মন্দিরে দান বনাম মানবসেবা

 

🕉️ মন্দিরে দান বনাম মানবসেবা: ঈশ্বর কি সত্যিই কিছু চান?

মন্দিরের সামনে কত গরিব মানুষ না খেয়ে পড়ে থাকে, অথচ ওই মন্দিরেই দানবাক্স উপচে পড়ে টাকায়, সোনায়—এই দৃশ্য আমাদের সমাজে নতুন নয়। প্রশ্ন আসে: ভক্তরা এই দান যদি পাশের ক্ষুধার্ত মানুষদের উপকারে না আনেন, তবে সেটা কী সত্যিই পূণ্য?

🧭 দেবতার দরকার কী?

ভক্তরা বলেন: “আমরা ঈশ্বরকে ভালোবেসে দান করি।”
কিন্তু ভাবুন—ঈশ্বর কি কখনো বলেছেন, "আমাকে সোনা দাও, রূপা দাও, গম্বুজে টাইলস লাগাও?"
নাহ্! ঈশ্বরের তো কোনো কিছুতেই অভাব নেই। অভাব আমাদের সমাজে—আমাদের চারপাশে।

🤲 দানের প্রকৃত অর্থ কী?

প্রকৃত ধর্ম শিক্ষা বলে, “পরার্থে জীবনই ধর্ম।”
গীতা বলে: যে ব্যক্তি সকল প্রাণীতে ঈশ্বরকে দেখতে পায়, সেই প্রকৃত জ্ঞানী।

তাহলে ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে হলে কেন আমরা ক্ষুধার্ত শিশুর পাশে দাঁড়াই না?
কেন এত সোনা, টাকা, ফুল আর সুগন্ধি মন্দিরে, আর ভিক্ষুকের থালায় নীরবতা?

📿 কিছু মন্দির সমাজসেবায় যুক্ত, তবে?

হ্যাঁ, কিছু মন্দির:

  • অন্নদান প্রকল্প চালায়
  • ফ্রি ওষুধ ও স্বাস্থ্য সেবা দেয়
  • শিক্ষা সহায়তা ও বিয়ের অনুদান দেয়
তবে বেশিরভাগ মন্দিরেই সেবার চেয়ে আড়ম্বর বেশি, ফলে দানের প্রকৃত ফল গরিবদের কাছে পৌঁছায় না।

🛑 ধর্ম নয়, দায়বদ্ধতা জরুরি

আজ আমাদের প্রয়োজন—জাগ্রত বিবেক। ঈশ্বরকে ভালোবাসলে তা প্রমাণ হোক মানবসেবায়।
কারণ, ঈশ্বর নেই মূর্তিতে—তিনি রয়েছেন ক্ষুধার্ত শিশুর চোখে, বৃদ্ধার ফাটল ধরা থালায়।


🙏 দেবতাকে খুশি করতে হলে, মানুষকে ভালোবাসুন।
⛅ ধর্ম থাক, তবে হৃদয়ে থাকুক মানবতা।

নিতাই বাবু

নিতাই বাবু

পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে।
মূলত সমাজ, সংস্কৃতি, স্মৃতিচারণা ও ছন্দনিবদ্ধ রচনায় আগ্রহী।
ভাষার শুদ্ধচর্চা ও সাহিত্যসমৃদ্ধ বাংলার প্রতি অগাধ ভালোবাসা।

🌐 ব্লগ: নিতাই বাবু ব্লগ | জীবনের ঘটনা | চ্যাটজিপিটি ভাবনা

পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

Facebook Facebook Twitter Twitter WhatsApp WhatsApp Email Email

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

nitaibabunitaibabu@gmail.com

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বর ভাবনা

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার