পোস্টগুলি

জুন ১৫, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন

ছবি
  গোপালগঞ্জ সদরের একটি শান্ত ও সবুজ গ্রাম— বৌলতলি করপাড়া । এই গ্রামের পথ, মাঠ, পুকুর, আর মানুষের মুখে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি ও অনুভব। এখানে কাটানো শৈশব কিংবা দেখা প্রথম ভালোবাসা, স্কুলমাঠে খেলাধুলা কিংবা বিকেলের শিষ বাজানো—সবকিছু একদিন ফিরে আসে হৃদয়ের পাতায়। এই কবিতাটি সেই ফেলে আসা দিনগুলোর এক স্মৃতিচারণ, যেখানে গ্রামবাংলার নিসর্গ, মানুষের আন্তরিকতা এবং একটি কিশোরীর স্বপ্ন একত্রে গাঁথা হয়েছে। পাঠকদের জন্য এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, বরং হৃদয়ের এক টুকরো ফিরে দেখা গ্রামজীবন। বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন মাঠে পুকুর পাড়ে, সাঁঝের কুয়াশায়, করপাড়ার ঘাটে বাজে স্মৃতির বাঁশি, তাল-গাছ, শাল-গাছ, বাতাসের ভাঁজে— বৌলতলি গ্রামে হৃদয় আজও হাঁসি। চালার নিচে আলো, খড়ের ঘ্রাণ মাখা, কিশোরীর হাঁসিতে কেঁপে ওঠে মন, মেঠো পথ ডাকে, ফেরার অনুরাগে, অঞ্জলি বিশ্বাস সেই সোনালি লক্ষ্মীজন। স্কুলব্যাগ কাঁধে, চোখে স্বপ্ন ঝিকিমিকি, দশম শ্রেণির দিন লেখা ছেঁড়া পাতায়, যে গাছের ছায়ায় সে গল্প বলত, আজো দাঁড়িয়ে...

গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বন্দরের পথে: বাদাম বিক্রির শৈশব স্মৃতি

ছবি
🩵 গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বন্দরের পথে: বাদাম বিক্রির শৈশবের দিনলিপি ✍️ লেখক: পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক নিতাই বাবু 📍 স্থান: নোয়াখালীর মহাতাবপুর, গ্রাম - থেকে - লক্ষ্মণখোলা, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ। ১৯৬৩ সালের জুনে আমার জন্ম, সেই অবহেলিত গ্রাম মহাতাবপুর -এ। গ্রামের পাশেই বাজরা রেলস্টেশন, আর দূরে কোথাও ছিল যুদ্ধের গন্ধ। বাবা তখন নারায়ণগঞ্জের এক ছোট চাকুরে, মাটি দিয়ে ঘেরা একটা দোচালা ঘর আর মা'র আঁচলে বাধা শান্তি ছিল আমাদের পৃথিবী। ১৯৬৮ সালে আমি ভর্তি হই মহাতাবপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে । পা জোড়া ছিল খালি, মাথায় ছিল ধুলো, আর কাঁধে ছালার ব্যাগে কয়েকটা বই। খাতার পাতা ভরে উঠতো কাঁচা হাতের অক্ষরে, কিন্তু মনের আকাশে আঁকা হতো স্বপ্নের রং। ১৯৭১ সালে দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো। দেশ স্বাধীন হবার পর গ্রামে ডাকাতে উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার আমরা আর গ্রামে থাকতে পারিনি। আমাদের পরিবার চলে আসে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় । আমি ভর্তি হই লক্ষ্মণখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । সেখানেও অভাব পিছু ছাড়েনি। ক্লাসের ফাঁকে বাদাম বিক্রি করতাম বাজারে, সেই টা...