স্মৃতির পাতায় অঞ্জলি বিশ্বাস

স্মৃতির পাতায় অঞ্জলি বিশ্বাস

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই ফিকে হয়ে যায়, কিন্তু কিছু মুখ, কিছু হাসি, কিছু স্বপ্ন থাকে মনে গেঁথে—আজীবন। বৌলতলি বাজারের অঞ্জলি বিশ্বাস তেমনই এক মুখ। সে শুধু একটি মেয়েই নয়, সে এক সম্ভাবনার প্রতীক, এক মাটির কাছাকাছি থাকা ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। এই কবিতায় অঞ্জলিকে স্মরণ করা হয়েছে একজন স্বপ্নবান কিশোরী হিসেবে—যার হাঁসিতে, কথায়, আর চলাফেরায় মিশে থাকে গ্রামের সহজ-সরল জীবনের সৌন্দর্য। এই কবিতাটি তার জন্যই—আমাদের স্মৃতির পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকুক সেই মুখ।

              অঞ্জলি বিশ্বাসের জলরঙ প্রতিকৃতি
একদিন অনেক বছর পরে, যখন দিনের আলো কিছুটা কমে আসবে, যখন আমরা অতীতের পাতাগুলো উল্টে দেখব— তখন এক কোমল মুখ মনে পড়বে বারবার। সে মুখে ছিল মায়ার ছায়া, চোখে ছিল বিস্ময়ের দীপ্তি। সে মুখ—অঞ্জলি বিশ্বাস। বৌলতলি বাজারের সরু গলিতে যেখানে দুধওয়ালার সাইকেল সকালে ঘণ্টা বাজাত, সেই পথে হেঁটে স্কুলে যেত অঞ্জলি। পিঠে বইয়ের ভার, মনে স্বপ্নের দিগন্ত। সে ছিল পরিবারের প্রিয় মুখ, আর ভবিষ্যতের জন্য এক নীরব প্রতিজ্ঞা। সে হাসলে চারদিক জেগে উঠত, সেই হাসি ছিল নিখাদ, নির্ভেজাল, যেমন সকালবেলার শিশির ভেজা ধানক্ষেত। আমরা যারা তাকে দেখেছি, তারা জানি— সে শুধু একজন ছাত্রী ছিল না, সে ছিল আমাদের আশার প্রতীক, একটি কিশোরী হৃদয়ের মহাকাব্য। আজ সে যেখানে থাকুক, যেভাবেই থাকুক— আমাদের স্মৃতির পাতায় অঞ্জলি বিশ্বাস থাকবে চিরকাল, একটি নাম, একটি মুখ, একটি আলো।
— নিতাই বাবু

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

একটি মাঠ; হাজারো প্রাণের স্মৃতি

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার