আসলে ভবে যেতে হবে

 

আসলে ভবে যেতে হবে

পাঠিয়েছে ভবে আমায় একাধিক শর্ত দিয়ে,
তারমধ্যে আছে তিনটি জন্ম মৃত্যু আর বিয়ে।
ভবে এসে রইলাম মজে ভবের মায়াজালে,
হেলায় হেলায় সময় শেষ জনম গেলো বিফলে।

আসলে ভবে যেতে হবে ভবের মায়া ছেড়ে,
সেই চিন্তার ধার ধারি না চলি হেলা করে।
এই দুনিয়ায় যা আছে সবকিছুই অনিশ্চিত,
শাস্ত্রে আছে লেখা শুধু জীবের মৃত্যুই নিশ্চিত।

তবুও নেই চিন্তা আমার নিজের ধান্ধায় চলি,
আমিই সেরা আমিই সব লোকসমাজে বলি।
যতই বলি আমার আমার আমার নেই কিছু,
যতই করি বাহাদুরি যম আছে আমার পিছু।

হই-না যতো মস্তবড় বাহাদুর রাজা জমিদার,
যেতে হবে সবই ছেড়ে এই মায়ার ভবসংসার।
পড়ে রবে ধনসম্পদ টাকাকড়ি বিলাসবহুল বাড়ি,
সবই থাকবে ঠিকঠাক শুধু আমিই দিবো পাড়ি।

থাকবে না কিছুই দেহের শক্তি জারিজুরি,
মৃত্যুতেই হবে শেষ যতো শক্তির বাহাদুরি।
মৃত্যুর দিনক্ষণ লেখা আছে যমদূতের কাছে,
পালাইবার পথ নাই যে যম থাকবে পাছে।

যেখানেই থাকি আমি যমে খুঁজে বের করবে,
ঠিক সময়মত যমদূত আমার; সামনে দাঁড়াবে।
যমদূতের কাছে নেই টাকা পয়সার কারবার,
মৃত্যুর স্বাদ করতে হবে বরণ জগতের সবার।

কোথায় থাকবে খাট পালঙ্ক বিলাসবহুল গাড়ি
শেষ ঠিকানা হবে সাড়ে তিন হাত একটা বাড়ি।
জীবন থাকতে করি না চিন্তা মরতে একদিন হবে,
আসলে ভবে যেতে হবে কেউ না চিরদিন রবে।


নিতাই বাবু

✍️ নিতাই বাবু

পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক — ২০১৭
নারায়ণগঞ্জ ও বাংলার মানুষের হৃদয়স্পর্শী কবি ও লেখক।


📚 আরও পড়ুন:
👉 নিতাই বাবু ব্লগ | 👉 জীবনের ঘটনা | 👉 চ্যাটজিপিটি ভাবনা

👇 শেয়ার করুন 👇

🔵 Facebook | 🐦 Twitter | 🟢 WhatsApp | ✉️ Email

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঈশ্বর ভাবনা

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার