পোস্টগুলি

ভিখারি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুইজন অন্ধ ভিখারির কথোপকথন

ছবি
বর্তমানে আমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি হলো, বিনা পুঁজিতে লাভজনক এক ব্যবসা। যাদের কিছুই বলতে নেই, তারাই এই লাভজনক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা। কিন্তু এখন এখন এই ব্যবসার থাতে জড়িত হয়ে পড়েছে যাদের অনেককিছুই আছে, তারাও। এমনও দেখা যায় গার্মেন্টসে চাকরি করে ছুটির অবসরে বোরকা পরে রাস্তায় হাত পেতে দাড়িয়ে থাকে। অসহায় ভেবে মানুষ হাঁটা-চলার সময় স্বচ্ছল স্বাবলম্বী ভিখারির হাতে কিছু-না-কিছু দিয়ে যায়, ছওয়াবের আশায়। কেউ আবার রুগী সেজে বড়সড় মার্কেটের সামনে, রাস্তার পাশে, হাট-বাজারে, পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে মুখ ঢেকে শুয়ে থাকে। পথচারী পথচলার মাঝে দিয়ে যায়, অসহায় ভেবে যে যা পারে। আসলে কিন্তু এরা কেউ দিন দুখি নয়! এরা বদ স্বভাবের দুখি। তাহলে এদের মধ্যে সত্যিকারের ভিখারি কারা? এদের মধ্যে ভিখারি বা ভিক্ষুক হলো, যাদের চোখ নেই, হাত নেই, পা নেই তারা। তাদের মধ্যে দুইজন ভিখারির কথোপকথন আমার এই লেখায় তুলে ধরছি। তো শুরু করার আগে দুজন ভিখারির সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। একজন হলো, ভিক্ষুক আনোয়ার। আরেকজন হলো, ভাসানী। তারা দুইজনই কিন্তু অন্ধ! তো চলুন শুরু করা যাক! ভিক্ষুক আনোয়ার যখন রাস্তায় বের হয়, তখন তার হাতে একটা লাঠি ...

অল্পতে হও খুশি

ছবি
হরি বলে হরি, আমি ক্ষুধায় মরি! দাও কিছু মোরে, পেটখানা ভরি। হরি বলে হায়, বলি যে তোমায়, কর্ম দোষে মরে ক্ষুধার জ্বালায়! যার যার ভাগ্য কর্মতেই বদলায়, কর্মতেই শাস্তি ভোগ কড়ায় গন্ডায়। হরি বলে হরি, বুঝতে না পারি, অভাবে স্বভাব নষ্ট, নিজে কি করি। হরি বলে শুনো, নেইতো অভাব, শুধু অভাব,অভাব, এটা স্বভাব! আছে প্রচুর, তবুও অভাবী ভাব, অল্পতে হইও খুশি, গুছবে অভাব।  হরি বলে হরি, যদি যাই মরি, বলবো না কবু আর ক্ষুধায় মরি। নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০১/০৫/২০২৩ইং। ছবি নেট থেকে সংগ্রহ।