পোস্টগুলি

স্মৃতি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার

ছবি
মা নাই যার সংসার অরণ্য তার — নোয়াখালীর মাহাতাবপুরের মায়ের স্মরণে মা ছিল আমার, এক মাটির প্রতিমা, নোয়াখালীর মাহাতাবপুর, বজরার কাছে ছিল তার ভূমিকা। চৌমুহনী থানার প্রান্তে, শান্ত এক হিন্দু পরিবারে, ছয় সন্তানের জননী হয়ে, আলো জ্বেলেছিলেন ঘরে ঘরে। তার কপালের সিঁদুর যেন ছিল সূর্যোদয়ের প্রতিচ্ছবি, তার আঁচলে ছিল গন্ধ, ধানভাঙা বিকেলের ছবি। তিনি ছিলেন ঘরের শ্রুতি, প্রতিটি শিশুর মুখে হাসি, জীবনের কষ্টকে ঢেকে রাখতেন মায়াবী ভালবাসায় ভাসি। ভোরে উঠেই হাঁড়িতে চড়াতেন ভাত, শীতের সকালে কাঁপতে কাঁপতে দিতেন গায়ে হাত। ঈশান কোণে প্রদীপ জ্বলত, তারই প্রার্থনায়, আমার ছোট ছোট দুঃখগুলো গলে যেত মায়ের ছায়ায়। আজ তিনি নেই... ঘরের উঠোনে আর তার পায়ের চিহ্ন পড়ে না, ভাতের হাঁড়িতে তার হাতের গন্ধ আর জাগে না। আলো জ্বালানো সেই চোখজোড়া এখন নিভে গেছে, শুধু স্মৃতির ঝর্নাধারায় মন আমার ভেসে চলে, ক্লান্ত, অনিশ্চিত পথ বেয়ে। দরজায় আজো কাঁপে হাওয়া, কিন্তু সে তো মায়ের নয়, দেয়ালে আজো ঝোলে ছবিখানি, নিঃশব্দে কেবল কাঁদে অশ্রু-ঢেউয়ে। তার ডাকা নামে কেউ আর ডাকেন...

ছোটবেলার স্মৃতিগুলো

ছবি
মন বলে আজ ফিরে যাই সেই ছোটেলায়  যেসময় কেটেছিল দিনগুলো খেলায় খেলায় ঘুরেফিরে কেটেছিল সময় মেলায় মেলায় দিন মাস বছর ফুরিয়েছে হেলায় হেলায়। মন বলে আজ সময়তো বেশি নেই হাতে যেটুকু সময় ছিল তা হয়েছে শেষ অজান্তে  তবুও যে হায় মন চলে যায় সেই ছোটবেলাতে জীবনের শেষ সময়েও পারিনা মনটাকে মানাতে।  তা কি হায় সেখানে কি আর ফিরে যাওয়া যায়? ফিরে দেখা যায়, স্মৃতিগুলো যে মনের মণিকোঠায় স্মৃতিগুলো যাবেনা মুছে, যদিও চলে যাই ঐ চিতায় স্মৃতিগুলো রয়েই যাবে যখন থাকবো না দুনিয়ায়।  প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৭/০৫/২০২৩ইং।

স্মৃতি'র আল্পনা

ছবি
                  ছবি ইন্টারনেট থেকে। কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন। বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এয়ানব্যান্ড রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন আল্পনা আঁকি স্মৃতিগুলো! প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন। নিতাই বাবু , নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ...

স্মৃতির আল্পনা

ছবি
কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন।  বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম  ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এফএম রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট  কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা  তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট  পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম  করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন  তবুও আঁকি স্মৃতিগুলো! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি নিজের তোলা। এলাকার বাদশা মিয়া।

বই কেনার টাকা দিয়ে দি রেইন ছায়াছবি দেখা

ছবি
একসময়ের অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত “দি রেইন” একদিন স্কুলে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস চলছিল। তখন আমার কাছে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের বই ছিল না। টিফিন টাইমে আমি এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে বইটা চেয়ে নিয়ে ক্লাসে বসে বসে মুখস্থ করছিলাম। টিফিনের পরেই ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস। আমি ক্লাসরুমে বসে পড়তে পড়তেই টিফিন শেষ হয়ে গেল। সবাই ক্লাসে ঢুকল, স্যারও এলেন। স্যার একে একে সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগলেন। যাকে প্রশ্ন করছেন, সে দাঁড়িয়ে পড়া বলছে। এবার স্যার আমার দিকে আঙুল তুলে দাঁড়াতে বললেন। আমি দাঁড়ালাম। প্রশ্ন করলেন, আমি উত্তর দিতে পারলাম না। পড়া না পারায় স্যারের হাতে কয়েকটি বেতের বাড়ি খেলাম। সেদিন বাসায় এসে মায়ের কাছে কাঁদতে কাঁদতে বললাম— “মা, আমি আর স্কুলে পড়ব না।” মা বললেন— “কেন?” আমি বললাম— “আমার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের বই নেই! আজ স্যারের হাতে মার খেয়েছি। দেখুন!” মা দেখলেন আমার পিঠে ফুলে লাল দাগ। তেল-জল মিশিয়ে মাখিয়ে দিলেন। রাতে বাবা বাসায় ফিরলে মা সব কথা খুলে বললেন। বাবা বললেন— “বইয়ের দাম কত?” আমি বললাম— “২০ টাকার মতো।” বাবার কাছে তখন মাত্র ১৫ টাকা ছিল। তিনি সেই টাকা মায়ের হাতে দিলেন, আর বল...