পোস্টগুলি

জুন ৩০, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমি এদেশে সংখ্যালঘু

ছবি
আমি এদেশে সংখ্যালঘু আমি এদেশে সংখ্যালঘু , তবুও আমি “এদেশের” — এই মাটি, এই জল, এই পল্লীর পেঁপে গাছ, এই বর্ষার জলঢাকা পথ— সবই আমার চেনা। আমি হিন্দু, আমি বৌদ্ধ, আমি খ্রিস্টান— তবু আমি বাংলাদেশী , আমি সেই মা-বাবার সন্তান, যারা একাত্তরে কাঁধে বোমা নয়, কাস্তে-কলম-লাঠি তুলে দাঁড়িয়েছিল পাক-হানাদারের বিপক্ষে। আমার দাদার বুকেও বয়ে গিয়েছিল গুলি, জন্মভূমিকে ভালোবেসে। কিন্তু আজ তার নাতি আমি— নতুন করে পরিচয়ের সনদ চাই। আমি এদেশে সংখ্যালঘু, আমার ঈশ্বরকে আমি মাটির মূর্তিতে দেখি— তাই আমি ভয় পাই, কারণ একদিন সেই মূর্তি ভাঙা হয় ‘অপরাধে’ যে আমি ভিন্ন রূপে ঈশ্বরকে ভালোবাসি। আমি শারদীয়া দুর্গাপূজায় মা দুর্গাকে স্বাগত জানাই, আর সেই সময় আমার কাঁপে বুক— বাজার থেকে ফেরার পথে গলার মালা ছিঁড়ে ফেলা হতে পারে, ঘরের প্রতিমায় পাথর ছোঁড়া হতে পারে। পুলিশ হয়তো আসবে, আবার হয়তো আসবেই না। আমি স্কুলে বাংলায় ‘মা’ লিখি, কিন্তু প্রশ্ন আসে— “তুমি হি...

আমিও এদেশের মানুষ

ছবি
----আমিও এদেশের মানুষ---- একজন সংখ্যালঘুর কণ্ঠস্বর! আমি হিন্দু, তাই আমি এদেশে চারাল আমি অল্পশিক্ষিত, তাই আমি গণ্ডমূর্খ আমি গরীব, তাই আমি এদেশে অবহেলিত আমি পুজো করি, তাই আমি এদেশে ঘৃণিত। আমি দীপ জ্বালালে বলে — অশুভ আগুন আমি ঘণ্টা বাজালে বলে — যন্ত্রণা দেয় কানে আমি নাম না জপে, শুধু শান্তি চাই — তবু বলে, আমি ধর্মদ্রোহী, আমি অমানুষ! আমি কোরবানির বিরোধিতা করি না, তবু আমার উঠানে ছাগল বাঁধা অপরাধ আমি দুর্গাপূজায় আলপনা আঁকি — তবু বলে, এই দেশে আমার সংস্কৃতির অধিকার নাই। আমি "জয় মা" বলি — কেউ হাসে, কেউ হিংসে করে আমি নমস্কার করি — বলে, সালাম শেখ না রে! আমি খুশি থাকলে — গুজব ওঠে, বুঝি ইন্ডিয়ার টাকা আমি দুঃখী হলে — বলে, নাটক করিস! তোদের তো দেশই নাই! তবু আমি বলি — আমিও মানুষ! আমারও রক্ত লাল, আমারও বুক কাঁপে, আমারও মা আছেন, আমারও সন্তান স্বপ্ন দেখে। সময়সময় কৃতজ্ঞ রাখি, সংখ্যালঘু নির্যাতনে প্রতিবাদ দেখি! বহু মানুষ করে প্রতিবাদ অন্যায়ের, মানববন্ধন করে সবাই ন্যায়বিচারের। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে, শহরের ...

ঘরে বাইরে চলছে ক্রিকেট জুয়া

ছবি
     ক্রিকেটের আড়ালে সর্বনাশা জুয়া বর্তমানে হাতে হাতে স্মার্টফোন! ঘরে ঘরে রঙিন টেলিভিশনের ছড়াছড়ি। সাথে পাচ্ছে সীমিত মূল্যে 4G ইন্টারনেট সেবা এবং ওয়াইফাই। দেশের আনাচে-কানাচে, হাট-বাজারে, অলি-গলির প্রতিটি দোকানে চলছে টিভি চ্যানেলে ক্রিকেট খেলা। এই জনপ্রিয় খেলার ভেতরে চলছে আরেক ভয়াবহ খেলা — মরণঘাতী গুপ্ত জুয়া । ক্রিকেটের মাঠে উইকেট খেলে না, খেলে খেলোয়াড়রা। আর মাঠের বাইরের অনেক ভক্ত এই খেলার নামে খেলছে সর্বনাশা জুয়া। আমার ক্রিকেট স্মৃতি ❝সময়টা ছিল স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৪-১৯৭৫ সাল। আমরা তখন টেনিস বল দিয়ে ব্যাটবল খেলতাম। বল না থাকলে ছেঁড়া কাপড় মুড়িয়ে বানাতাম বল। স্টাম্প বানাতাম গাছের ডালা বা ইট সাজিয়ে। ব্যাট হিসেবে থাকত কাঠের তক্তা। বল করতাম গড়িয়ে।❞ খেলোয়াড় বলেই জানতাম সবাইকে। উইকেট বা ব্যাটসম্যান শব্দ তখন অজানা। আজ সেই ব্যাটবল হয়ে গেছে জাতীয় ক্রিকেট খেলা, যা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য এক গৌরব। জাতীয় ক্রিকেট ও তার উত্থান: ক্রিকেটের জন্ম ষোড়শ শতকে হলেও প্রথম টেস্ট খেলা শুরু হয় ১৮৭৭ সালে। বাংলাদেশের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭৯ সালে...