পোস্টগুলি

জীবনবোধ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আসলে ভবে যেতে হবে

ছবি
  আসলে ভবে যেতে হবে পাঠিয়েছে ভবে আমায় একাধিক শর্ত দিয়ে, তারমধ্যে আছে তিনটি জন্ম মৃত্যু আর বিয়ে। ভবে এসে রইলাম মজে ভবের মায়াজালে, হেলায় হেলায় সময় শেষ জনম গেলো বিফলে। আসলে ভবে যেতে হবে ভবের মায়া ছেড়ে, সেই চিন্তার ধার ধারি না চলি হেলা করে। এই দুনিয়ায় যা আছে সবকিছুই অনিশ্চিত, শাস্ত্রে আছে লেখা শুধু জীবের মৃত্যুই নিশ্চিত। তবুও নেই চিন্তা আমার নিজের ধান্ধায় চলি, আমিই সেরা আমিই সব লোকসমাজে বলি। যতই বলি আমার আমার আমার নেই কিছু, যতই করি বাহাদুরি যম আছে আমার পিছু। হই-না যতো মস্তবড় বাহাদুর রাজা জমিদার, যেতে হবে সবই ছেড়ে এই মায়ার ভবসংসার। পড়ে রবে ধনসম্পদ টাকাকড়ি বিলাসবহুল বাড়ি, সবই থাকবে ঠিকঠাক শুধু আমিই দিবো পাড়ি। থাকবে না কিছুই দেহের শক্তি জারিজুরি, মৃত্যুতেই হবে শেষ যতো শক্তির বাহাদুরি। মৃত্যুর দিনক্ষণ লেখা আছে যমদূতের কাছে, পালাইবার পথ নাই যে যম থাকবে পাছে। যেখানেই থাকি আমি যমে খুঁজে বের করবে, ঠিক সময়মত যমদূত আমার; সামনে দাঁড়াবে। যমদূতের কাছে নেই টাকা পয়সার কারবার, মৃত্যুর স্বাদ করতে হবে বরণ জগতের সবার। ...

শ্মশানের নীরবতা: অহংকারের ছাইচাপা শিক্ষা

ছবি
  🪔 শ্মশানের নীরবতা: অহংকারের ছাইচাপা শিক্ষা একদিন গুরু বলেছিলেন— "যখন সময় পাবি, শ্মশানে আছিস— দেখবি কত অহংকার পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।" সে উপদেশ আজও কানে বাজে। সত্যিই তো! এই দুনিয়ার সব চাহিদা, লোভ, ক্রোধ, হিংসা, দম্ভ— সবই তো এক মুঠো ছাইয়ে শেষ হয়ে যায়। সেখানে নেই কোনো জাত-বর্ণের পার্থক্য, নেই ধনী-গরিবের ভেদাভেদ। চিতা যখন জ্বলে ওঠে, তখন সকলের দেহই একইভাবে পুড়ে ছাই হয়। সেই ছাইভস্ম বাতাসে উড়ে চলে যায়, যেখানে আর কেউ ফিরে তাকায় না। জীবনের এই নির্মম সত্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে, অন্তরের অন্ধকারে আলোর রেখা পড়ে। তখন নিজেকে প্রশ্ন করতে হয়— “আমি কি পারছি অহংকার পরিহার করতে? পারছি কি লোভ, লালসা, হিংসা, পরনিন্দার জাল ছিঁড়ে বের হতে?” শ্মশান আমাদের শেখায়— জীবন ক্ষণিক, মৃত্যু নিশ্চিত। অথচ সেই চিরসত্যকে ভুলে আমরা প্রতিদিন যে দম্ভে, যে বিভ্রান্তিতে জীবন পার করি, তার শেষ পরিণতিই তো সেই নীরব শ্মশান। যেখানে কেউ কিছু বলতে আসে না, কেউ কিছু নিতে পারে না। আজ বেঁচে আছি— কাল কে জানে কোথায় থাকব! সময় থাকতে তাই নিজেকে শুধরে...

