পোস্টগুলি

জুলাই ২০, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বরবর্ণের অক্ষরগুলোর কথোপকথন

ছবি
  🅰️ স্বরবর্ণের অক্ষরগুলোর কথোপকথন অ বলে শোন রে তোরা আমি অসীম , আমিই সেরা! এ নিয়ে তোরা কে করবি আমার সাথে জেরা ? আ বলে আমি আল্লাহর ভক্ত , সেটা তুমি জানো? আরও হলাম আকাশকুসুম , এবার আমায় গুরু মানো! ই বলে আমি কি দেখাতে পারি আমার ইচ্ছাশক্তি ? আমি থাকি ইশারায় , তাই সবাই আমায় করে ভক্তি! ঈ বলে দেখ দেখি! আমি আছি স্বয়ং ঈশ্বরের কৃপায় ! আমার ভক্ত ঈমানদার , তবুও চিনছিস না আমায়? উ বলে আমি আছি সবার উপরে সকল উৎসবে , করো না তুচ্ছ ! একটু খেয়াল করে ভেবে দেখ সবে। ঊ বলে শুনলাম সবার কথা, শুনলাম সব গুণকীর্তন , ঊষালগ্নে আমায় দেখে শুরু করে হরিনাম সংকীর্তন । ঋ বলে শোন সবাই, আমি তোদের ঋণ দিয়ে চালাই, ঋষি , কৃষি যত আছে আমাকে ঋ নামে চিনে সবাই। এ বলে এই যা! এঁরা আমায় কেন দিয়েছে রে বাদ ? এবাদত ছাড়া কি গ্রহণ করতে পেরেছে স্বর্গের স্বাদ ? ঐ বলে চুপ থাক তোরা, ধেয়ে আসছে ঐরাবত ! ক্ষেপে গেলে বিপদ, যতই করিছ তোরা এবাদত ! ও বলে হায়রে কপাল! ওলকচু খাইছনি কোনকালে? ওলকচুতে গলা ধরে , মনে থাকে ইহকাল পরকালে ! ঔ বলে ঘাবড়াবে না! আমি ...

চিঠির দিনগুলি ও সেই ডাকপিয়ন

ছবি
  চিঠির দিনগুলি ও সেই ডাকপিয়ন চিঠির দিনগুলি ও সেই ডাকপিয়ন ✍️ নিতাই বাবু পুরনো সেই দিনের মতোন, একটা বাইসাইকেল, একটা খাকি জামা, ডান কাঁধে চিঠির বস্তা… আর দু’চোখে বহু খবরের ছায়া। সে আসতো রোদে-বৃষ্টিতে, ধানের মাঠ পেরিয়ে, মেঠো পথ ধরে। মা বলতো— “ডাকপিয়ন আসছে, দেখি চিঠি আছে কিনা!” আমরা দৌড়ে যেতাম উঠোনের ধারে। প্রেমিক লিখতো প্রেমিকার নাম, সন্তান পাঠাতো মায়ের খোঁজে কল্যাণবার্তা। ডাকপিয়নের ব্যাগে থাকতো কেউ কাঁদবে, আবার কেউ হাসবে— এমন শত শত কথা। ওর পায়ে ছিল না থেমে থাকার অভ্যাস, মেঘলা দুপুরেও সে থামেনি কখনো। কোনো খবর সুখের, কোনোটা মৃত্যুর, চোখের ভাষা বলতো সব বুঝতো সে– পাথরের মতো গম্ভীর, নরমও। আজ আর চিঠি আসে না, এসএমএস, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপের ভিড়ে হারিয়ে গেছে সে দিন। তবু মন চায়, সেই ডাকপিয়নের ঘন্টাধ্বনি শোনি একবার, যেখানে শব্দ নয়, হৃদয়ের ছোঁয়াই ছিল সেবার্তী চিন। নিতাই বাবু ...