পোস্টগুলি

ব্যর্থতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যর্থ জীবন

ছবি
  ব্যর্থ জীবন কেন এই পৃথিবীতে এলাম? কার উদ্দেশ্যে এই আগমন? বেঁচে থাকবার অর্থ কি শুধুই নিঃশ্বাস নেওয়া আর মৃত্যুর অপেক্ষা করা? এত বছর কেটে গেলো— তবুও আজ নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হয়, কি করলাম আমি এই জীবনে? না পেরেছি নিজের অস্তিত্বের অর্থ খুঁজে পেতে, না পেরেছি মানুষের জীবনে আলো জ্বালাতে। জন্মের পর থেকে কেবলই ছুটেছি। কখনো জীবিকার জন্য, কখনো প্রমাণের জন্য, কখনো আপনজনের ভালোবাসা পাবার আকুতি নিয়ে। তবুও যেন কোথাও পৌঁছাতে পারিনি। শুধু কষ্ট জমেছে বুকের খাঁচায়, শুধু ঋণ বেড়েছে জীবনের কাছে। স্মৃতির খাতায় যদি চোখ রাখি, দেখি সেখানে আছে অপূর্ণতা, অসফলতার দীর্ঘ ছায়া, আর আছে কিছু অনুতাপ— যা রাতে নিঃশব্দে কাঁদিয়ে তোলে। অহংকার করেছিলাম এই দেহ নিয়ে— চেহারা, সামান্য বিদ্যা, সামান্য কিছু সম্পদ। ভেবেছিলাম, এটাই বুঝি আমার অর্জন! কিন্তু মৃত্যু এসে বলে দেবে— "তোর কিছুই তোর নয়, সবই সময়ের ধার।" এই দেহ পুড়ে যাবে চিতার আগুনে, রেখে যাবে একমুঠো ছাই আর কিছু শোকবার্তা। কারও চোখে অশ্রু নাও আসতে পারে, কারও মুখে উচ্চ...

ব্যর্থ জীবনের গল্প

ছবি
  গল্প: ব্যর্থ জীবন বিকেলটা ছিল অদ্ভুত রকমের নীরব। সূর্যটা ছিল যেন একটু তাড়াহুড়োয়, নরম আলোটা ঘরের মেঝেতে হেলে পড়ছিল ধীরে ধীরে। সোহেল উদাস চোখে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাড়ির পাশের পুরনো আমগাছটার পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো এসে পড়ছে তার মুখে, আর তাতেই যেন বেদনার রংটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। ৬৩ বছর বয়স— এই জীবনে কী পেল সে? একটা চাকরি ছিল, তাও মাঝখানেই ছেড়ে দিতে হয়েছিল পারিবারিক চাপে। ব্যবসা শুরু করেছিল—হঠাৎ এক বন্ধু বিশ্বাসঘাতকতা করল। স্ত্রীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, আজ সেই স্ত্রী-ই যেন প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয়— সে ব্যর্থ। সোহেল ধীরে ধীরে উঠলো, চুপচাপ আয়নার সামনে দাঁড়ালো। চুলে পাক ধরেছে অনেক আগেই, চোখে কালি, মুখে গাঢ় ক্লান্তি। নিজেকে দেখে তার মনে হলো, “এই আমি কি সেই সোহেল, যে একদিন স্বপ্ন দেখত—জীবনের রং পাল্টে দেবে?” সে জানালার পাশে বসে গেল। পিঠে একটা পুরনো চাদর জড়িয়ে, এক কাপ কড়া লাল চা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলো— “কেন এসেছিলাম এই পৃথিবীতে?” “শুধু ব্যর্থতা দেখার জন্য?” স্মৃতিগুলো একে একে ভিড় করতে লাগল ...

পরিচয়হীন এক সোহেলের দিনলিপি

ছবি
পরিচয়হীন এক সোহেলের দিনলিপি — এক আত্মসমীক্ষার গল্প আজ ২৯শে জুন, বিকেল ৫টা। ঘড়ির কাঁটা নড়ছে, কিন্তু সময় আমার মধ্যে যেন থেমে আছে। জানালার ওপারে শিশিরভেজা ছাদ, একফোঁটা আলোও নেই আমার ঘরে। জানালা দিয়ে ঢুকছে কেবল শীতল হাওয়া আর পুরনো স্মৃতির গন্ধ। আমি সোহেল। তবে নামটা কেউ ডাকে না। প্রয়োজন ফুরালেই সবাই ভুলে যায়। তাই আজকাল নিজেকেও মনে হয় নামহীন এক মানুষ। একটা সময় ছিল, যখন ভাবতাম—জীবনে কিছু একটা হবো। কেউ একজন বলবে, “এই যে সোহেল ভাই, আপনার জন্যই তো এত কিছু সম্ভব হয়েছে।” কিন্তু না। কেউ বলে না। হয়তো বলার কথাও না। আমি নিজেও তো নিজেকে কিছু বানাতে পারিনি। একটা ছোট চাকরি করতাম—তিন রুমের একটা অফিস, ছোট ডেস্ক, ক্যাশবই আর এক রাগী বস। টিকটিকির মতো সারা দিন দেয়ালে ঝুলে থাকতাম, বিকেল হতেই বাসার দিকে হাঁটতাম হেঁটে হেঁটে। তাও সেই চাকরিটা হারালাম। কারণ? সৎ ছিলাম। এরপর দিন গেছে। বাড়িভাড়া, বাজার, ঋণ, স্ত্রীর অনুযোগ আর ছেলের পড়াশোনার খরচ—সবকিছুর নিচে পিষ্ট হতে হতে আমি বুঝলাম—আমি আর মানুষ নই, আমি কেবল একটা খরচের খাতা। বাড়ির কেউ...