পোস্টগুলি

গোপালগঞ্জ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন

ছবি
  গোপালগঞ্জ সদরের একটি শান্ত ও সবুজ গ্রাম— বৌলতলি করপাড়া । এই গ্রামের পথ, মাঠ, পুকুর, আর মানুষের মুখে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি ও অনুভব। এখানে কাটানো শৈশব কিংবা দেখা প্রথম ভালোবাসা, স্কুলমাঠে খেলাধুলা কিংবা বিকেলের শিষ বাজানো—সবকিছু একদিন ফিরে আসে হৃদয়ের পাতায়। এই কবিতাটি সেই ফেলে আসা দিনগুলোর এক স্মৃতিচারণ, যেখানে গ্রামবাংলার নিসর্গ, মানুষের আন্তরিকতা এবং একটি কিশোরীর স্বপ্ন একত্রে গাঁথা হয়েছে। পাঠকদের জন্য এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, বরং হৃদয়ের এক টুকরো ফিরে দেখা গ্রামজীবন। বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন মাঠে পুকুর পাড়ে, সাঁঝের কুয়াশায়, করপাড়ার ঘাটে বাজে স্মৃতির বাঁশি, তাল-গাছ, শাল-গাছ, বাতাসের ভাঁজে— বৌলতলি গ্রামে হৃদয় আজও হাঁসি। চালার নিচে আলো, খড়ের ঘ্রাণ মাখা, কিশোরীর হাঁসিতে কেঁপে ওঠে মন, মেঠো পথ ডাকে, ফেরার অনুরাগে, অঞ্জলি বিশ্বাস সেই সোনালি লক্ষ্মীজন। স্কুলব্যাগ কাঁধে, চোখে স্বপ্ন ঝিকিমিকি, দশম শ্রেণির দিন লেখা ছেঁড়া পাতায়, যে গাছের ছায়ায় সে গল্প বলত, আজো দাঁড়িয়ে...

মেয়ের বাড়ি করপাড়ায়

ছবি
সবুজ ছায়া ছুঁয়ে আসে, বৌলতলি বাজার পেরিয়ে— করপাড়ার পথ ধরে হাটছি, যেন গ্রামজীবনের গভীর এক বয়ে যাওয়া গান। এক পাশে কলাপাতা নড়ে, চুপিচুপি বলে যায় গল্প, অন্য পাশে ধানক্ষেতের হাসি মাঠের বুক ভরে দেয় স্বপ্ন। এই পথে কতদিন হেঁটেছে পা, মাঠের ছেলে, স্কুলের মেয়ে, কখনো বর্ষায় কাদামাখা, কখনো শরতে রোদে ভেজা। বোলাকর বাজারের ডাক, দূরে বাজে যেন শালিকের গান, এই পথ শুধু রাস্তা নয়— এ এক মায়ার টান। গোধূলি নামলে গাছেরা কাঁপে, হাওয়ার সাথে বাজে বাঁশির সুর, এই করপাড়ার শান্ত ছায়াপথ আমার হৃদয়ের উর্বর থির। ভূমিকা গ্রাম মানেই একটানা চলতে থাকা প্রাণের ছন্দ— সবুজ গাছ, পাখির ডানা, মাঠের বুকজুড়ে বাতাসের পরশ। আমার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের করপাড়া গ্রাম— যেখানে বৌলতলি বাজার থেকে শুরু হয়ে একটি সরু পিচঢালা রাস্তা এগিয়ে চলে মাঠের পাশ দিয়ে, গাছের ছায়া পেরিয়ে, মানুষের চেনা মুখ, হারিয়ে যাওয়া গন্ধ আর ফেলে আসা দিনগুলোর মতো এক অনুভব বয়ে নিয়ে। এই পথ শুধু যাত্রার মাধ্যম নয়, এ পথ আমার শৈশবের সঙ্গী, আমার নীরব ভালোবাসা, আমার স্মৃতির রঙিন রেখা। এই করপাড়ার পথকে ঘিরেই রচিত হয়েছে একটি কবিতা— যার প্রতিটি শব্দে মিশে আছে মাটি, গন্ধ, ছায়...

করপাড়ার পথ

ছবি
সবুজ ছায়া ছুঁয়ে আসে, বৌলতলি বাজার পেরিয়ে— করপাড়ার পথ ধরে হাটছি, যেন গ্রামজীবনের গভীর এক বয়ে যাওয়া গান। এক পাশে কলাপাতা নড়ে, চুপিচুপি বলে যায় গল্প, অন্য পাশে ধানক্ষেতের হাসি মাঠের বুক ভরে দেয় স্বপ্ন। এই পথে কতদিন হেঁটেছে পা, মাঠের ছেলে, স্কুলের মেয়ে, কখনো বর্ষায় কাদামাখা, কখনো শরতে রোদে ভেজা। বোলাকর বাজারের ডাক, দূরে বাজে যেন শালিকের গান, এই পথ শুধু রাস্তা নয়— এ এক মায়ার টান। গোধূলি নামলে গাছেরা কাঁপে, হাওয়ার সাথে বাজে বাঁশির সুর, এই করপাড়ার শান্ত ছায়াপথ আমার হৃদয়ের উর্বর থির। ভূমিকা গ্রাম মানেই একটানা চলতে থাকা প্রাণের ছন্দ— সবুজ গাছ, পাখির ডানা, মাঠের বুকজুড়ে বাতাসের পরশ। আমার জন্মভূমি গোপালগঞ্জের করপাড়া গ্রাম— যেখানে বৌলতলি বাজার থেকে শুরু হয়ে একটি সরু পিচঢালা রাস্তা এগিয়ে চলে মাঠের পাশ দিয়ে, গাছের ছায়া পেরিয়ে, মানুষের চেনা মুখ, হারিয়ে যাওয়া গন্ধ আর ফেলে আসা দিনগুলোর মতো এক অনুভব বয়ে নিয়ে। এই পথ শুধু যাত্রার মাধ্যম নয়, এ পথ আমার শৈশবের সঙ্গী, আমার নীরব ভালোবাসা, আমার স্মৃতির রঙিন রেখা। এই করপাড়ার পথকে ঘিরেই রচিত হয়েছে একটি কবিতা— যার প্রতিটি শব্দে মিশে আছে মাটি, গন্ধ, ছায়...

স্মৃতির পাতায় অঞ্জলি বিশ্বাস

ছবি
স্মৃতির পাতায় অঞ্জলি বিশ্বাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই ফিকে হয়ে যায়, কিন্তু কিছু মুখ, কিছু হাসি, কিছু স্বপ্ন থাকে মনে গেঁথে—আজীবন। বৌলতলি বাজারের অঞ্জলি বিশ্বাস তেমনই এক মুখ। সে শুধু একটি মেয়েই নয়, সে এক সম্ভাবনার প্রতীক, এক মাটির কাছাকাছি থাকা ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। এই কবিতায় অঞ্জলিকে স্মরণ করা হয়েছে একজন স্বপ্নবান কিশোরী হিসেবে—যার হাঁসিতে, কথায়, আর চলাফেরায় মিশে থাকে গ্রামের সহজ-সরল জীবনের সৌন্দর্য। এই কবিতাটি তার জন্যই—আমাদের স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকুক সেই মুখ।               অঞ্জলি বিশ্বাসের জলরঙ প্রতিকৃতি একদিন অনেক বছর পরে, যখন দিনের আলো কিছুটা কমে আসবে, যখন আমরা অতীতের পাতাগুলো উল্টে দেখব— তখন এক কোমল মুখ মনে পড়বে বারবার। সে মুখে ছিল মায়ার ছায়া, চোখে ছিল বিস্ময়ের দীপ্তি। সে মুখ—অঞ্জলি বিশ্বাস। বৌলতলি বাজারের সরু গলিতে যেখানে দুধওয়ালার সাইকেল সকালে ঘণ্টা বাজাত, সেই পথে হেঁটে স্কুলে যেত অঞ্জলি। পিঠে বইয়ের ভার, মনে স্বপ্নের দিগন্ত। সে ...