পোস্টগুলি

হাতেখড়ি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হিন্দুধর্মে হাতেখড়ি ইতিহাস, নিয়ম ও তাৎপর্য

ছবি
✍️ হিন্দুধর্মে হাতেখড়ি: ইতিহাস, নিয়ম ও তাৎপর্য 🪔 ভূমিকা হিন্দু সমাজে শিক্ষা গ্রহণের সূচনাকে অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এই সূচনাকেই বলা হয় “হাতেখড়ি” বা “বিদ্যারম্ভ” । এটি শিশুর জীবনে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলার এক শুভ সূচনা। 📜 ইতিহাস প্রাচীন ভারতে গুরুকুল প্রথায় শিক্ষার সূচনা ছিল একটি ধর্মীয় আচার। বৈদিক যুগে শিশুর বিদ্যাচর্চা শুরু হতো উপনয়নের মাধ্যমে। পরবর্তীকালে গৃহস্থ পরিবারগুলোও এই বিদ্যারম্ভ আচার পালন করতে শুরু করে, যা আজ হাতেখড়ি নামে পরিচিত। 📋 নিয়ম বা পদ্ধতি হাতেখড়ি সাধারণত শিশুর বয়স ৪-৬ বছর হওয়ার পর শুভ দিনে পালন করা হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় দিন হলো সরস্বতী পূজা (বসন্ত পঞ্চমী) । 📌 সাধারণ রীতি: 🔸 পূজা-অর্চনা: সরস্বতী দেবীর মূর্তির সামনে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। 🔸 শিশুকে বসানো: নতুন বা পরিষ্কার কাপড় পরিয়ে বসানো হয়। 🔸 প্রথম লেখা: শিশুকে চালের উপর বা স্লেটে লিখানো হয় — “অ” / “ওঁ” / “ॐ नमः शिवाय” ইত্যাদি। 🔸 আশীর্বাদ: আত্মীয়রা আশীর্বাদ করেন ও মিষ্টি খাওয়ান...

আগেকার হাতেখড়ি এখন শিশুর কাঁধে স্কুলব্যাগ

ছবি
শিশুদের জন্য “ হাতেখড়ি ” উৎসব আগে গ্রাম শহরের সবখানে প্রচলিত থাকলেও, বর্তমানে এর বিন্দুবিসর্গ বলতে নেই বা কারোর চোখেও পড়ে না। আক্ষরিক অর্থে হাতেখড়ি হচ্ছে, লেখাপড়ার সাথে শিশুর প্রথম পরিচয়। শিশু জন্মের তিন থেকে চারবছরের মাথায় এই উৎসবটি পালন করা হতো। তা বেশি প্রচলন দেখা যেত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। জন্মের পর থেকে জীবনে যতোগুলো উৎসব পালন করা হয়, তারমধ্যে হাতেখড়ি শিশুদের জন্য খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ছিল। হাতেখড়ি অর্থ হলো, শিক্ষার সূচনা বা শিক্ষার শুরু। এই উৎসবটি পালন করা হতো, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে, নাহয় সরস্বতী পূজার পরপর এক সপ্তাহের মধ্যে শনিবার বাদে যেকোনো দিন। অনেকে এই বিশেষ উৎসবটি সরস্বতী পূজার দিনই করে ফেলতো। কেননা, সরস্বতী পূজা মানেই বিদ্যাদেবীর পূজা। তাই ওইদিন পুরোহিত সরস্বতী পূজা সম্পাদন করা শেষে, এই হাতেখড়ি উৎসবটির কাজ সম্পন্ন করতো।                ছ বি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ ।  যেসব অভিভাবকগণ তাঁদের শিশুকে হাতেখড়ি দিতে ইচ্ছুক থাকতো, সেসব শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়ার কাজটি পূজামণ্ডপেই করে ফেলা হতো। যেসব শিশু ...