পোস্টগুলি

মে ১, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অল্পতে হও খুশি

ছবি
হরি বলে হরি, আমি ক্ষুধায় মরি! দাও কিছু মোরে, পেটখানা ভরি। হরি বলে হায়, বলি যে তোমায়, কর্ম দোষে মরে ক্ষুধার জ্বালায়! যার যার ভাগ্য কর্মতেই বদলায়, কর্মতেই শাস্তি ভোগ কড়ায় গন্ডায়। হরি বলে হরি, বুঝতে না পারি, অভাবে স্বভাব নষ্ট, নিজে কি করি। হরি বলে শুনো, নেইতো অভাব, শুধু অভাব,অভাব, এটা স্বভাব! আছে প্রচুর, তবুও অভাবী ভাব, অল্পতে হইও খুশি, গুছবে অভাব।  হরি বলে হরি, যদি যাই মরি, বলবো না কবু আর ক্ষুধায় মরি। নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০১/০৫/২০২৩ইং। ছবি নেট থেকে সংগ্রহ।

জন্ম ধর্ম কর্ম

ছবি
জন্ম সবার একইভাবে, ধর্ম ভিন্ন-ভিন্ন,  কর্মও ভিন্ন, তবুও কেউ ধন্য কেউ নগন্য। কর্ম যার ভালো, ভাগ্যও হয় ভালো,  যদিও হয় কালো, জ্ঞানে বাড়ায় আলো। মাথার মগজ একইরকম, জ্ঞান হয় ভিন্ন,  কেউ হয় সভ্য মানুষ, কেউ আবার বন্য। জন্ম, কর্ম, ধর্ম, ভিন্ন-ভিন্ন মতান্তর, এভাবেই চললে জগৎ, চলবে যুগযুগান্তর। নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ০১/০৫/২০২৩ইং। ছবি নিজের মতো বানানো।

সভ্য যুগে ত্রাসের রাজত্ব

ছবি
সভ্য যুগের সভ্য মানুষ  স্বার্থের ধান্দায় থাকে বেহুশ, মন্দের কদর ভালোর দোষ ধর্মের বাণীতেও হয়না হুঁশ! ধর্মের বাণী করে শ্রবণ  করে না কেউ দুষ্টের দমন, পুণ্যের আশায় তীর্থে গমন ফলায় না সভ্যতার ফলন। সভ্য যুগে অসভ্যের শক্তি  দুষ্ট লোকদের করে ভক্তি, জ্ঞানী লোকের খণ্ডন যুক্তি  কী করে আর মেলে মুক্তি? সভ্য যুগের দেশ-বিদেশে অসভ্য সভ্যতার সাথে মিশে, অশিক্ষিত থাকে শিক্ষিত বেশে ত্রাসের রাজত্ব দেশে-দেশে।  নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ০১/০৫/২০২৩ইং।  ছবি: নিজের এডিট করা।

চোর চোর

ছবি
কেউ মন চোর, কেউ দিল চোর, কেই টাকা চোর, কেউ পয়সা চোর, কেউ কাঁথা চোর, কেউ বালিশ চোর, কেউ পর্দা চোর, কেউ ব্যাংক চোর, কেউ জামা চোর, কেউ জুতা চোর, কেউ বাঁশ চোর, কেউ হাঁস চোর, কেউ মুরগী চোর, কেউ গরু চোর, কেউ ছাগল চোর, কেউ গাড়ি চোর, কেউ বাড়ি চোর, কেউ রিকশা চোর, কেউ ভ্যান চোর, কেউ সিএনজি চোর, কেউ অটোরিকশা চোর, কেউ বিমান চোর, কেউ নৌকা চোর, কেউ জাহাজ চোর। অন্যকে যে বলে চোর, সে-ও চোর! কেউ অস্ত্র চোর, কেউ বস্ত্র চোর, কেউ সোনা চোর, কেউ রুপা চোর, কেউ মাছ চোর, কেউ সবজি চোর, কেউ লাউ চোর, কেউ কুমড়া চোর, কেউ আলু চোর, কেউ বালু চোর, কেউ ত্রাণসামগ্রী চোর, কেউ ত্রাণ চোর, কেউ রিলিফ চোর, কেউ সাহায্যের টাকা চোর, কেউ বড় চোর, কেউ ছোট চোর, কেউ তেল চোর, কেউ বেল চোর, কেউ ভাত চোর, কেউ জাত চোর, কেউ ছিঁচকে চোর, কেউ মাপে চোর, কেউ ব্যালট চোর, কেউ ভোট চোর। অন্যকে যে বলে চোর, সে-ও চোর! কেউ মোবাইল চোর, কেউ ল্যাপটপ চোর, কেউ ঘড়ি চোর, কেউ বড়ি চোর, কেউ মাটি চোর, কেউ বাটি চোর, কেউ রড চোর, কেউ সিমেন্ট চোর, কেউ মেয়ে চোর, কেউ ছেলে চোর, কেউ বউ চোর, কেউ শালি চোর, কেউ প্রেমিকা চোর, কেউ নায়ি...

হিন্দু বিয়েতে সাত পাক ঘোরার মাহাত্ম্য

ছবি
                    ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ। বিবাহের মূল মন্ত্র যা স্বামী-স্ত্রীরা প্রতিজ্ঞা করে থাকে: “যদেতৎ হৃদয়ং তব তদস্তু হৃদয়ং মম। যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব।।” — অর্থাৎ: তোমার এই হৃদয় আমার হোক, আমার এই হৃদয় তোমার হোক। --- সাত পাক ঘোরার মাহাত্ম্য: হিন্দু বিয়েতে সাত পাক ঘোরার সময়ে অনেক মন্ত্র পড়া হয়। বর-কনে পুরোহিত মহাশয়ের বলে দেওয়া মন্ত্র অনেক সময়েই না বুঝেই বলতে থাকেন। কিন্তু প্রতিটি মন্ত্রের একটি করে অর্থ রয়েছে, যা বিয়ের পরের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সাত পাকের মাহাত্ম্য! --- প্রথম প্রতিশ্রুতি: পবিত্র অগ্নির সামনে দাঁড়িয়ে বর কনেকে কথা দেন যে, বিয়ের দিন থেকে কনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তাঁর। অগ্নি এবং অন্যান্য দেবদেবীর আশীর্বাদে যাতে কোনওদিনই নবদম্পতির অন্ন-বস্ত্রের অভাব না হয়, সেই দায়িত্ব বর নেন। উত্তরে কনে প্রতিজ্ঞা করেন যে, সংসারের সুখের জন্য খুঁটিনাটি বিষয়ও তিনি নজরে রাখবেন। অর্থাৎ প্রথমে বর তাঁর স্ত্রী ও ভবিষ্যতের সন্তানদের যত্ন নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে কনেও ...

কামরূপ কামাখ্যা কি সত্যি যাদুর দেশ?

ছবি
    আসাম রাজ্যের কামরূপ জেলায় কামাখ্যা মন্দির। আমাদের দেশে ওঝা, বৈদ্য, কবিরাজ, ফকির, সাধু, সন্ন্যাসীর অভাব নেই। গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, শহর-বন্দর, রাস্তাঘাট, ফুটপাত—সবখানেই তাদের আনাগোনা দেখা যায়। তারা প্রায়শই “কামরূপ কামাখ্যা”র দোহাই দিয়ে মানুষের হাতে তাবিজ-কবচ ধরিয়ে দিয়ে ইচ্ছেমতো টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের মুখে “কামরূপ কামাখ্যা”র নাম শুনে সাধারণ মানুষ একপ্রকার অন্ধবিশ্বাসে ডুবে থাকে। এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ দেশেই এই প্রবণতা দেখা যায়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও মিয়ানমার—সব দেশেই মানুষ প্রচণ্ডভাবে ওঝা, ফকির, বৈদ্য, সাধু-সন্ন্যাসীদের ওপর নির্ভরশীল। নিজেদের ঘরের মানুষকে তারা বিশ্বাস করতে চায় না, অথচ এক ভণ্ড ফকিরের কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে। একদিকে যেমন দয়ালু, তেমনি কৃপণও—নিজের ভাই না খেয়ে থাকলেও তাকে একটাকা দেবে না, অথচ এক ভণ্ড ওঝাকে হাজার টাকা দান করে দেয়! আসলে আমাদের অন্ধবিশ্বাসের রীতিনীতি এমনই। অনেকেই জানে না "কামরূপ" বা "কামাখ্যা" আসলে কী, কোথায় এবং এর তাৎপর্য কী। এই অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়েই কথিত ওঝা, ফকির, বৈদ্যরা "কামরূপ কামাখ্যা...