পোস্টগুলি

মে ৪, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

১৯৭৪ সালের আগেও এদেশে নীরব দুর্ভিক্ষ ছিলো

ছবি
          ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  এই বঙ্গদেশে দুর্ভিক্ষ বলতে কি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে বোঝায়? আমি বলি না! সে-সময় তো বাংলার কিছু মানুষ ক’দিন ভাতে কাপড়ে কষ্ট করেছিল। সে-সময় তো ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ। যা একটা পোড়া বাড়ির মতো ছিল অবস্থ। তাহলে অভাব তো একটু আধটু থাকার কথাই। তাই বলে কি এখনো ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের দুর্গন্ধটা অনেকের নাকে লেগে থাকবে? গন্ধটা লেগে থাকার তো কথা নয়! আমার মতে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের চেয়েও দেশ স্বাধীন হবার আগে নীরব দুর্ভিক্ষ বাংলার ঘরে ঘরে ছিল। কিন্তু সেই নীরব দুর্ভিক্ষের কথা বাংলার মানুষের হয়তো মনেই পড়ে না। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশ স্বাধীন হবার আগের নীরব দুর্ভিক্ষ অভাবগ্রস্ত পরিবারের আমি একজন অভাবী এখনো বেঁচে আছি এই বাংলার বুকে। সে- সময়ের অভাবের কথা এখনো সময় সময় মনে পড়ে। সে-সময়ের অভাবের কথা ভুলিনি, তা ভুলতেও পারবো না কোনোদিন। সে-সময়ে শুধু ভাত-কাপড়ের অভাবই ছিল না। অভাব ছিল শিক্ষার। অভাব ছিল শিক্ষা সামগ্রীর। অভাব ছিল ভাত-কাপড়ের। অভাব ছিল টাকা-পয়সার। মোট কথায় মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সবকিছুরই অভাব ছিল। সেই অভাবের মা...

স্মৃতি'র আল্পনা

ছবি
                  ছবি ইন্টারনেট থেকে। কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন। বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এয়ানব্যান্ড রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন আল্পনা আঁকি স্মৃতিগুলো! প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন। নিতাই বাবু , নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ...

বাঁশ গাছকে বাদ বিয়ে জাতীয় বৃক্ষ খেতাব দেয়া হলো আম গাছকে

ছবি
          ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  আপনাদের কি কারোর মনে আছে, এই বঙ্গদেশে কবে ঘূর্নিঝড় ফণী আঘাত হেনেছিল? হ্যাঁ, আমার বেশ মনে আছে! ঘূর্নিঝড় ফণী এই বঙ্গদেশে আঘাত হেনেছিল ২০১৯ ইং খ্রীস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে। সেদিন আমি আমার বাসার সামনে থাকা চায়ের দোকানে বসে ছিলাম চা পান করার জন্য।  এমন সময় শুরু হলো, ঘূর্নিঝড় ফণী'র আক্রমণ। সেসময় ছিলো আমের সৃজন। গাছে-গাছে ঝুলে আছে আম। এলাকার ছোটছোট ছেলে-মেয়েরা ওই ঘূর্নি ঝড়ের তীব্র বাতাস উপেক্ষা করে আম কুড়ানোর জন্য আমগাছের নিচে ঘুরঘুর করছিল। বাতাসও তীব্র বেগে বয়ে যাচ্ছিল! সেদিন ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর তীব্র বাতেসে একটা আমগাছ থেকে আম ঝরে পরছিল। সেই আম কুড়িয়ে নিচ্ছিল এলাকার কিছু ছেলে-পেলে। সেই দৃশ্য দেখে আমি নিজেই হারিয়ে গেলাম আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে। একসময় আমের সৃজনে আমিও এরকমভাবে আম কুড়িয়েছি। এ নিয়ে কত বকুনিও শুনেছি। তবুও তুফান বৃষ্টির দিনে কেউ ঘরে বেঁধে রাখতে পারেনি। আমের সৃজনে আকাশে কালো মেঘ দেখলেই আমগাছের নিচে  গিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম।ঘূর্নিঝড় ফণীর দিনে ছেলেটার আম কুড়ানো দেখে আমার মনের টেলিভিশনের পর্দ...

সত্য কথায় বিপদ

ছবি
                ছবি নিজের বানানো।  সত্য কথায় জীবন যায়  যেতে হয় কারাগারে,  ন্যায়বিচার খুব কমই হয় মিথ্যার জয় বিচারে। মিথ্যে কথায় পুরস্কার মেলে  মেলে সম্মানী পদবী  জোর-জুলুমের হয় উন্নতি  পক্ষে থাকে দেবদেবী। উচিৎ কথা বলতে মানা বলতে গেলেই কিল, সাথে থাকে লাত্থি গুতা  আরও থাকে ঢিল। মিথাবাদীরা দেয় ধর্মের দোহাই  সেটাই শুনে সর্বজনে, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা  যাচাই করে কয়জনে? প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ ।  ০৪/০৫/২০২৩ইং।

