পোস্টগুলি

এপ্রিল ৩০, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বই কেনার টাকা দিয়ে দি রেইন ছায়াছবি দেখা

ছবি
একসময়ের অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত “দি রেইন” একদিন স্কুলে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস চলছিল। তখন আমার কাছে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের বই ছিল না। টিফিন টাইমে আমি এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে বইটা চেয়ে নিয়ে ক্লাসে বসে বসে মুখস্থ করছিলাম। টিফিনের পরেই ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস। আমি ক্লাসরুমে বসে পড়তে পড়তেই টিফিন শেষ হয়ে গেল। সবাই ক্লাসে ঢুকল, স্যারও এলেন। স্যার একে একে সবাইকে প্রশ্ন করতে লাগলেন। যাকে প্রশ্ন করছেন, সে দাঁড়িয়ে পড়া বলছে। এবার স্যার আমার দিকে আঙুল তুলে দাঁড়াতে বললেন। আমি দাঁড়ালাম। প্রশ্ন করলেন, আমি উত্তর দিতে পারলাম না। পড়া না পারায় স্যারের হাতে কয়েকটি বেতের বাড়ি খেলাম। সেদিন বাসায় এসে মায়ের কাছে কাঁদতে কাঁদতে বললাম— “মা, আমি আর স্কুলে পড়ব না।” মা বললেন— “কেন?” আমি বললাম— “আমার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের বই নেই! আজ স্যারের হাতে মার খেয়েছি। দেখুন!” মা দেখলেন আমার পিঠে ফুলে লাল দাগ। তেল-জল মিশিয়ে মাখিয়ে দিলেন। রাতে বাবা বাসায় ফিরলে মা সব কথা খুলে বললেন। বাবা বললেন— “বইয়ের দাম কত?” আমি বললাম— “২০ টাকার মতো।” বাবার কাছে তখন মাত্র ১৫ টাকা ছিল। তিনি সেই টাকা মায়ের হাতে দিলেন, আর বল...

দেবতা গণেশের আসল মাথা আর হাতির দেহ কোথায়?

ছবি
গণেশ পূজা ও “মঙ্গলঘট”: একটি প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। অর্থাৎ আমি হিন্দু। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, আমার মা-বাবা, ভাই-বোন, কাকা-কাকী, মামা-মামীসহ হিন্দু সমাজের সকলেই ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজার্চনা করে আসছেন। আমিও প্রতিবছর নিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত প্রায় প্রতিটি পূজায় অংশগ্রহণ করে ভক্তিভরে পালন করি। সবচেয়ে বেশি আনন্দ উপভোগ করি আমাদের হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব দুর্গাপূজায়। আর প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের এই দিনে, দিনটি শুরু করি গণেশ পূজা করে। এই দিনেই প্রতি বছর নিজেকে একটি প্রশ্ন করি— “আচ্ছা, দেবতা গণেশের মাথা হাতির কেন? গণেশের আসল মাথা কোথায় গেল? আর হাতির দেহটাই-বা কোথায় গেল এবং কিভাবে পূজিত হচ্ছে?” এই প্রশ্নের উত্তর আমি কখনোই সঠিকভাবে পাইনি, এমনকি কোনো পুরোহিতের কাছ থেকেও নয়। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি। আমার জানার আগ্রহ বরাবরই প্রবল। সেই আগ্রহ থেকেই একদিন ঘাঁটতে শুরু করলাম শিবপুরাণ। সেখান থেকেই পেলাম গণেশের মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং তাঁর দেহে হাতির মাথা স্থাপন হওয়ার কাহিনী। পরবর্তীতে আমি আমার স্বর্গীয় বড়দার কাছে বিষয়ট...

কান্না ভুলে হাসি

ছবি
  এসেছিলাম যখন আমি ভবে, আমি ছিলাম চুপ— চিন্তিত ছিল সবে! চোখ মেলে দেখালাম নিষ্ঠুর পৃথিবী, কেঁদে উঠলাম আমি— হেসেছিল জগতের সবে! আমার তো হাসার কথাই ছিল, তবু কেন হাসিনি? আমি দিলাম কেঁদে! বুঝলাম— পৃথিবীটা বড়ই স্বার্থপর, কেউ কারো নয়— শুধু সৃষ্টিকর্তা বাদে। সেদিনের কান্নায় হেসেছিল বিশ্ববাসী, কান্না গিয়েছি ভুলে— এখন শুধু হাসি! হাসিই হোক আমার জীবনসঙ্গী, থাকুক মৃত্যু পর্যন্ত— দেখুক এই জগতবাসী! নিতাই বাবু  পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক— ব্লগ ডট বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম 

স্বপ্নের চাঁদের দেশে

ছবি
চাঁদের দেশে কাটা সুতা কিনতে গিয়েছিলাম! বর্তমানে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল মিলের সুতার টুকরা, ছেঁড়া কাপড়, সুতার কুণ্ডলী, কার্টনের জন্য অনেক স্থানে যেভাবে দলাদলি, মারামারি, খুনোখুনি হয়—তা দেখে মনে মনে ভাবি, ইশ! যদি চাঁদের দেশে যেতে পারতাম! তাহলে চাঁদের বুড়ির যুগ যুগ ধরে কাটা সুতাগুলো এনে আমাদের দেশের জুট ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হতে পারতাম! এরকম ভাবনা নিয়ে একদিন রাতের বেলা লেখালেখি বাদ দিয়ে চাঁদে যাওয়া নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখি, ঠিকই চাঁদের দেশে চলে গেছি! চাঁদের দেশে গিয়ে রোবট সাজে রকেট থেকে নেমে যখন চাঁদের বুড়ির সামনে গেলাম, তখন চাঁদের বুড়ি তেড়ে এসে আমার দুই গালে ঠাস-ঠাস করে দুটো থাপ্পড় মেরে জিজ্ঞাসা করলো— “তুই না গরিব দেশের গরিব মানুষ? গরিব হয়েও নাসার মহাকাশ যানে চড়ে পৃথিবী থেকে এখানে আসলি কীভাবে? আর আসলিই বা কেন?” চাঁদের বুড়ির প্রশ্নের জবাবে আমি দু’কান ধরে চার-পাঁচবার উঠবস করে বললাম— “বুড়ি মা, আমি তো আপনার সাথে কথা বলতে এসেছি। আগে আপনার দুই পা ছুঁয়ে নমস্কার করে নিই, তারপর নাহয় এখানে আসার উদ্দেশ্যটা বলি।” আমার কথা শুনে চাঁ...