আমি লিখতে চাই

ছবি
  লিখতে চাই পৃথিবী নিয়ে… এই বিশাল পৃথিবীতে আমি কেন এলাম — এই প্রশ্নটা বারবার ফিরে আসে। মা-বাবার কোলে জন্ম নিলেও, আমার আসার পেছনে কি শুধু জৈবিক কারণ? না কি কোনো অদৃশ্য হাত আমাকে নামিয়ে দিয়েছে এই মাটির গ্রহে — কিছু শেখানোর, কিছু ভুল শোধরানোর, কিছু ভালোবাসার দায় দিয়ে? এই পৃথিবী — যেখানে নদী আছে, পাখি আছে, কাঁদে মানুষ, হাসে শিশুরা — এত সুন্দর হয়েও এত ভঙ্গুর কেন? কেন এতো হিংসা, যুদ্ধ, লোভ? কেন এত ক্লান্ত দুঃখ জমে থাকে বাতাসে? আমি লিখতে চাই এই পৃথিবীর যত অপূর্ণতা নিয়ে, আবার লিখতে চাই তার অপার সৌন্দর্য নিয়েও — যে সৌন্দর্য আমাকে প্রতিদিন বাঁচিয়ে রাখে। লিখতে চাই সংসার নিয়ে… সংসার — শব্দটা ছোট হলেও, এর ভেতরেই লুকিয়ে থাকে জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। দুজন মানুষ যখন পাশে দাঁড়ায়, তখন শুধু শরীর নয়, দুটি জীবন জড়ায় — আশা, ভরসা, দুঃখ, ক্লান্তি, কষ্ট, স্বপ্ন নিয়ে। সংসার মানে একটা ঘর, কিছু দেয়াল, কিছু ব্যবহৃত বাসন নয় — সংসার মানে একটা পৃথিবী, যেটা গড়া যায় আবার ভেঙেও যায়। লিখতে চাই সেই ঘরবন্দি হাসিমুখগুলো...

ব্যর্থ জীবন

ছবি
  ব্যর্থ জীবন কেন এই পৃথিবীতে এলাম? কার উদ্দেশ্যে এই আগমন? বেঁচে থাকবার অর্থ কি শুধুই নিঃশ্বাস নেওয়া আর মৃত্যুর অপেক্ষা করা? এত বছর কেটে গেলো— তবুও আজ নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হয়, কি করলাম আমি এই জীবনে? না পেরেছি নিজের অস্তিত্বের অর্থ খুঁজে পেতে, না পেরেছি মানুষের জীবনে আলো জ্বালাতে। জন্মের পর থেকে কেবলই ছুটেছি। কখনো জীবিকার জন্য, কখনো প্রমাণের জন্য, কখনো আপনজনের ভালোবাসা পাবার আকুতি নিয়ে। তবুও যেন কোথাও পৌঁছাতে পারিনি। শুধু কষ্ট জমেছে বুকের খাঁচায়, শুধু ঋণ বেড়েছে জীবনের কাছে। স্মৃতির খাতায় যদি চোখ রাখি, দেখি সেখানে আছে অপূর্ণতা, অসফলতার দীর্ঘ ছায়া, আর আছে কিছু অনুতাপ— যা রাতে নিঃশব্দে কাঁদিয়ে তোলে। অহংকার করেছিলাম এই দেহ নিয়ে— চেহারা, সামান্য বিদ্যা, সামান্য কিছু সম্পদ। ভেবেছিলাম, এটাই বুঝি আমার অর্জন! কিন্তু মৃত্যু এসে বলে দেবে— "তোর কিছুই তোর নয়, সবই সময়ের ধার।" এই দেহ পুড়ে যাবে চিতার আগুনে, রেখে যাবে একমুঠো ছাই আর কিছু শোকবার্তা। কারও চোখে অশ্রু নাও আসতে পারে, কারও মুখে উচ্চ...

ব্যর্থ জীবনের গল্প

ছবি
  গল্প: ব্যর্থ জীবন বিকেলটা ছিল অদ্ভুত রকমের নীরব। সূর্যটা ছিল যেন একটু তাড়াহুড়োয়, নরম আলোটা ঘরের মেঝেতে হেলে পড়ছিল ধীরে ধীরে। সোহেল উদাস চোখে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাড়ির পাশের পুরনো আমগাছটার পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো এসে পড়ছে তার মুখে, আর তাতেই যেন বেদনার রংটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। ৬৩ বছর বয়স— এই জীবনে কী পেল সে? একটা চাকরি ছিল, তাও মাঝখানেই ছেড়ে দিতে হয়েছিল পারিবারিক চাপে। ব্যবসা শুরু করেছিল—হঠাৎ এক বন্ধু বিশ্বাসঘাতকতা করল। স্ত্রীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, আজ সেই স্ত্রী-ই যেন প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয়— সে ব্যর্থ। সোহেল ধীরে ধীরে উঠলো, চুপচাপ আয়নার সামনে দাঁড়ালো। চুলে পাক ধরেছে অনেক আগেই, চোখে কালি, মুখে গাঢ় ক্লান্তি। নিজেকে দেখে তার মনে হলো, “এই আমি কি সেই সোহেল, যে একদিন স্বপ্ন দেখত—জীবনের রং পাল্টে দেবে?” সে জানালার পাশে বসে গেল। পিঠে একটা পুরনো চাদর জড়িয়ে, এক কাপ কড়া লাল চা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলো— “কেন এসেছিলাম এই পৃথিবীতে?” “শুধু ব্যর্থতা দেখার জন্য?” স্মৃতিগুলো একে একে ভিড় করতে লাগল ...

পরিচয়হীন এক সোহেলের দিনলিপি

ছবি
পরিচয়হীন এক সোহেলের দিনলিপি — এক আত্মসমীক্ষার গল্প আজ ২৯শে জুন, বিকেল ৫টা। ঘড়ির কাঁটা নড়ছে, কিন্তু সময় আমার মধ্যে যেন থেমে আছে। জানালার ওপারে শিশিরভেজা ছাদ, একফোঁটা আলোও নেই আমার ঘরে। জানালা দিয়ে ঢুকছে কেবল শীতল হাওয়া আর পুরনো স্মৃতির গন্ধ। আমি সোহেল। তবে নামটা কেউ ডাকে না। প্রয়োজন ফুরালেই সবাই ভুলে যায়। তাই আজকাল নিজেকেও মনে হয় নামহীন এক মানুষ। একটা সময় ছিল, যখন ভাবতাম—জীবনে কিছু একটা হবো। কেউ একজন বলবে, “এই যে সোহেল ভাই, আপনার জন্যই তো এত কিছু সম্ভব হয়েছে।” কিন্তু না। কেউ বলে না। হয়তো বলার কথাও না। আমি নিজেও তো নিজেকে কিছু বানাতে পারিনি। একটা ছোট চাকরি করতাম—তিন রুমের একটা অফিস, ছোট ডেস্ক, ক্যাশবই আর এক রাগী বস। টিকটিকির মতো সারা দিন দেয়ালে ঝুলে থাকতাম, বিকেল হতেই বাসার দিকে হাঁটতাম হেঁটে হেঁটে। তাও সেই চাকরিটা হারালাম। কারণ? সৎ ছিলাম। এরপর দিন গেছে। বাড়িভাড়া, বাজার, ঋণ, স্ত্রীর অনুযোগ আর ছেলের পড়াশোনার খরচ—সবকিছুর নিচে পিষ্ট হতে হতে আমি বুঝলাম—আমি আর মানুষ নই, আমি কেবল একটা খরচের খাতা। বাড়ির কেউ...

