পোস্টগুলি

স্মৃতিচারণ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার ছোটবেলা

ছবি
আমার ছোটবেলা ✍️ নিতাই বাবু আমার ছোটবেলা খুব সাদামাটা, খুব চুপচাপ। তাতে ছিল না দামি খেলনা, না ছিল চকচকে জামা। তবে ছিল রোদ, ছিল ধুলা, ছিল ঘামের গন্ধ মাখা একটা জীবন্ত জীবন। ভোরবেলায় মায়ের ডাকে উঠত ঘুম। "তাড়াতাড়ি ওঠ, বাজারে যেতে হবে, বই কিনতে পারবি না তাহলে!" আমি ঘুমচোখে ভাবতাম, বই না কিনলে কী হবে? কিন্তু পরে বুঝেছি, একটা বই মানে একটা দরজা— যে দরজা দিয়ে আমি আমার দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলে স্বপ্নের দিকে হেঁটে যেতাম। স্কুলে যেতাম ছেঁড়া ব্যাগ আর পায়ে ছেড়া চপ্পল নিয়ে। বন্ধুরা পেছনে তাকিয়ে হাসত—তাদের হেসে ফেলতে দোষ নেই, কারণ তারা জানত না, আমি বাদামও বেচি, আবার অঙ্কও কষি। তারা দেখত কেবল বাদামের ঝুড়ি, আমি দেখতাম তার ভেতরে লুকানো বইয়ের টাকা। অনেক দিন স্কুলের পেছনের বেঞ্চে বসেছি, তবু কখনও পড়া ছেড়ে দিইনি। যেদিন খাতার পাতা শেষ হয়ে যেত, সেদিন রাস্তার মোড়ে আরও একটু বেশি হাঁটতাম। একটা বাদাম বেশি বিক্রি মানে, একটা পৃষ্ঠা বাঁচানো যায়। ছুটির দিনে যখন অন্যরা খেলত ক্রিকেট, আমি গুনতাম কয়টা বাদাম বাকি আছে ঝুড়িতে। তবু মন খারাপ করিনি, ক...

বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন

ছবি
  গোপালগঞ্জ সদরের একটি শান্ত ও সবুজ গ্রাম— বৌলতলি করপাড়া । এই গ্রামের পথ, মাঠ, পুকুর, আর মানুষের মুখে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি ও অনুভব। এখানে কাটানো শৈশব কিংবা দেখা প্রথম ভালোবাসা, স্কুলমাঠে খেলাধুলা কিংবা বিকেলের শিষ বাজানো—সবকিছু একদিন ফিরে আসে হৃদয়ের পাতায়। এই কবিতাটি সেই ফেলে আসা দিনগুলোর এক স্মৃতিচারণ, যেখানে গ্রামবাংলার নিসর্গ, মানুষের আন্তরিকতা এবং একটি কিশোরীর স্বপ্ন একত্রে গাঁথা হয়েছে। পাঠকদের জন্য এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, বরং হৃদয়ের এক টুকরো ফিরে দেখা গ্রামজীবন। বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন মাঠে পুকুর পাড়ে, সাঁঝের কুয়াশায়, করপাড়ার ঘাটে বাজে স্মৃতির বাঁশি, তাল-গাছ, শাল-গাছ, বাতাসের ভাঁজে— বৌলতলি গ্রামে হৃদয় আজও হাঁসি। চালার নিচে আলো, খড়ের ঘ্রাণ মাখা, কিশোরীর হাঁসিতে কেঁপে ওঠে মন, মেঠো পথ ডাকে, ফেরার অনুরাগে, অঞ্জলি বিশ্বাস সেই সোনালি লক্ষ্মীজন। স্কুলব্যাগ কাঁধে, চোখে স্বপ্ন ঝিকিমিকি, দশম শ্রেণির দিন লেখা ছেঁড়া পাতায়, যে গাছের ছায়ায় সে গল্প বলত, আজো দাঁড়িয়ে...