বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন

 

গোপালগঞ্জ সদরের একটি শান্ত ও সবুজ গ্রাম—বৌলতলি করপাড়া। এই গ্রামের পথ, মাঠ, পুকুর, আর মানুষের মুখে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি ও অনুভব। এখানে কাটানো শৈশব কিংবা দেখা প্রথম ভালোবাসা, স্কুলমাঠে খেলাধুলা কিংবা বিকেলের শিষ বাজানো—সবকিছু একদিন ফিরে আসে হৃদয়ের পাতায়।

এই কবিতাটি সেই ফেলে আসা দিনগুলোর এক স্মৃতিচারণ, যেখানে গ্রামবাংলার নিসর্গ, মানুষের আন্তরিকতা এবং একটি কিশোরীর স্বপ্ন একত্রে গাঁথা হয়েছে। পাঠকদের জন্য এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, বরং হৃদয়ের এক টুকরো ফিরে দেখা গ্রামজীবন।

বৌলতলি করপাড়া গ্রামের স্মৃতিচিহ্ন

বৌলতলি করপাড়া গ্রাম

মাঠে পুকুর পাড়ে, সাঁঝের কুয়াশায়,
করপাড়ার ঘাটে বাজে স্মৃতির বাঁশি,
তাল-গাছ, শাল-গাছ, বাতাসের ভাঁজে—
বৌলতলি গ্রামে হৃদয় আজও হাঁসি।

চালার নিচে আলো, খড়ের ঘ্রাণ মাখা,
কিশোরীর হাঁসিতে কেঁপে ওঠে মন,
মেঠো পথ ডাকে, ফেরার অনুরাগে,
অঞ্জলি বিশ্বাস সেই সোনালি লক্ষ্মীজন।

স্কুলব্যাগ কাঁধে, চোখে স্বপ্ন ঝিকিমিকি,
দশম শ্রেণির দিন লেখা ছেঁড়া পাতায়,
যে গাছের ছায়ায় সে গল্প বলত,
আজো দাঁড়িয়ে আছে সেই ডালপালা পাতায়।

বৌলতলি করপাড়া, স্মৃতির আলয়,
নাম লিখে রাখি হৃদয়ের দেয়ালে,
একদিন হারিয়ে গেলে এ নামগুলোই
রয়ে যাবে ছড়িয়ে কবিতার ছায়ায়।

— নিতাই বাবু

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

একটি মাঠ; হাজারো প্রাণের স্মৃতি

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার