পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার উপসংহার ও চূড়ান্ত শিক্ষা — পর্ব ২৫

ছবি
  📖 শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা — পর্ব ২৫ (শেষ পর্ব) প্রিয় পাঠক, এটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শেষ পর্ব। আগের সব পর্বে আমরা জীবনের নৈতিকতা, কৃতিত্ব, ভক্তি, ধ্যান ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার দিকগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি। এই শেষ পর্বে আমরা গীতার সারমর্ম এবং চূড়ান্ত শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিতভাবে মনন করব। এখানে কৃষ্ণের উপদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো—মানুষ যেন তার কর্তব্যের প্রতি সত্য, ভয়হীন এবং নির্বিকার থাকে, একই সঙ্গে আত্মার চিরন্তন প্রকৃতি উপলব্ধি করে নিজের জীবনে পূর্ণতা লাভ করে। শেষ পর্বে আমরা দেখতে পাই, কৃষ্ণ আর্জুনকে জানাচ্ছেন যে, জীবনের সমস্ত কর্মকাণ্ডে নিয়ম, ধৈর্য, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্যান অপরিহার্য। মানুষ তার দায়িত্ব পালন করুক, ফলাফল নিয়ে অতি চিন্তা না করুক, বরং সবকিছুকে ঈশ্বরের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়ে স্থিতপ্রজ্ঞা অর্জন করুক। এটি গীতার মূল শিক্ষা: কেবল নিজের কর্তব্য পালন করা যথেষ্ট নয়, অন্তর্দৃষ্টি ও আত্ম-জ্ঞান অর্জন করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্বে কৃষ্ণ আরও বলেন যে, সমস্ত জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব সমানভাবে বিদ্যমান। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস র...

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কর্মফল ত্যাগ ও মুক্তির পথ — পর্ব-২৪

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কর্মফল ত্যাগ ও মুক্তির পথ — পর্ব-২৪ | নিতাই বাবু শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় কর্মফল ত্যাগ ও মুক্তির পথ — পর্ব-২৪ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কর্মফল ত্যাগের মাধ্যমে জীবনের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। কর্ম করতে হবে কর্তব্যবোধ থেকে, কিন্তু ফলাফলের প্রতি আসক্তি থাকলে মানুষ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। অন্যদিকে নিঃস্বার্থ কর্ম মানুষকে মুক্তির পথে এগিয়ে দেয়। 🌿 কর্মফল ত্যাগের মূল শিক্ষা কর্তব্য পালন: নিজের কর্তব্য থেকে পিছিয়ে যাওয়া নয়। আসক্তি ত্যাগ: কাজের ফলাফলের প্রতি আসক্তি না থাকা। ভগবানের উদ্দেশ্যে কর্ম: সব কাজকে ঈশ্বরের সেবারূপে সম্পাদন করা। আত্মশুদ্ধি: কর্মফল ত্যাগের মাধ্যমে আত্মাকে পবিত্র করা। ✨ মুক্তির পথ শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন— “যে ব্যক্তি নিঃস্বার্থভাবে কর্তব্যকর্ম সম্পাদন করে, সে-ই প্রকৃত মুক্তির যোগ্য।” এই শিক্ষা মানুষকে লোভ, রাগ, দ্বেষ থেকে মুক্ত করে এবং জীবনে শান্তি আনে। 🔔 উপসংহার কর্মফল ত্যাগ মানেই কাজ না করা নয়। বরং কাজ করতে হবে দায়িত্ববোধ থেকে, কিন্তু আসক্তি ছাড়া। এভাবেই মানুষ সংসারবন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং চূড়ান্তভ...

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় যোগ ও আত্মসংযম — পর্ব-২৩

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় যোগ ও আত্মসংযম — পর্ব-২৩ | নিতাই বাবু শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় যোগ ও আত্মসংযম — পর্ব-২৩ শ্রীকৃষ্ণ যোগকে শুধু আসন বা ধ্যান হিসেবে ব্যাখ্যা করেননি; তিনি যোগকে ব্যাখ্যা করেছেন চেতনার সংযোগ হিসেবে— অর্থাৎ আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন। যোগের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আত্মসংযম , যা মানুষকে শান্তি, স্থিরতা ও মুক্তির পথে এগিয়ে দেয়। 🧘 যোগের প্রধান দিক কর্মযোগ: নিঃস্বার্থভাবে কর্তব্য পালন। ভক্তিযোগ: ভক্তি ও প্রেমের মাধ্যমে ঈশ্বরসাধনা। জ্ঞানযোগ: সত্যকে জেনে আত্মাকে মুক্ত করা। ধ্যানযোগ: মনকে একাগ্র করে ভগবানের চিন্তায় স্থির হওয়া। 🌱 আত্মসংযমের গুরুত্ব আত্মসংযম মানে ইচ্ছা ও আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা। ভগবান বলেন— “যিনি ভোগ-বিলাসে আসক্ত নন, যিনি রাগ-দ্বেষ জয় করেছেন, তিনিই প্রকৃত যোগী।” ভোগের প্রতি আসক্তি কমানো। মনকে প্রশান্ত রাখা। নিয়মিত ধ্যান ও প্রার্থনা করা। অন্যকে কষ্ট না দেওয়া। 🔔 উপসংহার যোগ মানে কেবল শারীরিক অনুশীলন নয়; এটি আত্মশক্তি ও ঈশ্বরসচেতনতার পথ। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শেখায়— যোগ ও আত্মসংযমই মুক্তির মূল চাবিকাঠি । ...