ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম— গদ্য কবিতা (পর্ব-৬)
🪔 গদ্য কবিতা – পর্ব-৬:
ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম…
ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম,
জিজ্ঞেস করতাম— এত কষ্ট দিয়ে কেন পাঠালে?
ভাঙা ঘর, অনাহারী শিশু, বৃদ্ধ মায়ের কাঁপা হাত
এসব কি তোমার ইচ্ছার ফল?
আমি হয়তো কাঁদে ফেলতাম,
তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে চাইতাম—
“তুমি কি দেখো না?
তোমার নামে কত হত্যা, ঘৃণা, দ্বন্দ্ব?”
ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম,
একটিবার জড়িয়ে ধরতাম তাঁকে
বলতাম— "তুমি কি জানো,
তোমাকে না দেখতে পেয়ে কত রাতে ঘুম আসেনি?”
আমি চাইতাম না সোনার মন্দির,
চাইতাম না কোনো ধর্মের প্রমাণ,
শুধু একটা হাত রাখতেন আমার কাঁধে
আর বলতেন, “আমি আছি, পাশে আছি।”
ঈশ্বরকে যদি কাছে পেতাম,
বলতাম— “চলো, একদিন পথে হাঁটি,
দেখো কত মানুষ তোমায় ডাকে
কিন্তু কেউ পায় না— কেবল ঘরভরা নিয়ম আর ভয়!”
আমি তাঁর চোখে চোখ রেখে বলতাম,
“ভালোবাসা শেখাও, ভয় নয়।
মানবতা শেখাও, ধর্ম নয়।
কারণ তুমি যদি ঈশ্বর হও,
তবে তোমার প্রথম নাম হওয়া উচিত— ভালোবাসা।”
— নিতাই বাবু
![]() |
নিতাই বাবু
পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে। 🌐 ব্লগ: নিতাই বাবু ব্লগ | জীবনের ঘটনা | চ্যাটজিপিটি ভাবনা |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
nitaibabunitaibabu@gmail.com