পোস্টগুলি

মে ৯, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মায়ের ভালোবাসা

ছবি
মায়ের ভালোবাসা এমনই হয়, সন্তানে মুখে খাবার তুলে দিয়ে নিজেই না খেয়ে রয়! মায়ের দায়িত্ব এমনই হয়, শত দুঃখ-কষ্ট আপদ-বিপদেও সন্তানকে বুকে ধরে রয়! মায়ের ভুমিকা এমনই হয়, কখন যে আসবে ঝড়তুফান  সেদিকে কান পেতে রয়! মায়ের আশা এমনই হয়  সন্তানকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে তুলে লয়! মায়ের ঋণ শোধরাবার নয়, সন্তানের শরীরের চামড়া দিয়েও যদি মায়ের পায়ের জুতো বানানো হয়।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।

পাঁচ বালতি জমি

ছবি
পাঁচ বালতি জমি আমার পরের বাড়ি থাকি, জমিতে করেছি ফুলের চাষ ধান থাকলো বাকি। আস্তেধীরে চাষ করবো সব আলু পটল বেগুন, এসবের নাকি ফলন ভালো  দামেও চড়া দ্বিগুণ। পাঁচ বালতি জমিতে আমার তুলসী দেখায় শোভা,  তুলসী লাগে দেব পূজায়  ফুলও লাগে জবা। একটা গাছে ফুটেছে রক্তজবা  আর একটায় কামিনী,  তা দেখে সবাই খুশি  খুশি মোর অর্ধাঙ্গিনী। প্রিয় পাঠক, লেখা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৯/০৫/২০২৩ইং।

হে জাতির পিতা

ছবি
হে জাতির পিতা,  আমি যদি শিল্পী হতাম, তোমার ছবি এঁকে রাখতাম! দেয়ালে দেয়ালে তোমার ছবি আঁকতাম,   ছবিগুলো দেখে রাখতে অনুরোধ করতাম। যাদুঘরে মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখতাম, জনমে জনমে মনের মনিকোঠায় রেখে দিতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি কবি হতাম! তোমার নামে কবিতা লিখতাম, আমার সোনালী ডায়রিতে লিখে রাখতাম! কবিতার বই ছাপিয়ে সবাইর হাতে দিতাম, তোমার নাম কাগজে লিখে বাতাসে ওড়াতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি ইতিহাসবিদ হতাম!  তোমার নামে ইতিহাস রচনা করতাম, তুমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তা লিখতাম।  জীবনভর শুধু তোমার ইতিহাসই লিখে যেতাম, পৃথিবীর বাইরে থাকা ভিনগ্রহেও প্রচার করতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি হিমালয় হতাম! পর্বতের চূড়ায় পদ্মাসনে বসাতাম, তোমাকে আমার দেবতা মেনে পূজা করতাম! আমার মন মন্দিরে তোমার ছবি টাঙিয়ে রাখতাম, সকাল-সন্ধ্যা-রাতে তোমার ছবিতে ফুল ছেটাতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি বিচারক হতাম! তোমার হত্যাকারীদের শাস্তি দিতাম, ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতাম! দুষ্টু মদতদাতাদের বিচারের আওতায় আনতাম, বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাকারীদের ...

অশান্ত মন

ছবি
অশান্ত এই মন  করে শুধু বনবন  ভাবে বসে সারাক্ষণ কী করি এখন?  দিতে চায় ওজন  সেরে সেরে মণ মেলে না যখন গোলমাল বাধে তখন! ভাবতে হয় ভীষণ হিসাব নেবে মহাজন  মেলাবে কে এখন সময়ও নেই বেশিক্ষণ! তবুও ভাবে কিছুক্ষণ  ফাঁকি চলে কতক্ষণ  হাতে সময় অল্পক্ষণ  কী হবে যে কখন! কে আছে আপন  কোথায় আপনজন প্রিয়জন পরিজন আত্মীয়স্বজন বন্ধুগণ কাছে নেই স্বজন।  বিপদে বন্ধুর লক্ষণ ক্ষুধায় উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ  লোভে কুমন্ত্র গ্রহণ  বিশ্বাসে মন্ত্র শ্রবণ।  এমনি করে কতোজন  ভাগ্যে সিংহাসনে আহরণ  জোটে ক্ষমতার আসন ময়দানে বক্তৃতা ভাষণ। বনে যায় রাবণ কাঁপায় রাজনীতির অঙ্গন  দুর্নীতিতে গড়ে বিলাসভবন  চামচিকা করে তৈলমর্দন।  এভাবেই চলছে ভূবণ  মরছে দেশের জনসাধারণ  চালিয়ে যায় আন্দোলন নিশ্বাস থাকে যতক্ষণ।  হোক না মরণ চলুক দমন পীড়ন  করবো না পলায়ন প্রভুকে করবে স্মরণ!  একজন দুইজন তিনজন  ক্ষমতায় আসে যতজন  তারাই করছে ভোজন  কে আছে আস্থাভাজন?  মেলেনা মনের মতন  এমনই হিসাবের ধরন  বোধহয় জীবনটা রণাঙ্গন...

