পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পার্বতীর সন্তান: গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী — প্রতীকী ও আলৌকিক ব্যাখ্যা

ছবি
  পার্বতীর সন্তান: গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী — প্রতীকী ও আলৌকিক ব্যাখ্যা পার্বতীর সন্তান: গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী — প্রতীকী ও আলৌকিক ব্যাখ্যা বাংলার লোকবিশ্বাস ও পুরাণ অনুযায়ী পার্বতী ও তাঁর সন্তানদের অলৌকিক ও প্রতীকী অর্থ, দুর্গাপূজা ও সাংস্কৃতিক চিত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। "পার্বতীর সন্তান বা সঙ্গীরা কেবল শারীরিক সন্তান নয়, বরং দেবতা ও প্রতীকী রূপে সমাজের বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক চেতনার প্রকাশ।" ১. গণেশ — বুদ্ধি ও জ্ঞানরূপী অলৌকিক সন্তান গণেশকে সাধারণ সন্তান হিসেবে দেখা যায় না। শাস্ত্র ও লোককথা অনুযায়ী পার্বতী নিজেই তাঁকে কাদামাটির মূর্তিতে তৈরি করেছিলেন, পরে শিব তাঁকে জীবিত করেছিলেন। তাই গণেশের জন্ম **প্রাকৃতিক সন্তান নয়**, বরং **অলৌকিক সৃষ্টি**। তিনি বুদ্ধি, শিক্ষা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার দেবতা হিসেবে পূজিত হন। ২. কার্তিক (কর্ত্তিকেয়) — শক্তি ও বীরত্বের প্রতীক কার্তিক বা মন্তিকেয় শিব ও পার্বতীর যৌগিক শক্তি থেকে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি মূলত যুদ্ধ, সাহস ও যৌবনের প্রতীক। বাংলার লোককথায় তিনি পার্বতীর “সন্...

কৈলাশ — বাপের বাড়ি ফেরা ও দেবীর বাহনের সাংস্কৃতিক অর্থ

ছবি
  কৈলাশ — বাপের বাড়ি ফেরা ও দেবীর বাহনের সাংস্কৃতিক অর্থ কৈলাশ — বাপের বাড়ি ফেরা ও দেবীর বাহনের সাংস্কৃতিক অর্থ শরৎকালে দুর্গাপূজা কেবল আরাধনা নয়; এটি কন্যার বাপের বাড়ি ফেরা, পারিবারিক আনন্দ ও প্রকৃতি-সমাজের মঙ্গল–অমঙ্গলের প্রতীক। "দেবীকে কেবল দেবী নয়—মেয়ে, কন্যা, বোন হিসেবে দেখা হয়। কৈলাশ থেকে বাপের বাড়ি ফেরা এ উৎসবকে মানবিক ও সামাজিক বানায়।" কথার সরল ব্যাখ্যা কৈলাশ হলো শিব ও পার্বতীর নিবাস। বাপের বাড়ি এসেছে পূর্ববর্তী মানে দুর্গা বছরে একবার বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁর সঙ্গে সন্তানরা—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী—এসে পরিবারকে পূর্ণতা দেয়। দেবীর বাহন এবং অর্থ 🚩 নৌকা জলের বাহন। শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। সময়মতো বৃষ্টি ও ভালো ফসলের সংকেত। 🐘 হাতি (হস্তি) শক্তি ও উর্বরতার প্রতীক। সুখ-সমৃদ্ধি এবং সামাজিক শান্তি আনে। 🎐 দোলা অনিশ্চয়তা ও পরিবর্তনের চিহ্ন। রোগ-ব্যাধি বা বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। 🐎 ঘোড়া যুদ্ধ ও অস্থিরতার প্রতীক। সংঘর্ষ বা রক্তপাতের আশঙ্কা বোঝায়। সাংস্কৃতিক তাৎপর্...

সৃষ্টির সেরা মানুষ—তবু কেন মানুষই সময় সময় ‘অমানুষ’ হয়ে যায়?

মানুষ জ্ঞান ও বিবেকের জন্য শ্রেষ্ঠ, তবু লোভ, ভয়, হিংসা ও ক্ষমতার নেশায় অমানবিক হয়ে যায়। কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশ্লেষণ।

ছবি
  সৃষ্টির সেরা মানুষ—তবু কেন মানুষই সময় সময় ‘অমানুষ’ হয়ে যায়? “সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সেই মানুষই সময় সময় অমানুষ হয়ে যায়”—এই সহজ বাক্যেই মানুষের দ্বৈত সত্তার অনুবাদ। মানুষ একই সঙ্গে করুণা ও ক্রোধ, নির্মাণ ও ধ্বংস, আলো ও অন্ধকারের বাহক। কোন দিকটি সক্রিয় হবে—তা নির্ধারণ করে তার চেতনা, শিক্ষা, পরিবেশ ও অভ্যাস। ম নুষকে ‘সেরা’ বলা হয় তার জ্ঞান, বিবেক, কল্পনা ও সহযোগিতার ক্ষমতার জন্য। কিন্তু ইতিহাস, সমাজ, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনও সাক্ষ্য দেয়—এই শ্রেষ্ঠত্বের ভিতেই লুকিয়ে আছে পতনের সম্ভাবনা। যখন লোভ নৈতিকতাকে হারায়, যখন ভয় যুক্তিকে গ্রাস করে, কিংবা যখন গোষ্ঠী-প্রীতি মানবতাকে আড়াল করে—তখনই মানুষ ‘অমানুষ’ হয়ে ওঠে। এই রূপান্তর হঠাৎ ঘটে না; ধীরে ধীরে মানসিক, সামাজিক ও কাঠামোগত কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেটি তৈরি হয়। কেন মানুষ ‘সেরা’ বিবেক ও নৈতিক বোধ—ভাল-মন্দ বিচার করার সক্ষমতা সহানুভূতি—নিজের বাইরে অন্যের অনুভূতি বোঝার ক্ষমতা ভাষা ও কল্পনা—জ্ঞান...