পোস্টগুলি

দর্শন লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় আধ্যাত্মিক শান্তি ও আত্মোন্নয়ন — পর্ব-২১

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় আধ্যাত্মিক শান্তি ও আত্মোন্নয়ন — পর্ব-২১ | নিতাই বাবু শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় আধ্যাত্মিক শান্তি ও আত্মোন্নয়ন — পর্ব-২১ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হিসেবে আধ্যাত্মিক শান্তি ও আত্মোন্নয়ন -এর কথা বলে। এই অধ্যায়ে আমরা দেখব কীভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী আধুনিক মানুষকে অভ্যন্তরীণ শান্তি, মানসিক স্থিরতা এবং নৈতিক উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে। ✨ আধ্যাত্মিক শান্তির মূল দিক নিরাসক্তি: ফলের প্রতি আসক্তি না রেখে কর্তব্যপালন করা। ধ্যান: মনের ভেতরে ভগবানের স্মরণে স্থির হয়ে থাকা। সমতা: সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়ে সমভাবে থাকা। 🌱 আত্মোন্নয়নের পথ জ্ঞানচর্চা: জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে শাস্ত্র অধ্যয়ন। কর্মযোগ: নিঃস্বার্থভাবে সমাজ ও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা। ভক্তি: হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও বিশ্বাস গড়ে তোলা। 💡 আধুনিক জীবনে প্রয়োগ আজকের ব্যস্ত, প্রতিযোগিতামূলক জীবনে মানুষের মধ্যে চাপ, দুশ্চিন্তা ও অসন্তোষ বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় গীতার শিক্ষা মানুষকে অন্তরের শান্তি , নৈতিক দৃঢ়তা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি র পথে পরিচা...

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ | অর্জুন বিষাদ যোগ প্রস্তাবনা

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ | নিতাই বাবু 📖 শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১ ✍️ নিতাই বাবু 🔰 প্রস্তাবনা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক গ্রন্থ। এখানে জীবনের কর্তব্য, ধর্ম, নীতি ও আধ্যাত্মিকতার অনন্য সমন্বয় পাওয়া যায়। এই ধারাবাহিকে আমরা গীতার প্রতিটি অধ্যায় বাংলায় সহজভাবে উপস্থাপন করব। মোট ২৫ পর্বে সম্পূর্ণ গীতা এখানে আলোচনা হবে। 🕉️ প্রথম অধ্যায়: অর্জুন বিষাদ যোগ মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন যখন সেনাদের দেখে ভীত ও দুঃখভারাক্রান্ত হন, তখন তিনি শ্রীকৃষ্ণের শরণ নেন। তিনি যুদ্ধ না করার জন্য নানা যুক্তি দেখাতে থাকেন। এই অধ্যায়কে বলা হয় অর্জুন বিষাদ যোগ , কারণ এখানে অর্জুনের মানসিক দুঃখ ও দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে। 📜 নির্বাচিত শ্লোক ধৃতরাষ্ট্র উবাচঃ — “ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুত্সবঃ। মামকাঃ পাণ্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয়।। ১.১।।" অর্থাৎ—ধৃতরাষ্ট্র বললেন: হে সঞ্জয়! ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রে যখন আমার পুত্রগণ ও পাণ্ডবগণ যুদ্ধ করতে সমবেত হল, তখন তারা কী করল? এভাবেই গীতার শুরু হয়। ধীরে ধীরে অর্জুন যখন নিজের আত্মীয়-স্বজন, গ...

