলি

Intermediate লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৫: জীব, আত্মা ও মুক্তির দিকনির্দেশনা

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৫ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৫ শ্রীভগবদ্গীতার এই পঞ্চদশ অধ্যায়ে জীবের প্রকৃতি, আত্মার সত্য এবং এই জগতের কাঠামো নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে কর্ম, জ্ঞান এবং ভক্তি সমন্বয়ের মাধ্যমে জীব মুক্তি লাভ করতে পারে। কৃষ্ণ বলেছেন, "প্রকৃতি ও আত্মার মধ্যে পার্থক্য বুঝে, জীব তার ঋণমুক্তি লাভ করে। যে ব্যক্তি সংসার ও পদার্থের মোহ ত্যাগ করে, তিনিই চিরস্থায়ী শান্তি এবং জ্ঞান লাভ করে।" এই অধ্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জীবনের ত্রিফলক চরিত্র বা জগতের অস্থায়ী প্রকৃতির ব্যাখ্যা। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমস্ত পদার্থ চলে গেলেও, আত্মা চিরন্তন। মানব জীবনও একটি বৃক্ষের মতো—মূল ঈশ্বরের, শিকড় সংসারের, পাতা ও ফল অস্থায়ী। যে ব্যক্তি এই জীবনচক্রের সত্য বোঝে, মোহ ও অহংকার ত্যাগ করে, সে ঈশ্বরের প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে চিরস্থায়ী শান্তি অর্জন করতে পারে। অধ্যায়টি কর্ম ও জ্ঞান সমন্বয়ের মাধ্যমে আত্মা এবং প্রকৃতির মধ্যকার সম্পর্ক বোঝায়। সংক্ষেপে, পর্ব-১৫ শিক্ষা দেয় কিভাবে চিরন্তন আত্মা এবং অস্থায়ী দেহের মধ্যে পার্থক্য চেনা...

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৪: ত্রিগুণবিষয়ক শিক্ষা

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৪ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৪: ত্রিগুণবিষয়ক শিক্ষা শ্রীকৃষ্ণ আর্জুনকে শিক্ষা দেন যে, এই পৃথিবীতে সব জীবনে তিনটি গুণ প্রভাবিত করে—সততা (সৎ), রাগ (আগ্রহ/ক্লেশ) এবং অজ্ঞতা (মূঢ়তা)। এগুলোর সংমিশ্রণে মানুষের চরিত্র, মনোভাব এবং কর্ম তৈরি হয়। এই তিনটি গুণকে মিলিয়ে বলা হয় ত্রিগুণ । সততা গুণে মানুষ দয়াশীল, পরিশ্রমী ও জ্ঞানার্জনমুখী হয়। রাগ গুণ মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা, লোভ ও ইন্দ্রিয়সুখের আবেগ তৈরি করে। অজ্ঞতা গুণ মানুষকে উদাসীন, অলস ও মূঢ়তায় নিমজ্জিত করে। এই তিন গুণ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, এবং কাজের ফল ও আচরণও এই গুণগুলোর প্রভাবে নির্ধারিত হয়। শ্রীকৃষ্ণ আর্জুনকে বলেন যে, যোগের মাধ্যমে একজন মানুষ ত্রিগুণের প্রভাবে স্বাধীন হতে পারে। যখন মন, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয়গুলো নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন মানুষ সত্যিকারের মুক্তি ও শান্তি পায়। এই পর্বে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের কাজের প্রতি নিষ্ঠা রাখে এবং ত্রিগুণের প্রভাবে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে, তারই প্রকৃত ধ্যান ও মুক্তি সম্ভব। এই শিক্ষা মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের দৈনন্দিন জ...

মধ্য আয়ের দেশ – আমাদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পথচলা

ছবি
  🌾 মধ্য আয়ের দেশ – আমাদের অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পথচলা 🌾 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যাত্রা একসময় ছিল শূন্য থেকে শুরু করা একটি লড়াই। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো, দারিদ্র্যের শেকড়বদ্ধ পরিস্থিতি—সবকিছু যেন একটি ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ দশকে আমরা প্রমাণ করেছি, দৃঢ় মনোবল, সঠিক পরিকল্পনা ও মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম যে কোনো অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশের কাতারে । এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে বহুমাত্রিক উন্নয়ন কৌশল। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, পোশাক শিল্পে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় জয়লাভ, প্রবাসী আয় এবং নারীশক্তির কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ—সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিকে দিয়েছে শক্ত ভিত। বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার প্রসার ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি, বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়েছে। 📈 অর্থনৈতিক অর্জন প্রতি ব্যক্তি আয় (GNI per capita) উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্যের হার বিগত দুই দশকে নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ও রপ্ত...