পোস্টগুলি

শীতলক্ষ্যা-নদী লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এই বঙ্গদেশে একটি নদীর নাম শীতলক্ষ্যা

ছবি
এই বঙ্গদেশে একটি নদীর নাম শীতলক্ষ্যা বাংলার মানচিত্রে অসংখ্য নদ-নদীর ছাপ দেখা যায়, আর সেগুলোর প্রতিটিই যেন এই মাটির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেইসব নদ-নদীর মধ্যে শীতলক্ষ্যা একটি উজ্জ্বল নাম, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক শহর নারায়ণগঞ্জ -এর সঙ্গে যার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে শত শত বছর ধরে। শীতলক্ষ্যার জন্ম ও ইতিহাস শীতলক্ষ্যা নদী একসময়ের প্রবল বেগে প্রবাহিত একটি শাখা নদী, যার উৎস গাজীপুর জেলার টঙ্গী থেকে। এই নদী মূলত ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা। নদীটি টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে মিশেছে। প্রাচীনকালে একে ‘লক্ষ্যা’ নামে ডাকা হতো, পরবর্তীতে এর শান্ত ও নির্মল প্রবাহের কারণে ‘শীতল’ শব্দটি যুক্ত হয়ে দাঁড়ায় ‘শীতলক্ষ্যা’ । মুঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত এই নদী ছিল বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ । বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য সরবরাহ ও সৈন্য চলাচলের জন্য শীতলক্ষ্যা ছিল অপরিহার্য। ইংরেজরা এ নদীকে কেন্দ্র করেই নারায়ণগঞ্জে স্থাপন করেছিল পাট গোডাউন, স্টিমার ঘাট ও রপ্তানি কেন্দ্র। এই নদীর দুই তীরে গড়ে উঠেছিল বিখ্যাত পাটকল, বস্ত্রকল, ছাপাখানা ...

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

ছবি
🌊 আমার শৈশবের বন্ধু – শীতলক্ষ্যা 💙 নদী মানেই শুধু পানি নয়... নদী মানে এক বুক স্মৃতি, একমুঠো স্বপ্ন, একটুকরো শৈশব। স্বাধীনতার পর, বন্দরে আসার শুরুতেই আমার নতুন জীবনের গল্পে শীতলক্ষ্যা ছিল আমার প্রতিদিনের সঙ্গী। সকালবেলা স্কুলে যাওয়ার পথে তার কলকল শব্দ, দুপুরে ঘাটের ছেলেদের খেলাধুলা, আর বিকেলে নৌকার হালকা দুলুনিতে স্বপ্ন দেখা—এসব কিছুই বাঁধা ছিল এই নদীর সঙ্গে। কিন্তু আজ... আমার সেই প্রিয় বন্ধুটা আর আগের মতো নেই। কলকারখানার দূষণ, বেদখল আর লোভের আগ্রাসনে সে যেন দম বন্ধ হয়ে আসা এক নীরব আত্মা। এই নদীর বুকেই আমি ছুঁয়েছিলাম জীবনের প্রথম স্বাধীনতা। আজ সেই নদীর বুক চিড়ে বয়ে চলে বিষ ও বিসর্জনের ধারা। তবুও স্মৃতির ভেতর সে এখনো আছে। আমি আজও শুনতে পাই সেই ঢেউয়ের ডাক। — নিতাই বাবু