পোস্টগুলি

গদ্য_কবিতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অন্ধকার থেকে মুক্তির দিকে

ছবি
  অন্ধকার থেকে মুক্তির দিকে — একটি গদ্য কবিতা তাকে বলে দেশনেত্রী— বেগম খালেদা জিয়া। তিনবার দেশের হাল ধরেছেন, দুর্বিনীত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়ে তুলেছেন র‍্যাব , নিজ হাতে নির্মূল করেছেন দলেরই কালো ছায়া হয়ে ওঠা কিছু মুখোশধারী। রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ছিল তাঁর শাসনের ছায়াতলে। অথচ ইতিহাসের পাতায় যিনি জাতির কন্যা রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন, তিনি যেন ক্ষমতার মোহে হয়ে উঠেছিলেন— মানবতার অন্ধ প্রতিপক্ষ। নির্বিচারে গুম-খুন, শাপলা চত্বরের রক্তস্নাত রাত, মাথা নত না করা ছাত্রদের প্রতি বুলেটের ধাক্কা— এসব যেন তারই নীরব অনুমোদনে ঘটে যাওয়া অধ্যায়। আর সেই মহিলার শাসনেই— মিথ্যা মামলার নামে চিরবন্দী রাখা হয় বাংলার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দলের ত্যাগী নেত্রী, এক মায়ের মতো দেশকে ভালোবাসা এক নারীর নাম— খালেদা জিয়া । কিন্তু সময় তো কারও গোলাম নয়। সে চুপচাপ থেকে যায় না। সে বদলায়, সে ফিরিয়ে দেয়— একদিন গুম হয়ে যাওয়া মুখগুলো, একদিন হারিয়ে যাওয়া সত্যগুলো। আজ সেই দেশনেত্রী মুক্ত। আবার যেন ফিরে আসছে সাহসী পদচারণা। আবার জেগে উঠছে বাংলার নিপীড়িত মানুষের হৃদয়। আবার চোখে জল নিয়ে কে...

হিংসার পরিণাম

ছবি
  হিংসার পরিণাম ✍️ হিংসার পরিণাম হিংসা—মানব মনের এক ভয়ংকর ব্যাধি, যা বাইরে থেকে দৃশ্যমান না হলেও ভেতরটা নিঃশেষ করে ফেলে। এটি এমন এক বিষ, যার প্রথম শিকার নিজেই হিংসুক মানুষটি। সেই মানুষটি হয়তো অন্যের অগ্রগতি দেখে হাসে না, বরং মনের গভীরে জ্বলে ওঠে। অন্যের প্রাপ্তি তার কাছে হয়ে ওঠে নিজের অপূর্ণতার প্রতিচ্ছবি। আর এই অনুভূতির বীজ থেকেই জন্ম নেয় ঈর্ষা, বেড়ে ওঠে হিংসা। "হিংসুক ব্যক্তি অপরের সুখ দেখে কষ্ট পায়, আর নিজের দুঃখে অন্ধ হয়ে যায়।" 🎭 হিংসার ছদ্মবেশ হিংসুকরা মুখে প্রশংসা করলেও মনে থাকে অন্যের পতনের পরিকল্পনা। তারা উপরে উপরে হাসে, অথচ মনে মনে কারো ব্যর্থতা কামনা করে। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে তারা সফল মানুষদের টেনে নামাতে চায়। তারা ভুলে যায়— "অন্যের আলো নিভিয়ে নিজেকে উজ্জ্বল করা যায় না।" 🔥 হিংসার ফলাফল হিংসা থেকে জন্ম নেয় কুৎসা, অপপ্রচার, বিশ্বাসঘাতকতা। অনেক সময় হিংসা ব্যক্তিকে ঠেলে দেয় অন্যায় ও অপরাধের দিকে। ছোট থেকে ছোট হিংসাও একদিন বড় বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিবারে বিভেদ, বন্ধুত্বে দূরত্ব, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় হিংস...

শেষ চিঠি পৃথিবীর মানুষের কাছে

ছবি
  🌑 শেষ চিঠি পৃথিবীর মানুষের কাছে — নিতাই বাবু একদিন, যখন আমি আর থাকবো না, আমার ঘরের দেওয়ালে, বাতাসে, কিংবা কারও স্মৃতিতে যদি থেকে যাই— তখন একটু থেমে আমার এই লেখা পড়ে নিও। এই পৃথিবীকে আমি ভালোবেসেছিলাম জলপাই পাতার মতো শান্ত এক পৃথিবী কল্পনায়, যেখানে শিশুর কান্না যেন শুধুই খুশির বিস্ময়, যেখানে বৃদ্ধের চোখে অনন্ত শ্রান্তি নয়— থাকে শুধু শান্তির নদী। আমি দেখেছি, রোদ উঠে কিন্তু আলো আসে না, মানুষ হাসে কিন্তু ভিতরে কাঁদে, একজন আরেকজনের খুব পাশে থেকেও কি অদ্ভুতভাবে একা একা হেঁটে চলে! তোমরা যারা এখনো বেঁচে আছো, একটু ভালোবাসা দাও— একটু কান পেতে শোনো তোমার নীরব সন্তানের ভেতরের চিৎকার, একটু হাত রাখো তোমার পাশের বৃদ্ধ বাবার কাঁপা কাঁধে। এই পৃথিবীর সবচেয়ে করুণ দুঃখ— মানুষ বেঁচে থেকেও কারও হয়ে বাঁচে না। আমি চলে যাবো, খুব নিঃশব্দে, তবে আমার কণ্ঠে থেকে যাবে একটুকরো আকুতি— "ভালো থেকো, একটু ভালো থেকো সকলের জন্য।" নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো ...

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি

ছবি
  🕊️ আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি — নিতাই বাবু আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি— না, সিনেমার পর্দায় নয়, ইতিহাস বইয়ের পাতায় নয়, আমি নিজ চোখে দেখেছি আগুনের নিচে পোড়া মাটি, দেখেছি কাঁপতে থাকা শিশুর চোখে পিতৃহীন বিস্ময়, দেখেছি বধ্যভূমির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া নীরব জনপদ। আমি স্বাধীনতা দেখেছি— রক্তের বিনিময়ে কেনা সেই একটুকরো সকাল, যেখানে সূর্য উঠেছিল এক নতুন পতাকা হাতে। আমি দেখেছি, কীভাবে এক জাতি তার অস্তিত্বের জন্য লড়েছিল আগুন আর বুলেটের বিপরীতে দাঁড়িয়ে। আমি দেখেছি বাংলার মা-বোনদের আর্তনাদ, দেখেছি টান পড়ে যাওয়া শাড়ির ভাঁজে একটা স্বাধীন দেশের জেদ আটকে আছে। সেই কান্নার শব্দ আজও বাতাসে বেজে ওঠে, শুধু আমরা কান পেতে শুনি না। আমি দেখেছি লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবন দিতে, তাদের চোখের শেষ দৃষ্টিতে ভেসে উঠেছিল একটি মুক্ত ভূখণ্ডের স্বপ্ন— যেখানে কেউ আর পরাধীন হবে না, কেউ আর মুখ বুজে কাঁদবে না। এই আমি, এক ক্ষুদ্র মানুষ, একটি বড় ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। আমি বয়ে বেড়াই সেই অস্থিচূর্ণ করা অতীত, আর বুকের ভিতর আজও জ্বলে— এক অসমাপ্ত বিজয়ের আগুন। ✒️ নিতাই বাবু পুরস্কারপ্...

বিশ্বাস, প্রশ্ন ও অনুভব—গদ্য কবিতা সসিরিজ (পূর্ব-১-১২)

ছবি
  📚 পর্যালোচনা: গদ্য কবিতা সিরিজ – বিশ্বাস, প্রশ্ন ও অনুভব 🌿 ধর্ম নিয়ে যখন বিশ্ব উত্তাল, তখন বাংলা সাহিত্যে এমন একটি গদ্য কবিতা সিরিজ সত্যিই সাহসী এবং আত্মিক এক প্রয়াস। “ঈশ্বর কি বিভক্ত হন?” দিয়ে শুরু এই সিরিজ আমাদের ঈশ্বর, ধর্ম, ভাষা ও ভালোবাসার চিরন্তন দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছে। পরবর্তীতে “তোমার ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর” , “আমি ঈশ্বরকে কাছে ডাকলাম” অথবা “যেদিন ঈশ্বর কাঁদলেন” — প্রতিটি পর্বে মানবতার সুরই মূল সুর হয়ে ওঠে। 🪔 এই সিরিজ শুধু কবিতা নয়, এক এক পর্ব যেন একেকটি আত্মজিজ্ঞাসা। যেখানে ঈশ্বরকে দেখা হয় নিখাদ মানুষের চোখে— কোনো নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থের ফ্রেমে নয়, বরং অনুভবে, চোখের জলে, শিশুর হাসিতে, প্রেমিকের স্নেহে। 🔍 সিরিজের মূল দর্শন: ❖ ঈশ্বর কোনো একক ধর্মের নয়—তিনি সকলের। ❖ ভালোবাসাই প্রকৃত ধর্ম, ঘৃণা নয়। ❖ প্রার্থনা মুখের শব্দ নয়, হৃদয়ের ভাষা। ❖ ঈশ্বরকে পাওয়া যায় নিঃশব্দ আহ্বানে, প্রতিদিনের মানুষের ভিতর। 📘 পর্বসমূহ: 👉 পর্ব-১: ঈশ্বর কি বিভক্ত হন? 👉 পর্ব-২: তোমার ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর 👉 পর্ব-৩: হৃদয়ে ধর্...

আমি ঈশ্বরকে কাছে ডাকলাম—গদ্য কবিতা (পর্ব-১১)

ছবি
  📜 গদ্য কবিতা: আমি ঈশ্বরকে কাছে ডাকলাম আমি দাঁড়িয়েছিলাম এক নীরব বিকেলে, যখন পাখিরাও আর গান গায় না, আর শহরের কোলাহলও ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে আমি ঈশ্বরকে কাছে ডাকলাম। কোনো আয়াত, কোনো মন্ত্র, কোনো ঘন্টাধ্বনি ছাড়াই— শুধু মনের নিঃশব্দ ভাষায় বললাম, “তুমি কি একটুখানি বসবে আমার পাশে?” চারদিকে ছায়া নেমে এলো, আর বাতাস নরম হয়ে এল গাল ছুঁয়ে। আমি বুঝলাম— তিনি এসেছেন। তিনি কিছু বলেননি, কিন্তু আমি শুনতে পেলাম হৃদয়ের গভীরে এক অনন্ত সাহসের শব্দ: “তোমার কান্নাও আমার প্রার্থনা, তোমার ভালোবাসাও আমার পূজা।” আমি ঈশ্বরকে বললাম— “তুমি কি সব ধর্মের দেয়াল পেরিয়ে আসতে পারো?” তিনি মুচকি হেসে বললেন— “তোমরা যদি ভালোবাসতে জানো, তবে আমিও পারি।” সেই দিন আমি ঈশ্বরকে কাছ থেকে দেখিনি, কিন্তু আমি বুঝেছি— ঈশ্বর দূরের নয়, খুব নিজের । কেবল ডাকলেই তিনি নেমে আসেন— নাম ছাড়াই, ধর্ম ছাড়াই, নিঃশব্দে। – পর্ব-১১, গদ্য কবিতা সিরিজ নিতাই বাবু পুরস্কারপ্র...

আমার ঈশ্বর নিঃশব্দ—গদ্য কবিতা (পর্ব-১০)

ছবি
  🕯️ গদ্য কবিতা – পর্ব–১০ আমার ঈশ্বর নিঃশব্দ আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি, কেউ পাশে দাঁড়ায় না, তখন আমার ঈশ্বর নিঃশব্দে এসে বসে পড়েন আমার পাশে— কিছু বলেন না, শুধু থাকেন। তুমি যখন ‘পবিত্রতা’র খোলসে ঢেকে ফেলো জীবন, আমার ঈশ্বর তখন পলিথিনে মোড়ানো এক শিশুর চোখে জেগে থাকেন। তুমি তাঁকে ডাকো উচ্চ শব্দে— নাম ধরে, আয়াত ধরে, মন্ত্র ধরে। আমি চুপ করে থাকি, কারণ আমার ঈশ্বর শব্দ চেনেন না— তিনি শুধু হৃদয়ের নীরব কাঁপন বোঝেন। তিনি কথা বলেন না। তবু আমি শুনি— আমার ভুলে, আমার কাঁদা মুখে, আমার না-বলা প্রার্থনায় এক অদৃশ্য স্পর্শ হয়ে থাকেন তিনি। তুমি ধর্মের ব্যাখ্যা দাও— তিনি কাদের ঈশ্বর, কোন রাস্তায় যাওয়া যায় তাঁর কাছে। অথচ আমার ঈশ্বর তো পথ চিনিয়ে দেন না, শুধু আমাকে আমার দুঃখ থেকে ডেকে তোলেন। তিনি যখন কাঁদেন, আমি বুঝতে পারি না। কিন্তু যখন আমি কাঁদি, তখন তিনি নিশ্চুপ হয়ে থাকেন— যেন আমিই তাঁর কান্নার প্রতিধ্বনি। আমার ঈশ্বর নিঃশব্দ , কারণ তিনি জানেন— শব্দ যত বাড়ে, তত মিথ্যা ঢেকে দেয় হৃদয়ের সত্য। তিনি বলেন...

যেদিন ঈশ্বর কাঁদলেন—গদ্য কবিতা (পর্ব-৯)

ছবি
  🕯️ গদ্য কবিতা – পর্ব–৯ যেদিন ঈশ্বর কাঁদলেন সেদিন আকাশ ছিল রক্তিম। বাতাসে ছিল পচা লাশের গন্ধ। শিশুর কান্না মিশে গিয়েছিল গোলাগুলির শব্দে। আর ঠিক তখনই, ঈশ্বর কাঁদলেন। তাঁর চোখে জল ছিল না— কারণ মানুষের কান্না এতটাই গভীর ছিল, যে ঈশ্বরের নিজস্ব চোখকেই ম্লান লাগছিল তাদের সামনে। তিনি কাঁদলেন এক মায়ের আর্তনাদে, যে হারিয়েছিল তার একমাত্র সন্তানকে, কাঁদলেন সেই পিতার শূন্য দৃষ্টিতে, যে শেষবার ছেলের মুখ ছুঁতে পারেনি। তাঁর কান্না জমে ছিল মাটির গভীরে, যেখানে মানুষের রক্ত লেগে ছিল ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবিতে। ঈশ্বর বললেন না কিছুই। কারণ তিনি জানেন— সব ধর্ম মিলেও যদি একটিও প্রাণ বাঁচাতে না পারে, তবে তা শুধু নিয়মের খোলস । ঈশ্বর তখন মানুষ হতে চাইলেন— যেন কাউকে জড়িয়ে ধরতে পারেন, যেন কারও হাত ধরে বলতে পারেন, “আমি আছি, আর কাঁদতে দিও না।” কিন্তু মানুষ তখন ঈশ্বরকে খুঁজছিল মন্দিরে, কেউ গীর্জায়, কেউ কাবায়, কেউ প্রতিমার চোখে— অথচ ঈশ্বর দাঁড়িয়েছিলেন বারান্দায় এক অনাথ শিশুর পাশে, যার কোনো ধর্ম ছিল না, ছিল শুধু ক্ষুধা...

ঈশ্বরের চিঠি —গদ্য কবিতা (পর্ব-৮)

ছবি
  💌 গদ্য কবিতা – পর্ব-৮ ঈশ্বরের চিঠি প্রিয় মানুষ, আমি জানি, তুমি অনেক ব্যস্ত। জীবনের দৌড়ে তুমি কখনো কাঁদো, কখনো হাসো, কখনো পাপ করো, কখনো প্রেমে পড়ো। আমি সব দেখি, তবু চুপ থাকি। তুমি ভাবো আমি দূরে আছি— আকাশে, মিনারে, বা কোনো ধর্মগ্রন্থে আটকে। অথচ আমি আছি তোমার ভিতরে, যখন তুমি চুপ করে কারও কাঁধে হাত রাখো, কিংবা মা'র কপালে একটু তেল মেখে দাও। তুমি প্রার্থনা ভুলে গেছ? কোনো ক্ষতি নেই। আমি তোমার কান্নার ভাষাও বুঝি। তুমি হয়তো পাপ করেছ, তাও আমি তোমাকে ত্যাগ করিনি। আমি প্রতিদিন অপেক্ষা করি— তুমি একবার নিজেকে ক্ষমা করো, তাহলেই আমিও ক্ষমা করব। তুমি যদি ভাবো, আমি শাস্তির ঈশ্বর— তবে তুমি আমাকে চিনোনি। আমি ভালোবাসার ঈশ্বর। আমি চাই তুমি ভেঙে পড়ো না, জেগে উঠো। তুমি যদি কখনো একা অনুভব করো, চোখ বুজে আমার নাম নিও না, বরং তাকাও আয়নায়— আমি তোমার মাঝেই আছি, কণ্ঠে নয়, হৃদয়ে আমার বসবাস । ভালো থেকো, মানুষ হও, বাকিটা আমি আছি। —তোমার ঈশ্বর ...