উন্নয়ন বিসর্জন

ছবি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দুর্মূল্যের কথা করেছি শ্রবণ  দাম বেড়েছে চাল ডাল তেল মরিচ আলু পটল লবণ রোজগার তো বাড়েইনি খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ এখন দিনমজুররা সীমিত মজুরিতে খেতেও পাচ্ছে না তেমন।  বড়লোকরা তো টেরই পায় না, তারা করে নিত্য ভ্রমণ কেউ যায় সিঙ্গাপুর, কেউ আমেরিকা, কেউ যায় লন্ডন দ্রব্যাদির দাম যতই বাড়ুক, তারা করে রাজকীয় ভোজন ইলিশ মাছ ভাজা, রুই মাছের ঝোল, মাংসও থাকে কমন। দুর্মূল্যের জাঁতা কলে মরছে দেশের যতো গরিব জনগণ নুন আনতে ফুরোয় পান্তা, দেখা যায় গ্রাম শহরে এমন আগে গরিবেরা খেতো আটার রুটি, ধনীরা হাসতো তখন সেই আটা গরিবের হাত ছাড়া, ধনীরাই খায় যখন-তখন।  দুর্মূল্যের বাজারে সবকিছু বদলে হয়েছে পরিবর্তন  গরিবের ফুটপাতে ভিড় জমায় শহরের নামি মহাজন রিকশাওয়ালাকে ছোটলোক বলতো কতো বিশিষ্টজন এখন তারাই চশমা পরে রিকশা চালায় রাত হয় যখন।  ডাস্টবিনে ফেলা পচা খবর খেয়ে যারা বাঁচাতো জীবন  সেই ডাস্টবিনে খাবার না পেয়ে হচ্ছে অনেকেরই মরণ ৭৪-এর দুর্ভিক্ষে আটার জাউ গরিবরা করেছিল ভক্ষণ  দুর্মূল্যের এই নীরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মরছে কতোজন? মন্ত্রী বলে প্রতিদিন তিনবেলা মাংস খেতে পা...

বাংলার পাট শ্রমিক

ছবি
তারা বাংলার পাট শ্রমিক,  শ্রম দিয়ে পায় পারিশ্রমিক,  শরীরের ঘাম ঝরায় দৈনিক,  তারা জীবন যোদ্ধা সৈনিক।  তাদের শ্রমের মূল্য যতসামান্য,  তবুও যা পায় তাতেই হয় ধন্য, বেশি পাবার আশা খুব সামান্য,  আশায় থাকেও না বেশির জন্য। শ্রমজীবীরা পারিশ্রমিক পেলেই খুশি, সবসময়ই থাকে মুখে হাসি, যদিও খায় পান্তা পচা বাসি, তবুও অল্পতেই হয় মহাখুশি।  ছবি: বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা জুট প্রেস থেকে তোলা।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।   ০৯/০৫/২০২৩ইং।

ভয়

ছবি
ভয় ভয় মন ভাবি বসে সারাক্ষণ, কী যেন হয় কখন  কথা বলি যখন।  কথা বলি কম পেছনে দাঁড়িয়ে যম কান খাড়া হরদম  উল্টা-পাল্টা হলেই খতম।  ধর্ম অবমাননার অজুহাত  খুঁজে বেড়ায় দিনরাত, ধর্মের গেলো জাত ধর মার বেজাত।  তাই মনে ভয় কখন যে কী হয়, কেউ যদি কিছু কয় ভেবেচিন্তে বলতে হয়। এ-কী নিদারুণ অসহায়  মানবতা গেলো কোথায়, জবরদস্তি চাপিয়ে মাথায়  ধর-মার কথায় কথায়। প্রিয় পাঠক, লকবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।

ভয় যতো ভয়

ছবি
এখন আর রাত-বিরেতে অন্ধকারে রাস্তায় চলতে করে না তেমন ভয়, কারণ আগের মতো চোর-ডাকাত এখন আর তেমন নেই, সব লোকে কয়! ভয় যতো ফেসবুক নিউজফিডে ফেসবুক ব্যবহারকারীর টাইম লাইনে, একটা স্ট্যাটাস ও একটা মন্তব্যের জেরে কতো পরিবার শেষ হচ্ছে দিনে-দিনে! ধর্ম অবমাননার গুজব রটিয়ে মাইক বাজিয়ে প্রতিবাদ করে, দলেদলে মিছিল করে দিনে-রাতে তারপর আগুন জ্বালায় ঘরে ঘরে। তাই করে ভয়, মনে হয় ফেসবুক বুঝি এখন নিরাপদ নয়, কার পোস্টের লাইক/কমেন্টের জেরে কখন যেন কী হয়! ভয় যতো ভয়! প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন। নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।

দেশি ফল বেশি বল

ছবি
আম খামু, জাম খামু  খামু কাঁঠাল ফল, পেয়ারা বাঙ্গি আনারস খামু বাড়ামু শইলে বল! তাল খামু বেতফল খামু খামু বুটিজাম কৎবেল, ডালিম আতা বাদাম খামু শইলে বাড়ামু তেল। জলপাই খামু বেল খামু খামু গোলাপজাম তেঁতুল,  আমড়া লেবু নাইরকেল খামু করতাম নাতো ভুল!  আমরুজ খামু তরমুজ খামু খামু পেঁপে কাঠবাদাম,  কলা লিচু কামরাঙা খামু না থাউক কাজকাম!  আপেল খামু বেদানা খামু খামু আঙুর কমলা,  গাব ডাব করমচা খামু থাউক পয়সার ঝামেলা।  বড়ই খামু ডেউয়া খামু  খামু জাম্বুরা চিনাল, পুতিজাম কাউফল কইতন খামু নাইত আইজ-কাইল। চালতা খামু শরিফা খামু  খামু সফেদা লটকন, অরবড়ই আমলকী পানিফল খামু টাটকা খামু সর্বক্ষণ।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৭/০৫/২০২৩ইং।

হে অন্তর্যামী

ছবি
তুমি জীবের অন্তর্যামী থাকো সবার অন্তরে, তুমি আছো বসে সবার মন মন্দিরে। তুমি পাহাড়ের চূড়ায় হিমালয়ে নদীতে সাগরে, তুমি আকাশে পাতালে মাঠে ঘাটে প্রান্তেরে। তুমি জীবের চালিকাশক্তি সকল জীবের নিশ্বাসে, তুমি সর্বশক্তিমান স্রষ্টা সকল মনের বিশ্বাসে। তুমি দয়ার ভান্ডার তোমার দয়ায় ভাসে, তুমি মহামায়া করুণাময় থাকে করুণার আশে। তুমি অনাথের নাথ তুমি অসহায়ের সহায়, তুমি জীবের নিশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে আরাধনায়। তুমি জ্ঞানী অজ্ঞানী সকলের মনের মণিকোঠায়, তুমি গ্রহ-নক্ষত্র বিশ্বব্রহ্মণ্ডে থাকো কানায় কানায়। প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন। নিতাই বাবু , নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৬/০৫/২০২৩ইং।

ব্লগার লেখক আমি হতে পারলে আপনিও পারবেন

ছবি
একসময় যখন এদেশে মোবাইল ফোনের আগমণ ঘটে, আমি তখন টেক্সটাইল মিলে কাজ করি। মিলটা ছিলো গোদনাইল পানির কল এলাকায়। মিলের নাম গাজী টেক্সটাইল মিলস্। মিল মালিকের নাম ছিলো, সামছুল হক গাজী। উনাকে এলাকার সবাই গাজী সাহেব বলে চিনতো, ডাকতো, ডাকতো। সময়টা তখন ২০০৬ সাল। তবে এর আগে থেকেই মনে হয় এদেশে মোবাইল ফোন এসেছিল। কিন্তু আমার দেখা ২০০৬ সালে গাজী টেক্সটাইল মিলের মালিক গাজী সাহেবের হাতে। তাই আমি এদেশে মোবাইল ফোনের আগমণ ২০০৬ সালই উল্লেখ করেছি। সে-সময় মিলের মালিক ঢাকা থেকে একটা নতুন মোবাইল ফোন কিনে আনে। মোবাইলটা প্রায় এক মুঠুম হাত লম্বা ছিল। মোবাইলটার কালার ছিলো কালো। উনি সময় সময় বাসা থেকে বের হয়ে মিলের গেইটের সামনে এসে মোমাইল ফোনটা কানে চেপে ধরে কথা বলতো। ঘরের বাইরে এসে কথা বলার কারণও ছিলো! কারণ হলো, তখনকার সময়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা বেশি ছিলো। যদিও উনার মোবাইলের সিমকার্ড গ্রামীণ ফোন ছিলো, তবুও তখন ঘরের ভেতরে বসে নেটওয়ার্ক পাওয়া যেতো না। তাই তিনি মোবাইল ফোন কানে চেপে ঘরের বাইরে এসে কথা বলতো। তা দেখে মিলেই সব শ্রমিকরা হা করে তাকিয়ে থাকতো! অবাক হয়ে দেখতো! কান পেতে উনার কথা শুনতো। সবার সা...

জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দাও

ছবি
সূর্যের আলো নাহয় ঢেকে রাখুক মেঘে, তাতে তোমার লাভ কি হায় রেগে-মেগে ? তোমার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দাও– রাত শেষে ভোরে, ঘুম থেকে জেগে!  সূর্যের আলো থেকেও আলোকিত জ্ঞান, যা থাকে সৃষ্টির সেরা জীবের মস্তিষ্কে! সেই জ্ঞানভাণ্ডার সদা রেখেছেন প্রভু খুলে! বিলিয়ে দাও, ছড়িয়ে দাও, দিকে দিকে! সূর্য থেকে আলো কেড়ে আলোকিত চাঁদ  জীবের জ্ঞানের আলোতে মিটে জীবনের স্বাদ! সেই জ্ঞান রেখো না বন্দী, স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দাও। তাতে হবেনা কেউ জ্ঞানশূন্য, জানিয়ে দাও! প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।

এদেশে আমি একজন ভূমিহীন নাগরিক

ছবি
আমি ভূমিহীন ছিলাম না। এদেশের আরও দশজনের মতো আমারও বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছিলো। বাড়ি ছিলো। সুন্দর পরিপাটি উঠোন ছিলো। থাকার মতো ঘর ছিলো। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে আমরা এদেশে ভূমিহীন নাগরিক হয়ে বসবাস করছি। বর্তমানে আমার বাবা, মা, বড় দাদা, বেঁচে নেই। আমার বাবার পুরিতে পুরুষ বলতে  আমিই একমাত্র পুরুষ। আমরা ছিলাম দুই ভাই, চার বোন। দু বোনের মধ্যে দুইজন পরলোকে, আর দুই বোন এখনো বেঁচে আছে। আমি ছিলাম আমাদের সংসারে সবার ছোট। আমি বর্তমানে ভূমিহীন বাস্তহারা হয়ে পরের বাড়িতে ভাড়া থেকে কোনোরকমভাবে বেঁচে আছি। ভূমিহীন হওয়ার ইতিহাস:  আমার নাম শ্রী নিতাই চন্দ্র পাল। তবে সবাই আমাকে "নিতাই বাবু" বলেই ডাকে। তাই আমি নিতাই বাবু নামে সবার কাছে, আর সবখানে এই নামে পরিচিত। আমার বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছিলো নোয়াখালী জেলার বজরা রেলস্টেশনের পশ্চিমে মাহাতাবপুর গ্রামে। আমার জন্ম ১৯৬৩ সালের ৮ জুন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা সপরিবারে গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণি পাস করে সবেমাত্র চতুর্থ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করেছিলাম। তখনই লেগে যায় দাবিতে তুমুল যুদ্ধ। তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু...

ডাক্তার একদম আলীর ভুল চিকিৎসার খেসারত

ছবি
এদেশে ডাক্তার কদম আলীদের ভুল চিকিৎসায় অনেক মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে!  একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কম্পাউন্ডারের নাম কদম আলী। কদম আলীর লেখাপড়া মোটামুটি। কিন্তু বড় ধরনের কোনও ডিগ্রি তার ছিল না। তবুও তার ঔষধের দিকেই ছিল বেশি মনোযোগ। তাই উঠতি বয়স থেকেই নিজের এলাকায় থাকা একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের দোকানে বলে-কয়ে চাকরি নেয়। তার কাজ হলো প্রেসক্রিপশন দেখে রোগীকে ঔষধ বুঝিয়ে দেওয়া। কদম আলী ঔষধের দোকানে চাকরি নেওয়ার পর থেকে খুব সুনামের সাথেই কাজ করে যাচ্ছিল। কদম আলীর আশা, একদিন সেও একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হবে। দিবে ঔষধের দোকান। বসবে কোনও এক চেম্বারে। করবে অনেক টাকা রোজগার। তাই তার নজর থাকে ডাক্তারের দিকে। ডাক্তার রোগী দেখে, রোগীর কথা শুনে, কোন রোগের জন্য কোন শিশির ঔষধ লিখে; তা কদম আলী খেয়াল করে মুখস্থ করে রাখে। সময়-সময় প্রেসক্রিপশন হাতে পেয়ে রোগীকে জিজ্ঞেস করে, আপনার রোগটা কী? রোগী যদি বলে মাথাব্যথা, তা কদম আলী মনের খাতায় লিখে রাখে—মাথাব্যথার ঔষধ এটা! এভাবে পাঁচ থেকে ছয় বছর কদম আলী খুব মনোযোগের সাথে রোগ নিরাময়ের ঔষধ এবং করণীয় সবকিছু মুখস্থ করে ফেলেছে। এখন কদম আলীকে ডাক্তারের বেশি...