মেহনতী মানুষের জয়

ছবি
                  ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  রাজা ডেকে বলে, 'শুনো রে বাপু নিত্য গোপাল! তোর এ কেমন কপাল? তোকে দেখি চিরকাল, খেটেই যাচ্ছিস সকাল-বিকাল!  বল, এ তোর কেমন কপাল?' নিত্য গোপাল বলে, 'শুনেন শুনেন রাজা মহাশয়, আমি যদি না-ই খাটি ক্যামনে হবে আপনার জয়? দরিদ্রদের হয় রক্ত ক্ষয়, রাজার হয় রাজ্য জয়! রাজা হলেন রাগ! বললো, 'বলিস কি নিত্য গোপাল? এখান থেকে ভাগ! গরিবের রক্তে ফিরেনি মোর কপাল! আমার হলো রাজ কপাল! কার এমন সাত কপাল?' নিত্য গোপাল বলে, 'সবার-ই-তো একই কপাল!' ভাগ্য দোষে হয় কাঙাল! চিরসুখীও হয় কঙ্কাল! অর্থে দূর হয়না জঞ্জাল!  দারিদ্রতাই সুখের কপাল!'  রাজা হেসে বলে, 'হাহাহাহা দরিদ্রদের আবার সুখ? কষ্টে তোদের দিন চলে, বারোমাস দেখি তোদের দুখ! এটা আবার কেমন সুখ? রাজার থাকে রাজ্যের সুখ! নিত্য গোপাল হাসে! হিহিহিহি, 'এই সুখ তো সুখ নয়! যেদিন স্রষ্টার হুকুম আসে, সেদিন সবকিছুতেই ক্ষয়! রাজাও একদিন ফকির হয়! মেহনতি মানুষের হবে জয়✌!' প্রিয় পাঠক , কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই...

চিরসুখী

ছবি
              ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ ।  আমি মজুর আমি গরিব আমি চির দুখী, সারাদিনে একবেলা খাই তাতেই আমি সুখী।  নাইবা থাকুক টাকা-পয়সা প্রচুর ধনসম্পত্তি, দিবারাত্রি খেটে মরি তবুও নেই কোনও আপত্তি।  খাই-বা-না খাই তবুও আছি অনেক ভালো, যদি থাকতে ধনসম্পত্তি ছড়িয়ে দিতাম আলো। সেই আলোতে আলোকিত হতো লোকসমাজ, কেউবা হতো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউবা মহারাজ।  সুখী জীবনে দুঃখ আমার নেই তো টাকা কড়ি!  থাকতো যদি বিলিয়ে দিতাম অর্থ কাড়ি-কাড়ি। অর্থ নেই মোর মনটা আছে দেবার সামর্থ্য নাই, নিজেরই নাই জমিজমা তবুও বিলিয়ে দিতে চাই। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ ।  ০৪/০৫/২০২৩ইং।

অভাবীর প্রার্থনা

ছবি
                   ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  হরি বলে হরি, আমি ক্ষুধায় মরি! দাও কিছু মোরে, পেটখানা ভরি। হরি বলে হায়, বলি যে তোমায়, কর্ম দোষে মরে ক্ষুধার জ্বালায়! যার যার ভাগ্য কর্মতেই বদলায়, কর্মতেই শাস্তি ভোগ কড়ায় গন্ডায়। হরি বলে হরি, বুঝিতে না পারি, অভাবে স্বভাব নষ্ট, নিজে কি করি। হরি বলে শুনো, নেইতো অভাব, শুধু অভাব,অভাব, এটা স্বভাব! আছে প্রচুর, তবুও অভাবী ভাব, অল্পতে হইও খুশি, গুছবে অভাব।  হরি বলে হরি, যদি যাই মরি, বলবো না কবু আর ক্ষুধায় মরি। প্রিয় পাঠক , কবিতা ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনালা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ । ০৪/০৫/২০২৩ইং।

ভাগ্যের অবনতি

ছবি
             ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  সৎ কর্মে ভাগ্য ফিরে হয় সম ভাগ্যবান  অসৎ কর্মে দুঃখ-কষ্ট হয় কতো অপমান  স্রস্টা দিয়েছে দৃষ্টি বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান  সেই জ্ঞান বিলিয়ে দিয়ে হও বুদ্ধিমান।    মনে নেই ভক্তি মুখে হরিনাম ভগবান  মিছে ভক্তি মেলে না মুক্তি দূষিত প্রাণ শত কষ্টেও যদি গাহে স্রস্টার গুনগান  স্রস্টা বলে তুমিই পাবে বিস্তর সম্মান।  কেউ সৎ কর্মে করে বড় গাফলতি আবার কেউ অসৎ পথে করে মাতামাতি দুঃখ এলে ভাগ্যকে বলে এটাই নিয়তি  আসলে কর্ম দোষেই হয় ভাগ্যের অবনতি।  প্রিয় পাঠক , কবিতাটা ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ ।  ০৪/০৫/২০২৩ইং। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ। 

অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎকাল করোনাকাল ও মরণকাল

ছবি
                ছবি নিজের বানানো।  শুনেছি কাল তিন প্রকার। এই তিন প্রকার কাল হলো: অতীতকাল, বর্তমানকাল, ভবিষ্যৎকাল। কাল অর্থ সময়। মানে ক্রিয়াপদ যে সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়, সেই সময়টাকেই কাল বলা হয়। অর্থাৎ ক্রিয়া সম্পাদনের সময়কে ক্রিয়ার কাল বলে। তবে আমার মনে হয় এই কাল কিন্তু শুধুই ক্রিয়ার কালই নয়। এই কাল আরও অনেক রূপে, অনেক নামে প্রচলিত।               ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।  তাই আমি এই লেখায় অন্তত ২৪ প্রকার কাল’র নাম-সহ কাল’র বিশদ বিবরণও উল্লেখ করেছি। কারণ কেউ কেউ এই কালকে অন্যরকমও মনে করে থাকে। তবে হ্যাঁ, কালে কালে এই মানবজাতির অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। যেমন: বনমানুষ থেকে এপর্যন্ত মানুষ এখন সভ্যজগতে পদার্পণ। সেইসাথে সেসময় থেকে এসময় পর্যন্ত পৃথিবীর অনেককিছুই বদলে গেছে। তাই আবারও উল্লেখ করেছি, কাল কিন্তু একটা সময়। তা হোক সুসময়, দুঃসময়।            ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ।   আর এই সময়ের কালগুলো হলো: ক্রিয়াকাল, আদিকাল, অনন্তক...