পোস্টগুলি

সময় লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না

ছবি
  ✍️ ভূমিকা: জীবন বড়ই ক্ষণস্থায়ী। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি, থাকি কিছুদিন, আবার হারিয়ে যাই এক নিরব অনন্তের দিকে। অথচ জীবন চলতেই থাকে—সূর্য ওঠে, পাখি গান গায়, ফুল ফোটে, আর মানুষ নতুন স্বপ্নে পথ হাঁটে। তবু কোনো এক গভীর মুহূর্তে আমাদের মনে পড়ে যায়—এই পথেও তো কেউ হেঁটে গিয়েছিল একদিন। এই কবিতাটি সেই হারিয়ে যাওয়া, চলে যাওয়া, এবং থাকবার তীব্র ইচ্ছের এক মর্মস্পর্শী স্বীকারোক্তি। “আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না” —এই পংক্তিতে যেমন সময়ের সত্য উচ্চারিত হয়েছে, তেমনি রয়েছে ভালোবাসা, আত্মঅনুধ্যান ও বেঁচে থাকাকেই উপলক্ষ্য করে যাওয়ার এক তীব্র চেষ্টা। এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, এটি এক নিরব আলাপন—জীবনের সাথে, মৃত্যুতে হারিয়ে যাওয়া সমস্ত মুখগুলোর সাথে। 🌌 আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না এই পৃথিবীর আনন্দ থাকবে সারাক্ষণ, আমি থাকবো না—জীবন থামবে কোন গোপনক্ষণ। নিঃশ্বাস হলো অবিশ্বাস, থেমে যাবে যবে, আনন্দ, গান, রং-তামাশা—সব মিলাবে ভবে। সূর্য উঠবে, পাখি গাইবে ভোরের নতুন গান, আমার খালি ঘরে আর ফিরবে না কারো টান। চায়ের কাপ থাকবে, রুমালও থাকবে...

এইতো জীবন

ছবি
এইতো জীবন — এক আক্ষেপ, এক উপলব্ধি জীবন বেশি সময়তো নয়, যতটুকুই সময়, অনেক সময় হয় অপচয় কতো জয়, কতো ক্ষয়, কতো ভয় আশা-নিরাশার দোলাচালে বেঁচে রয় সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। জীবন বেশি সময়তো নয়, খুবই অল্প সময়, চাওয়া-পাওয়ার জয়-পরাজয় প্রেম-বিয়ে ভালোবাসাও তো হয় কেউ ব্যর্থ, সফলতায় জীবন মধুময় সময় ফুরোলে সবকিছুই স্মৃতি হয়ে রয়। জীবন বেশি সময়তো নয়।। 🖊️ কবি: নিতাই বাবু ✍️ লেখক পরিচিতি: নিতাই বাবু—(মূল নাম: নিতাই চন্দ্র পাল) একজন চিন্তাশীল কবি, ব্লগার ও সমাজ-মনস্ক লেখক। জন্ম ১৯৬৩ সালের জুন মাসে, বাংলাদেশের এক প্রাকৃতিক শোভাময় গ্রামে—নোয়াখালীর মহতাবপুরে। তাঁর শৈশব কেটেছে মুক্তিযুদ্ধের ছায়া ও দারিদ্র্যের বাস্তবতায়, যা তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও সংবেদনশীলতার ছাপ রেখে গেছে। তিনি bdnews24 ব্লগের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্লগার, লেখেন মানবিকতা, শহর-জীবন, নদী-সংস্কৃতি, এবং নান্দনিক সমাজবোধ নিয়ে। তাঁর কবিতায় ফুটে ওঠে সময়ের ক্ষণস্থায়িত্ব, ভালোবাসা, অপচয়, বেদনা এবং আশা-নিরাশার দোলাচল। নিতাই বাবুর লেখনী সরল অথচ হৃদয়গ্রাহী—যেখানে পাঠক খ...

কাল কত প্রকার ও কী কী

ছবি
  কাল কত প্রকার ও কী কী? অনেকেই প্রশ্ন করেন, কাল কত প্রকার ও কী কী? উত্তর হলো—অতীতকাল, বর্তমানকাল ও ভবিষ্যৎকাল। তাতে দেখা যায়, কাল তিন প্রকার। তা যে যা বলুক, আমি এই লেখায় অন্তত ২৪ প্রকার কালের নাম-সহ কালের বিশদ বিবরণও উল্লেখ করেছি। কারণ কেউ কেউ এই কালকে অন্যরকমও মনে করে থাকে। তবে হ্যাঁ, কালে কালে এই মানবজাতির অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। যেমন: বনমানুষ থেকে এপর্যন্ত মানুষ এখন সভ্য জগতে পদার্পণ করেছে। সেইসাথে সেসময় থেকে এসময় পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে গেছে। তাই আবারও উল্লেখ করেছি, কাল কিন্তু একটা সময়। তা হোক সুসময়, দুঃসময়। এই সময়ের কালগুলো হলো: ক্রিয়াকাল, আদিকাল, অনন্তকাল, মহাকাল, শিশুকাল, বাল্যকাল, যুবককাল, অকাল, বয়সকাল, চিরকাল, গতকাল, আগামীকাল, আজকাল, আধুনিককাল, সকাল, বিকাল, রাত্রিকাল, এযাবতকাল, একাল, সেকাল, কলিকাল, করোনাকাল, বৃদ্ধকাল, মরণকাল। এই সময়টা হতে পারে দীর্ঘ সময় বা অল্প সময়। যেমন: গানে আছে—“কতকাল দেখিনি তোমায়!” ... (সম্পূর্ণ বর্ণনা উপরের পাঠ্য অনুযায়ী সংরক্ষিত আছে) ২৪ প্রকার কালের সংক্ষিপ্ত তালিকা ও বর্ণনা: ক্রিয়াকাল : ক্রিয়ার ...