পোস্টগুলি

Intermediate — মধ্যবর্তী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বিশ্বাস ও আচার-ব্যবহার পর্ব—১৭

ছবি
  পর্ব ১৭: বিশ্বাস ও আচার-ব্যবহার শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা অনুযায়ী, মানুষের বিশ্বাস ও আচরণের মধ্যে তিনটি ভিন্ন প্রকারের গুণ প্রতিফলিত হয়। এগুলো হলো সৎ বিশ্বাস, মধুর বিশ্বাস এবং অসত্য বা বিভ্রান্ত বিশ্বাস। প্রত্যেকটি বিশ্বাসই মানুষের আচরণ, দায়িত্ব ও জীবনধারাকে প্রভাবিত করে। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার বিশ্বাসকে সম্যকভাবে বিশ্লেষণ করে, যা তাকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে পরিচালিত করে। ভালো বিশ্বাস এবং সৎ আচরণে পরিপূর্ণ মানুষ যেকোনো কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। তাঁর কথাবার্তা, কর্ম ও চিন্তাধারা সবই ধারাবাহিকভাবে সৎ ও মানবিক হয়। অপরদিকে, বিভ্রান্ত বা অসৎ বিশ্বাস মানুষের মনকে বিভ্রান্ত করে এবং তার জীবনে অশান্তি ও সমস্যার সৃষ্টি করে। এই পর্বে, শ্রীকৃষ্ণ সঠিক বিশ্বাস, আচার-ব্যবহার এবং নৈতিকতার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন, যা একজন ব্যক্তিকে আধ্যাত্মিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। বিশ্বাস ও আচরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের অন্তরের সত্যকে চেনার চেষ্টা করে, তার জীবন ধারাবাহিকভাবে উন্নতির দিকে যায়। তিনি কেবল আচার-ব্যবহারই নয়, মনোভাব, ধ্য...

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৬: দেবী ও অসুরী গুণ

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৬ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা – পর্ব ১৬ পর্ব-১৬-এ আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো “দেবী এবং অসুরী গুণ”। এই অধ্যায়ে কৃশ্ণ জ্ঞান দেন মানুষের আচরণ, চিন্তা ও চারিত্রিক গুণাবলীর ভিত্তিতে তাদের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে। গুনগুলি মূলত দুই প্রকারের – দেবী গুণ এবং অসুরী গুণ। দেবী গুণাবলী দেবী গুণাধারীরা সদাচারী, সহনশীল, ধৈর্যশীল, সত্যবাদী ও আত্মনিয়ন্ত্রণে দক্ষ। এরা দয়ালু, সৎ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ধর্মময়। এই গুণাবলীর ফলে ব্যক্তির মন শান্ত, জ্ঞান উন্নত এবং জীবনে সমৃদ্ধি আসে। কৃষ্ণ বলেন, যে ব্যক্তি সদা নিয়মিত আত্ম-অনুশীলন, দান, সত্যনিষ্ঠা এবং সহিষ্ণুতা পালন করে , সে দেবী গুণধারী। তার জীবন নৈতিক, শুভাচার্যাপূর্ণ এবং সকলের জন্য প্রেরণাদায়ক হয়। অসুরী গুণাবলী অসুরী গুণাবলীর মানুষ অহংকারী, রাগী, অসহিষ্ণু, অসত, লোভী এবং অন্যায়ে লিপ্ত। এরা শৃঙ্খলাহীন, মিথ্যা, হিংস্র এবং দানশীল নয়। এ ধরনের আচরণ মানুষের জীবনে অশান্তি ও ব্যর্থতা নিয়ে আসে। কৃষ্ণ সতর্ক করেন যে, যে ব্যক্তি অহংকার, হিংসা, অশান্তি ও মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস রাখে, সে অসুরী গুণাবলীর অধিকারী। এই গুণগুলি তাকে...

শ্রীমদ্ভগবদগীতা – পর্ব ১২ | ভক্তি যোগের মহিমা ও সহজপথ

ছবি
  শ্রীমদ্ভগবদগীতা – পর্ব ১২: ভক্তি যোগের মহিমা ও সহজপথ ভক্তি যোগের মূল ধারণা: পর্ব-১২তে মহান শিক্ষাগুরু শ্রীকৃষ্ণ আর্জুনকে ভক্তি যোগের পথ সম্পর্কে বিস্তারিত শিক্ষা দেন। এই পর্বটি মূলত ভক্তির গুরুত্ব, তার সহজলভ্যতা এবং মানব জীবনে ভক্তির প্রভাবের ওপর আলোকপাত করে। ভক্তি যোগ বলতে বোঝায় ঈশ্বরের প্রতি স্নেহ, সমর্পণ ও বিশ্বাস, যা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উভয় বিকাশে সহায়ক। ঈশ্বরের প্রতি আস্থা ও প্রেম: শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ঈশ্বরকে যিনি পূর্ণ বিশ্বাস ও আন্তরিক হৃদয়ে ভালোবাসেন, তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও স্থির ও আনন্দিত থাকেন। ভক্তি যোগে কঠোর সাধনার প্রয়োজন নেই; নিয়মিত প্রার্থনা, মনন ও সৎকর্মের মাধ্যমে যে কেউ সহজে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে। ভক্তি যোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত এবং এটি যে কোনো ধর্ম, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থার মানুষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। মন ও আত্মার পরিশুদ্ধি: এই পর্বে শ্রীকৃষ্ণ আরও বলেন যে, ভক্তি যোগের মাধ্যমে আত্মা ধীরে ধীরে নির্ভীক, শান্ত ও সমবেদী হয়ে ওঠে। ভক্তের মন সর্বদা ঈশ্বরের স্মরণে লিপ্ত থাকে, ফলে সে অহঙ্কার, হিংসা ও কামনামুক্ত...