আমরা কি সত্যিই বিজ্ঞানমনস্ক? – সনাতনী হিন্দুধর্মের দৃষ্টিকোণ
আমরা কি সত্যিই বিজ্ঞানমনস্ক? - সনাতনী হিন্দুধর্মের দৃষ্টিকোণ
প্রকাশক: সনাতন সন্দেশ | সোমবার ১৮ আগস্ট ২০২৫
পৃথিবীতে ধর্ম একটাই আর সেটি হল সনাতনী হিন্দু ধর্ম, বাকিগুলো মানুষ প্রচারিত বিশেষ উপাসনা পদ্ধতি বা ধর্মমত। আমরা অনেক সময়ই এই ধর্ম আর 'ধর্মমত' শব্দদুটি নিয়ে বিভ্রান্ত হই। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বিশেষ মানুষকে 'পূজা' করা হয় বা বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা মূল হিন্দু ধর্মে নেই। হিন্দু ধর্মে গুরুদেবের বিষয়েও বলা হয়েছে, শাস্ত্রে তাঁকে 'শিব জ্ঞানে' মেনে চলতে।
সারা পৃথিবীতে মানুষ যখন সভ্য হতে শিখল, গুহা ছেড়ে বাড়িঘর বানিয়ে বাস করতে শুরু করল বা গাছের ছাল-পাতা দিয়ে কাপড় পরতে শিখল, তার বহু আগেই সনাতনী মানুষ বর্ণলিপি তৈরি করল এবং ধর্মগ্রন্থ বেদ রচনা করল। তাই সনাতনী হিন্দুধর্মের অনুসরণ সকল ধর্মমতেই লক্ষ্য করা যায়।
সনাতনী হিন্দুধর্মের বিজ্ঞানসম্মত কিছু উদাহরণ:
- হিন্দু ধর্ম যখন বলে সৃষ্টি শুরু হয়েছিল জলে, তখন তা আমরা বিশ্বাস করি না। অথচ বিজ্ঞানও বলে, পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রাণ সৃষ্টিও জলে হয়েছিল।
- হিন্দু ধর্ম যখন মৎস → কূর্ম → বরাহ → নৃসিংহের কাহিনী বলে, বিজ্ঞানও বলে, জীবনের বিবর্তন হয়েছে: জলজ প্রাণী → উভচর → স্থলজ → চতুষ্পদ → তৃণভোজী → মাংশাসী → দ্বিপদী প্রাণী।
- শিবের কপালে তৃতীয় নয়ন আছে—মানুষের মস্তিষ্কে পিনিয়াল গ্রন্থি যা ইনটিউশনের সহায়ক।
- গণেশের কাটা মাথা জোড়া দেওয়ার কাহিনী → বিজ্ঞানও অর্গ্যান ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও সার্জারি বলে।
- ব্রহ্মাস্ত্র, পাশুপাতাস্ত্রের ধ্বংসাত্মক অস্ত্র → বিজ্ঞানও নিউক্লিয়ার অস্ত্রের কথা বলে।
আমাদের সমাজ এখনও অনেক ক্ষেত্রে প্রাচীন কুসংস্কারে সীমাবদ্ধ। তাই 'প্রগতিশীল' বলে যারা নিজেকে উপস্থাপন করে, তাদের জন্য কিছু তথ্য:
ভারতের বিজ্ঞান ও জ্ঞান অর্জনের পথপ্রদর্শকরা:
- জ্যোতির্বিদ্যার জনক: আর্যভট্ট, অবদান: আর্যভট্টিয়াম
- জ্যোতিষের জনক: বরাহমিহির, অবদান: পঞ্চসিদ্ধান্তিকা, বৃহৎসংহিতা
- অস্ত্রোপচারের জনক: সুশ্রুত, অবদান: সুশ্রুতসংহিতা
- যোগের জনক: পতঞ্জলি, অবদান: যোগসুত্র
- অর্থনীতির জনক: চাণক্য, অবদান: অর্থশাস্ত্র
- কূটনীতির / রাজনীতির জনক: চাণক্য, অবদান: চাণক্যনীতি
- পরমাণু তত্ত্বের জনক: ঋষি কনাদ, অবদান: পদার্থবিদ্যা
- চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক: ধন্বন্তরি, অবদান: আয়ুর্বেদ
- ব্যাকরণের পিতা: পানিনি, অবদান: অষ্টাধ্যায়ী
- কাব্যর জনক (সাহিত্য): কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন (বেদব্যাস), অবদান: মহাভারত
- নাট্য রচনার জনক: কালিদাস, অবদান: মেঘধূত, রঘুবংশম, কুমারসম্ভব
- গণিতের পিতা: দ্বিতীয় ভাস্কর, অবদান: লীলাবতী
- নীতি গল্প লেখার জনক: বিষ্ণু শর্মা, অবদান: পঞ্চতন্ত্র
- কামশাস্ত্র শিক্ষার জনক: বাৎসায়ণ, অবদান: কামসূত্র
- আলকেমির জনক: নাগার্জুন, রচনা: প্রজ্ঞাপারমিতা সূত্র
উপরের তালিকাটি কেবল একটি হিমশৈলের চূড়া। আসুন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা যা করেছে তা বিশ্বকে ভাগ করে নেওয়ার এবং শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে গর্ব বোধ করি। তাদের বিনীত "নমস্তে" নিয়ে বিশ্বমঞ্চে মাথা নত করাই ছিল। গর্ব করে বলুন — 'আমি হিন্দু'। মনে রাখুন, 'ধর্মনিরপেক্ষ' বা 'সর্বধর্মসমন্বয়' নামে কিছু বাস্তব নেই।
এই পোস্টটি সহযোগিতায় ও তথ্য-সহ তৈরি করা হয়েছে:
ChatGPT by OpenAI
তথ্য ও নির্দেশনা সাধারণ ধর্মীয় শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় রীতিনীতি ও তথ্য গ্রহনেরক্ষেত্রে যথাযথ ধর্মীয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
নিতাই বাবু
পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে। 🌐 ব্লগ: নিতাই বাবু ব্লগ | জীবনের ঘটনা | চ্যাটজিপিটি ভাবনা |
ধর্ম বিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে। হিন্দু ধর্ম বহু প্রাচীন। সেটির ধারক বাহকগণ ধারাবাহিকতা বহন করেছে। অনেক প্রথা বিজ্ঞান ভিত্তিক নয়। যার ফলে আইন করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
উত্তরমুছুন