হৃদয়ে ধর্ম— গদ্য কবিতা (পর্ব-৩)

 

📘 গদ্য কবিতা: হৃদয়ের ধর্ম

আমার বিশ্বাস, ঈশ্বর কারো একার নয়।
তিনি সেই শিশুটিরও, যে ভাতের বদলে বিকেলে বাতাস খায়,
আবার তারও, যে দামি আসনে বসে তাঁকে ডাকে ঘন্টার শব্দে।

তোমার প্রার্থনা হয়তো আয়তুনের সুরে,
আমার হয় মৌন ধ্যানের গভীর নিঃশ্বাসে—
কিন্তু তবু কি হৃদয়ের অনুরণন এক নয়?

আমি দেখেছি, ঈশ্বরের চোখ ভিজে যায়
যখন কেউ ক্ষুধার্ত পাখিটিকে মুঠো চাল ছুঁড়ে দেয়।
আমি শুনেছি, তাঁর নিঃশব্দ প্রশ্রয়
এক মায়ের শীতার্ত সন্তানের গায়ে চাদর জড়িয়ে দেয়।

তিনি সেখানে নেই—যেখানে গর্জে ওঠে ঘৃণার স্লোগান।
তিনি সেখানে আছেন—যেখানে একজন মানুষ
আরেকজন মানুষের চোখে "মানুষ" হয়ে ওঠে।

ধর্ম যদি মানুষকে মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়,
তবে সে ধর্ম নয়—
বরং একটি ভুল বোঝা নিয়মের কারাগার।

আমার ধর্ম হৃদয়ের,
যেখানে বিশ্বাস নেই দেয়ালে, আছে ভালোবাসায়,
নেই ভয়, আছে সম্মান।

যেখানে চোখে জল
সেখানে ঈশ্বরের আসন।
আর যেখানে ভালোবাসা
সেখানেই সত্যিকারের ধর্ম

নিতাই বাবু

নিতাই বাবু

পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে।
মূলত সমাজ, সংস্কৃতি, স্মৃতিচারণা ও ছন্দনিবদ্ধ রচনায় আগ্রহী।
ভাষার শুদ্ধচর্চা ও সাহিত্যসমৃদ্ধ বাংলার প্রতি অগাধ ভালোবাসা।

🌐 ব্লগ: নিতাই বাবু ব্লগ | জীবনের ঘটনা | চ্যাটজিপিটি ভাবনা

পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

Facebook Facebook Twitter Twitter WhatsApp WhatsApp Email Email
)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বর ভাবনা

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার