পোস্টগুলি

মে ২, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আগেকার হাতেখড়ি এখন শিশুর কাঁধে স্কুলব্যাগ

ছবি
শিশুদের জন্য “ হাতেখড়ি ” উৎসব আগে গ্রাম শহরের সবখানে প্রচলিত থাকলেও, বর্তমানে এর বিন্দুবিসর্গ বলতে নেই বা কারোর চোখেও পড়ে না। আক্ষরিক অর্থে হাতেখড়ি হচ্ছে, লেখাপড়ার সাথে শিশুর প্রথম পরিচয়। শিশু জন্মের তিন থেকে চারবছরের মাথায় এই উৎসবটি পালন করা হতো। তা বেশি প্রচলন দেখা যেত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। জন্মের পর থেকে জীবনে যতোগুলো উৎসব পালন করা হয়, তারমধ্যে হাতেখড়ি শিশুদের জন্য খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ছিল। হাতেখড়ি অর্থ হলো, শিক্ষার সূচনা বা শিক্ষার শুরু। এই উৎসবটি পালন করা হতো, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে, নাহয় সরস্বতী পূজার পরপর এক সপ্তাহের মধ্যে শনিবার বাদে যেকোনো দিন। অনেকে এই বিশেষ উৎসবটি সরস্বতী পূজার দিনই করে ফেলতো। কেননা, সরস্বতী পূজা মানেই বিদ্যাদেবীর পূজা। তাই ওইদিন পুরোহিত সরস্বতী পূজা সম্পাদন করা শেষে, এই হাতেখড়ি উৎসবটির কাজ সম্পন্ন করতো।                ছ বি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ ।  যেসব অভিভাবকগণ তাঁদের শিশুকে হাতেখড়ি দিতে ইচ্ছুক থাকতো, সেসব শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ার কাজটি পূজামণ্ডপেই করে ফেলা হতো। যেসব শিশু ...

কুকুরের নাম ধলু ও তার ভালোবাসার গল্প

ছবি
                      ভালোবাসার কুকুর ধলু ছোটবেলা থেকেই রমেশের খুব শখ, কুকুর-বিড়াল পোষার। কিন্তু নিজের পৈতৃক ভিটেমাটি না থাকার কারণে এসব মনের শখ তার ভেস্তে যায়। তবুও রাস্তা-ঘাটে কোনও কুকুর-বিড়াল দেখলে রমেশ কাছে গিয়ে ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে। রমেশ ছোটখাটো একটা চাকরি করে। বেতন যৎসামান্য! তবুও সবসময়ই ওদের কাছে ডাকে, খাবার কিনে দেয়, খাওয়ায়। এভাবেই রাস্তা-ঘাটে অযত্নে-অবহেলায় থাকা বেওয়ারিশ কুকুর- বিড়াল ভালোবেসে রমেশ দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু নিজের বাসায় রেখে মনোমত পোষতে পারছিল না। তারপরও মনের আশা কখনও বাদ দেয় না।  রমেশ প্রতিদিন নিজের কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার সময় ছোট্ট একটা কুকুরের বাচ্চাকে ফলো করতো। কুকুরের বাচ্চাটার গায়ের রং ছিলো ধবধবে সাদার মোঝে হালকা লাল খয়েরী। দেখতে খবই সুন্দর ছিলো বিধায়, রমেশ কুকুরের বাচ্চাটাকে খুবই পছন্দ করতো। তার কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা দোকান থেকে দু'একটা বিস্কুট কিনে ভেঙে ভেঙে কুকুরের বাচ্চাকে খাওয়াতো। সাথে কুকুরের বাচ্চার মা কুকুরটাকেও খেতে দিতো।  এভাবে কেটে গেলো প্রায় সপ...

দূর হোক শিবলিঙ্গ নিয়ে ভুল ধারনা

ছবি
                    ভগবান শিব বা মহাদেব  আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। সে সাথে মূর্তিপূজা ও বিভিন্ন দেবদেবীর পূজার্চনায়ও বিশ্বাসী। অথচ এই 'হিন্দু' নামের কোনও শব্দ কোনও শাস্ত্রগ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে এই হিন্দু শব্দটা আসলো কোথা থেকে? মূলত 'আর্য' ধর্মের পরিবর্তিত নাম হল 'হিন্দু' ধর্ম। আর এই আর্য ধর্ম সবচেয়ে প্রাচীন বলেই এ ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলা হয়। আর এই আর্য-ধর্মের মূল গ্রন্থ ছিল বেদ। এই আর্য ধর্মের উৎপত্তি কখন বা কবে সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও বহু মতবিরোধ রয়েছে। এর সঠিক তথ্য আজ পর্যন্ত কোথাও পাওয়া যায়নি। তাই এই আর্য ধর্মটি 'সনাতন' (পুরাতন) ধর্ম নামে বিশ্বের বুকে প্রসিদ্ধ।                    “ শিবলিঙ্গ” ছবি ইন্টারনেট থেকে। জানা যায় 'হিন্দু' শব্দের উৎপত্তি প্যারসিক শব্দ থেকে। প্রাচীন কালে নাকি প্যারসিক বলা হত ইরানিদের। হিনস্‌র ভাষায় 'হিন্দু' শব্দের অর্থ হল যিনি হিংসা করে না। অতএব যিনি হিংসা করে, তিনি হিন্দু হতে পারে না। অথচ এই হিংসা আর অহংকার...

মৃত্যুর কোলে

ছবি
শিশু কালটাই ছিলো ভালো  থাকতাম মায়ের কোলে, ছিলো না কোনও ভাবনা চিন্তা  থাকতাম হেসে খেলে। যখন একটু হাঁটতে শিখলাম  হাঁটি হাঁটি পায়ে, দুষ্টুমি-টা বেজায় বাড়লো   সারা পাড়া গাঁয়ে। আরেকটু যখন বড় হলাম তরতাজা এক কিশোর, তখন কী-আর থাকতাম বাড়ি মাঠেই হতো ভোর। কিশোর থেকে যুবক যখন  যৌবন দেখা দিলো, যৌবনের আগুনে জ্বলে পুড়ে  সব হলো এলোমেলো। জীবনসঙ্গী ঘরসংসার সবই হলো  হলো সন্তানাদি কতো, হোঁচট খেলাম বার্ধক্যের টানে জন্মদানকারী মা-বাবার মতো।  অবশেষে মায়ামমতা ছিন্ন করে থাকলাম মৃত্যুর কোলে,  মৃত্যুই আমায় নিয়ে গেলো  ঐ পরপারে চলে।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক,  ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং।

কবির মন

ছবি
কবির মন, শুধু ভাবে কী যে লিখি এখন কারণে আর অকারণ, রাতদিন যখন-তখন, বিচলিত কবির মন, কী লিখবে যে কখন ঘুমহীন চোখে, কবি ভাবে বসে সর্বক্ষণ! কবির মন, স্রষ্টার সৃষ্টি নিয়ে ভাবে কীভাবে হয়েছিল শুরু, শেষ হবে কীভাবে? কী কথা ছিলো, আর কী করছি ভবে যখন যাবো চলে, তখন কী হবে? কবির মন, ভাবে সুন্দর কেন প্রকৃতি  বিশাল এই পৃথিবী, গোলাকার তার আকৃতি, সাগর-নদী, বন-জঙ্গল, ফল-মূল প্রবৃত্তি  পাহাড়-পর্বত, আকাশ-বাতাস, বসুমতী! কবির মন, ভাবনা পাখিরা কেন গায় কষ্ট ওদের, বাসাটা যখন ঝড়ে উড়ে যায়, শত কষ্ট ভুলে গিয়ে আবার বাসা বানায়  সারাদিন উড়ে বেড়ায়, নীড়ে ফিরে সন্ধ্যায়!  কবির মন, ভাবনা দেশ জাতি ও ধর্ম সকলেই তো ধর্মানুরাগী, তবু কেন অপকর্ম? বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্ম দোষের কী? ধর্মানুসারীরা জানে ধর্মের মর্ম! কবির মন, জীবের জীবন নিয়ে ভাবে পৃথিবীতে কি করে চলছে, কে কীভাবে? কেউ খাচ্ছে, কেউ মরছে, চলছে এভাবে তবুও থামেনি সময়, সময় এভাবেই যাবে! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ। 

স্মৃতির আল্পনা

ছবি
কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন।  বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম  ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এফএম রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট  কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা  তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট  পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম  করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন  তবুও আঁকি স্মৃতিগুলো! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি নিজের তোলা। এলাকার বাদশা মিয়া।

নিদারুণ অসহায়

ছবি
ভয় ভয় মন ভাবি বসে সারাক্ষণ কী যেন হয় কখন  কথা বলি যখন।  কথা বলি কম পেছনে দাঁড়িয়ে যম কান খাড়া হরদম  উল্টা-পাল্টা হলেই খতম!  ধর্ম অবমাননার অজুহাত  খুঁজে বেড়ায় দিনরাত ধর্মের গেলো জাত ধর মার বেজাত।  তাই মনে ভয় কখন যে কী হয় কেউ যদি কিছু কয় ভেবেচিন্তে বলতে হয়। এ-কী নিদারুণ অসহায়  মানবতা গেলো কোথায় জবরদস্তি চাপিয়ে মাথায়  ধর-মার কথায় কথায়! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক,  ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।