পশু বলি দিয়ে শাপমুক্তি সম্ভব নয় — সঠিক উপলব্ধি

ছবি
  পশু বলি দিয়ে কি শাপমুক্তি পাওয়া যায়? 🐐 পশু বলি দিয়ে কি সত্যিই শাপমুক্তি পাওয়া যায়? মানুষ যখন বিপদে পড়ে, দুঃখ–কষ্টে পড়ে, তখন স্বাভাবিকভাবেই মানত বা প্রার্থনা করে। অনেকে মন্দিরে গিয়ে দেব-দেবীর নামে পশু বলির মানত করে থাকে। যেমন— “মা, আমার অসুখ সারিয়ে দাও, আমি তোমার মন্দিরে একটা পাঠা বলি দেব।” কিন্তু প্রশ্ন হলো—আমার শাপমুক্তির জন্য কেন একটি নিরীহ প্রাণী কে প্রাণ দিতে হবে? ওই প্রাণীর কি এমন দায় পড়েছে যে, সে আমার মুক্তির জন্য মারা যাবে? 🔎 শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ বেদ–উপনিষদ থেকে গীতা পর্যন্ত কোথাও বলা হয়নি যে পশু হত্যা করলে পাপ মুক্তি হবে। বরং শাস্ত্রের মূল বাণী হলো— “অহিংসা পরমো ধর্মঃ” , অর্থাৎ অহিংসাই সর্বোচ্চ ধর্ম। দেবতা কোনোদিন রক্ত বা মাংস চান না। তাঁরা চান অন্তরের ভক্তি, সততা ও সৎকর্ম। ❌ পশু বলির ভুল ধারণা অনেকেই মনে করে থাকেন, পশু বলি দিলে দেবতা খুশি হন। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। দেব-দেবীরা মাংসখেকো নন, রক্তপায়ী নন । এটি মূলত কুসংস্কার, যা যুগে যুগে কিছু মানুষের স্বার্থে চালু হয়েছিল। একজন মানুষ নিজের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে যদি আরেকটি নিরীহ প্র...

হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার — প্রতীকী না বাস্তব?

ছবি
  হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার প্রসঙ্গ | নিতাই বাবু 💫 হিন্দুধর্মে দেবতাদের বিয়ে ও সংসার প্রসঙ্গ হিন্দুধর্মে দেব-দেবীদের কাহিনি মূলত পুরাণ ও শাস্ত্রে বর্ণিত। সেখানে দেবতাদের মানবীয় রূপ, চরিত্র, আবেগ, এমনকি বিয়ে ও সংসার করার বিষয়ও পাওয়া যায়। যেমন— মহাদেবের পত্নী দুর্গা/পার্বতী , নারায়ণের পত্নী লক্ষ্মী , আবার ব্রহ্মার পত্নী সরস্বতী । 📖 প্রতীকী ব্যাখ্যা দেবতাদের বিয়ে-সংসারকে আক্ষরিক অর্থে না দেখে প্রতীকী অর্থে বুঝতে হয়। হিন্দু দর্শনে প্রতিটি দেবতা কোনো মহাজাগতিক শক্তির প্রতিরূপ , আর তাদের পত্নী অন্য এক শক্তির প্রতীক। যেমন— শিব = সংহার ও তপস্যার প্রতীক, পার্বতী = শক্তি ও মাতৃত্বের প্রতীক। বিষ্ণু = সংরক্ষণের প্রতীক, লক্ষ্মী = সম্পদ ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ব্রহ্মা = সৃষ্টির প্রতীক, সরস্বতী = জ্ঞান ও বিদ্যার প্রতীক। অর্থাৎ দেবতা-পত্নী সম্পর্ক আসলে পুরুষ ও প্রকৃতির মিলন , যা সৃষ্টি, পালন ও সংহার চক্রকে প্রতীকীভাবে বোঝায়। 👪 কেন সংসাররূপে কল্পনা? মানুষ দেবতাদের নিজের মতো করেই কল্পনা কর...

প্রেম মানেই নারী-পুরুষের ভালোবাসা নয়! প্রেমের প্রকৃতি ও মানবিক দিক

ছবি
  🌹 প্রেম মানেই নারী-পুরুষের ভালোবাসা নয়! প্রেমের প্রকৃতি ও মানবিক দিক সমাজে সাধারণত আমরা প্রেমকে শুধু নারী-পুরুষের রোমান্টিক সম্পর্কের সঙ্গে সংযুক্ত করি। কিন্তু প্রেম আসলে অনেক বিস্তৃত এবং বহু মাত্রার। এটি শুধুই রোমান্স নয়, বরং মানবিক, নৈতিক ও সামাজিক দিকের একটি অন্তর্নিহিত শক্তি। 💖 প্রেমের প্রকৃতি প্রেম বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এটি কেবল ভালোবাসার অনুভূতি নয়, বরং মানুষের **আত্মা ও মনকে উন্নত করার উপায়**। প্রেমের মূল দিকগুলো হলো: সহানুভূতি ও স্নেহ: অন্যের সুখ-দুঃখ উপলব্ধি করে পাশে থাকা। এটি রোমান্টিক বা পারিবারিক, উভয় ক্ষেত্রেই থাকতে পারে। আত্মত্যাগ: নিজের স্বার্থের চেয়ে অন্যের মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দেওয়া। সত্যিকারের প্রেমে নিজের ক্ষতি হলেও অন্যকে সাহায্য করা হয়। মানবিক মূল্যবোধ: সম্মান, সততা, ন্যায় এবং দায়িত্ববোধ প্রেমের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। বন্ধুত্ব ও পরিবার: বন্ধু, মা-বাবা, ভাই-বোন বা সহকর্মীর সঙ্গে যত্নশীল সম্পর্কও প্রেমের অংশ। প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা: পৃথিবী, পরিবেশ, গাছ...

সৃষ্টির সেরা মানুষ—তবু কেন মানুষই সময় সময় ‘অমানুষ’ হয়ে যায়?

মানুষ জ্ঞান ও বিবেকের জন্য শ্রেষ্ঠ, তবু লোভ, ভয়, হিংসা ও ক্ষমতার নেশায় অমানবিক হয়ে যায়। কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশ্লেষণ।

ছবি
  সৃষ্টির সেরা মানুষ—তবু কেন মানুষই সময় সময় ‘অমানুষ’ হয়ে যায়? “সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সেই মানুষই সময় সময় অমানুষ হয়ে যায়”—এই সহজ বাক্যেই মানুষের দ্বৈত সত্তার অনুবাদ। মানুষ একই সঙ্গে করুণা ও ক্রোধ, নির্মাণ ও ধ্বংস, আলো ও অন্ধকারের বাহক। কোন দিকটি সক্রিয় হবে—তা নির্ধারণ করে তার চেতনা, শিক্ষা, পরিবেশ ও অভ্যাস। ম নুষকে ‘সেরা’ বলা হয় তার জ্ঞান, বিবেক, কল্পনা ও সহযোগিতার ক্ষমতার জন্য। কিন্তু ইতিহাস, সমাজ, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনও সাক্ষ্য দেয়—এই শ্রেষ্ঠত্বের ভিতেই লুকিয়ে আছে পতনের সম্ভাবনা। যখন লোভ নৈতিকতাকে হারায়, যখন ভয় যুক্তিকে গ্রাস করে, কিংবা যখন গোষ্ঠী-প্রীতি মানবতাকে আড়াল করে—তখনই মানুষ ‘অমানুষ’ হয়ে ওঠে। এই রূপান্তর হঠাৎ ঘটে না; ধীরে ধীরে মানসিক, সামাজিক ও কাঠামোগত কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেটি তৈরি হয়। কেন মানুষ ‘সেরা’ বিবেক ও নৈতিক বোধ—ভাল-মন্দ বিচার করার সক্ষমতা সহানুভূতি—নিজের বাইরে অন্যের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা ভাষা ও কল্পনা—জ্ঞান...

একটি ফুলের পাঠশালা

ছবি
  🌸 একটি ফুলের পাঠশালা একটি ফুল… নীরবে ফুটে ওঠে এক সকালে। কারও আমন্ত্রণে নয়, কারও বাহবায় নয়, শুধু নিজের অস্তিত্বেই সে সুন্দর হয়ে ওঠে। সে চায় না ধন্যবাদ, চায় না স্তুতি। তবুও—সে সুবাস ছড়িয়ে দেয় চারদিকে, নিঃস্বার্থভাবে। সবার জন্য। একটি ফুল বলে না, "এই সুবাস কেবল আমার আপনজনদের জন্য", সে ভাগ করে নেয় নিজের রূপ, নিজের ঘ্রাণ— জল বিক্রি করে না, আলো চায় না, নাম কাড়ে না। তবুও, তার সৃষ্টিকে ছুঁয়ে যায় প্রতিটি হৃদয়। অহংকারহীন সে সৌন্দর্য, সেই তো সত্যিকারের জ্ঞান। যেখানে আমরা মানুষ হয়ে প্রতিদিন কারও চেয়ে বড় হতে চাই, সেখানে একটি ফুল নিরবে আমাদের শেখায়— সুন্দর হও, নিঃস্বার্থ হও, বিনয়ী হও। কারণ পৃথিবী কেবল মুখর কণ্ঠস্বর নয়, পৃথিবী শ্রদ্ধা করে নীরব সৌন্দর্যকে, যা অহংকারহীন ভালোবাসায় প্রস্ফুটিত হয়। ✍️ লেখক: নিতাই বাবু নিতাই বাবু পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে। মূলত সমাজ, সংস্কৃতি, স্মৃতিচারণা ও ছন্দনিবদ্ধ রচনায় আগ্রহী। ভ...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বর ভাবনা

ছবি
  🌿 বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি একেশ্বরবাদী ছিলেন? প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি একেশ্বরবাদে (Monotheism) বিশ্বাস করতেন? ✅ সংক্ষেপে উত্তর: হ্যাঁ, তিনি মূলত একেশ্বরবাদী ছিলেন , তবে তাঁর একেশ্বরবাদ ছিল আত্মিক ও দার্শনিক ভিত্তির উপর। তিনি গোঁড়া ধর্ম নয়, বরং হৃদয়ের ভেতরকার ঈশ্বরতত্ত্বে বিশ্বাস করতেন। 🕊️ রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর ভাবনা: রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতা, গান, প্রবন্ধ ও চিঠিপত্রে বারবার বলেছেন — ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে, চেতনায়, প্রকৃতিতে। “তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম” – এখানে ঈশ্বর হৃদয়ের নীরব উপস্থিতি। “আমার ঈশ্বর মানুষে মানুষে” – এখানে ঈশ্বর হলেন মানবতার আরাধ্য। “এই যে সুন্দর পৃথিবী, এই যে মানুষের ভালোবাসা — এর মধ্যেই আমি ঈশ্বরকে খুঁজি।” 📿 তিনি কোনো ধর্মীয় গোঁড়ামি মানতেন না: তিনি ব্রাহ্ম সমাজে শিক্ষা পেলেও পরে নিজস্ব ভাবধারায় চলতেন। তাঁর বিশ্বাসের কেন্দ্র ছিল: মানবতা, প্রেম, ও করুণা। 🔍 তাহলে তিনি হিন্দু, ব্রাহ্ম, না নাস্তিক? নাস্তিক ছিলেন না। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন, তবে তা ছিল যুক্তিবাদী ও কাব্যিক। ধর্মের গোঁড়ামি থেকে মুক্ত একজন মানবতাবাদী কব...

খুঁজেছিলাম

ছবি
খুঁজেছিলাম সুখ খুঁজেছিলাম ভোরের শিশিরে, পাখির কূজনে, ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে— কিন্তু পাইনি শান্তি এক বিন্দুও হৃদয়পটে। পেয়েছি কেবল দুখীর দীর্ঘশ্বাস, পেয়েছি ক্লান্ত আত্মার কান্না নিঃসাড় রাতে। শান্তির মা’কে খুঁজেছিলাম উপবাসে, প্রার্থনায়, বসে ছিলাম ধ্যানস্থ নিস্তব্ধ বিকেলে— কিন্তু নেমে এলো কেবল অশান্তির ঝড়, আমার হৃদয়ের নিভৃত বাগানে। ভালোবাসা খুঁজেছি দুয়ারে-দুয়ারে, কিন্তু ফিরেছি কেবল শূন্যতার হাহাকারে। প্রেমের পিপাসা নিয়ে ঘুরেছি দ্বারে-দ্বারে, দেখেছি সেখানে অভিনয়ের বাজারে তামাশার ঝাড়ে। টাকা-পয়সা খুঁজেছি রাস্তায় রাস্তায়, পেয়েছি কেবল মরিচিকার ধুলো ছড়ায়। ধনসম্পদ খুঁজেছি মহল্লায় মহল্লায়, শেষে হাতে উঠেছে অদৃশ্য ফাঁসির দড়ি—নিভৃতে বালায়! মানুষ খুঁজেছি মানুষের মেলায়, তবু মনুষ্যত্ব পাইনি কোথাও, ছিল শুধু ছায়া! স্রষ্টাকে খুঁজেছি পাথরে, ধূপে, রীতিতে, তিনি ধরা দেননি—শুধু ছিলেন আমার হৃদয়ের গভীর সীমানায়! ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু — একজন সাহিত্যনিবেদিত প্রাণ, সমাজসচেতন ও দার্শনিক কবি। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে মানুষের বেদনা...

আমার বলতে কিছুই নেই

ছবি
আমার বলতে কিছু নেই যতই বলি, “এটা আমার, ওটা আমার”— স্রষ্টা বলেন, “নির্জনে শোনো আমার বারংবার: তোমার কিছুই নয় সত্যিকার! তোমার এই শরীর, তোমার এই প্রাণ, আমারই সৃষ্টি, আমারই দান। শুধু তোমার কর্মের ফলই চিরকাল তোমার।” বাড়ি, গাড়ি, ধন-দৌলত, সবই রবে ধুলোয়, নিঃস্ব আর কোলাহলহীন মৌনতায়। তোমার ‘আমার’ বলার অধিকারে আমি তো দিইনি কোনো স্বীকৃতি কোনো দিন। তোমার ‘তুমি’ও একসময় বিলীন— শুধু কর্ম, শুধু ন্যায়ের দিন-রজনী, সেইটুকুই যাবে তোমার সাথে, বাকিটুকু পড়ে থাকবে নিঃস্পন্দ পৃথিবীতে। তাই বলি, আমার বলতে কিছুই নেই— সবই মহান স্রষ্টার, এই জীবন, এই দেহ, এই শেষ অবধি পথটাও, তাঁরই করুণায় দেয়া উপহার। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু — পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, সাহিত্যপ্রেমী ও সমাজচিন্তক। লেখালেখির মাধ্যমে সমাজ, দর্শন ও মানবিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। 📘 ব্লগ: নিতাই বাবুর ব্লগ 📤 শেয়ার করুন: 🔵 Facebook 🔷 Twitter 🟢 WhatsApp পাঠকের প্রতিক্রিয়া লেখককে অনুপ্রাণিত করে। আপনার অনুভূতি নিচে মন্তব্যে জানাতে ভ...

এইতো জীবন

ছবি
এইতো জীবন — এক আক্ষেপ, এক উপলব্ধি জীবন বেশি সময়তো নয়, যতটুকুই সময়, অনেক সময় হয় অপচয় কতো জয়, কতো ক্ষয়, কতো ভয় আশা-নিরাশার দোলাচালে বেঁচে রয় সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। জীবন বেশি সময়তো নয়, খুবই অল্প সময়, চাওয়া-পাওয়ার জয়-পরাজয় প্রেম-বিয়ে ভালোবাসাও তো হয় কেউ ব্যর্থ, সফলতায় জীবন মধুময় সময় ফুরোলে সবকিছুই স্মৃতি হয়ে রয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। 🖊️ কবি: নিতাই বাবু ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু—(মূল নাম: নিতাই চন্দ্র পাল) একজন চিন্তাশীল কবি, ব্লগার ও সমাজ-মনস্ক লেখক। জন্ম ১৯৬৩ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশের এক প্রাকৃতিক শোভাময় গ্রামে—নোয়াখালীর মহতাবপুরে। তাঁর শৈশব কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের ছায়া ও দারিদ্র্যের বাস্তবতায়, যা তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও সংবেদনশীলতার ছাপ রেখে গেছে। তিনি bdnews24 ব্লগের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, লেখেন মানবিকতা, শহর-জীবন, নদী-সংস্কৃতি, এবং নান্দনিক সমাজবোধ নিয়ে। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে সময়ের ক্ষণস্থায়িত্ব, ভালোবাসা, অপচয়, বেদনা এবং আশা-নিরাশার দোলাচল। নিতাই বাবুর লেখনী সরল অথচ হৃদয়গ্রাহী—যেখানে পাঠক খ...

কাল কত প্রকার ও কী কী

ছবি
  কাল কত প্রকার ও কী কী? অনেকেই প্রশ্ন করেন, কাল কত প্রকার ও কী কী? উত্তর হলো—অতীতকাল, বর্তমানকাল ও ভবিষ্যৎকাল। তাতে দেখা যায়, কাল তিন প্রকার। তা যে যা বলুক, আমি এই লেখায় অন্তত ২৪ প্রকার কালের নাম-সহ কালের বিশদ বিবরণও উল্লেখ করেছি। কারণ কেউ কেউ এই কালকে অন্যরকমও মনে করে থাকে। তবে হ্যাঁ, কালে কালে এই মানবজাতির অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। যেমন: বনমানুষ থেকে এপর্যন্ত মানুষ এখন সভ্য জগতে পদার্পণ করেছে। সেইসাথে সেসময় থেকে এসময় পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে গেছে। তাই আবারও উল্লেখ করেছি, কাল কিন্তু একটা সময়। তা হোক সুসময়, দুঃসময়। এই সময়ের কালগুলো হলো: ক্রিয়াকাল, আদিকাল, অনন্তকাল, মহাকাল, শিশুকাল, বাল্যকাল, যুবককাল, অকাল, বয়সকাল, চিরকাল, গতকাল, আগামীকাল, আজকাল, আধুনিককাল, সকাল, বিকাল, রাত্রিকাল, এযাবতকাল, একাল, সেকাল, কলিকাল, করোনাকাল, বৃদ্ধকাল, মরণকাল। এই সময়টা হতে পারে দীর্ঘ সময় বা অল্প সময়। যেমন: গানে আছে—“কতকাল দেখিনি তোমায়!” ... (সম্পূর্ণ বর্ণনা উপরের পাঠ্য অনুযায়ী সংরক্ষিত আছে) ২৪ প্রকার কালের সংক্ষিপ্ত তালিকা ও বর্ণনা: ক্রিয়াকাল : ক্রিয়ার ...