এইতো জীবন

ছবি
এইতো জীবন — এক আক্ষেপ, এক উপলব্ধি জীবন বেশি সময়তো নয়, যতটুকুই সময়, অনেক সময় হয় অপচয় কতো জয়, কতো ক্ষয়, কতো ভয় আশা-নিরাশার দোলাচালে বেঁচে রয় সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। জীবন বেশি সময়তো নয়, খুবই অল্প সময়, চাওয়া-পাওয়ার জয়-পরাজয় প্রেম-বিয়ে ভালোবাসাও তো হয় কেউ ব্যর্থ, সফলতায় জীবন মধুময় সময় ফুরোলে সবকিছুই স্মৃতি হয়ে রয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। 🖊️ কবি: নিতাই বাবু ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু—(মূল নাম: নিতাই চন্দ্র পাল) একজন চিন্তাশীল কবি, ব্লগার ও সমাজ-মনস্ক লেখক। জন্ম ১৯৬৩ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশের এক প্রাকৃতিক শোভাময় গ্রামে—নোয়াখালীর মহতাবপুরে। তাঁর শৈশব কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের ছায়া ও দারিদ্র্যের বাস্তবতায়, যা তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও সংবেদনশীলতার ছাপ রেখে গেছে। তিনি bdnews24 ব্লগের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, লেখেন মানবিকতা, শহর-জীবন, নদী-সংস্কৃতি, এবং নান্দনিক সমাজবোধ নিয়ে। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে সময়ের ক্ষণস্থায়িত্ব, ভালোবাসা, অপচয়, বেদনা এবং আশা-নিরাশার দোলাচল। নিতাই বাবুর লেখনী সরল অথচ হৃদয়গ্রাহী—যেখানে পাঠক খ...

আমি রক্ত মাংসে গড়া

ছবি
🌺 আমি রক্ত মাংসে গড়া 🌺 আমি রক্ত মাংসে গড়া , স্বপ্নের ভেতর হেঁটে চলা এক বাস্তব মানুষ। নেই কোনো জাদু, নেই কোনো মিথ, আমার ক্লান্তি, আমার ঘাম — সবই ছুঁয়ে দেখা যায়। আমি প্রতিদিন ভাঙি, প্রতিদিন গড়ি, ভোরের আলোয় জেগে উঠি হাহাকারের ভেতর। ভাতের জন্য লড়াই করি, ভালোবাসার জন্য চোখ ভিজে যায়। আমি রক্ত মাংসে গড়া — চোখের জল, ঠোঁটের হাসি, বুকের কষ্টে তৈরি। তাই যে আমায় শুধু ছবি ভাবে, সে জানে না রক্তে লেখা আমার নাম। আমার আছে রাগ, আছে দুঃখ, আছে অপমান সহ্য করার অসীম শক্তি। আমি নিঃশব্দ চিৎকারে বেঁচে থাকা মানুষ, আমি ইতিহাস নই — আমি বর্তমানের আখ্যান। আমি রক্ত মাংসে গড়া — তাই প্রেমে পোড়ে, বেদনায় বাঁচে, এমনই এক মাটি-ছোঁয়া জীবন্ত কবিতা। ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু — একজন সমাজসচেতন কবি ও ব্লগার। bdnews24 ব্লগে তার লেখালেখির যাত্রা শুরু। তিনি মূলত নারায়ণগঞ্জ শহর ও তার চারপাশের ইতিহাস, নদী ও মানুষের জীবন নিয়ে লেখেন। "রক্ত মাংসে গড়া" তার জীবনবোধ ও...

কান্না ভুলে হাসি

ছবি
  এসেছিলাম যখন আমি ভবে, আমি ছিলাম চুপ— চিন্তিত ছিল সবে! চোখ মেলে দেখালাম নিষ্ঠুর পৃথিবী, কেঁদে উঠলাম আমি— হেসেছিল জগতের সবে! আমার তো হাসার কথাই ছিল, তবু কেন হাসিনি? আমি দিলাম কেঁদে! বুঝলাম— পৃথিবীটা বড়ই স্বার্থপর, কেউ কারো নয়— শুধু সৃষ্টিকর্তা বাদে। সেদিনের কান্নায় হেসেছিল বিশ্ববাসী, কান্না গিয়েছি ভুলে— এখন শুধু হাসি! হাসিই হোক আমার জীবনসঙ্গী, থাকুক মৃত্যু পর্যন্ত— দেখুক এই জগতবাসী! নিতাই বাবু  পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক— ব্লগ ডট বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম