স্মৃতির আল্পনা

কোথায় যে হারিয়ে গেলো
সেই সোনালী দিন,
ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে
কেটে যেতো সারাদিন। 

বিকালে আমরা জড়ো হতাম
ছোট একটা মাঠে,
খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম 
ঐ নদীর ঘাটে।

সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম
ঐ খরস্রোতা নদী,
সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে
কুমিরে ধরে যদি!

কারোর হাতে যদি দেখতাম
সেকালের ক্যামি ঘড়ি,
অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম
ফিরতাম না বাড়ি!

যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ
বাজাচ্ছে এফএম রেডিও,
সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান
ক্ষুধায় মরতাম যদিও!

বাবার সাথে বাজারে গিয়ে
ধরতাম কতো বায়না,
বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট 
কেন কিনে দেয়না?

অভাবী বাবা বিরক্তি মনে
দিতেন পকেটে হাত,
দিতেন মাত্র দশ পয়সা 
তাতেই হতো বাজিমাত!

পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট 
পাচ পয়সার তক্তি,
খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম 
করতাম বাবাকে ভক্তি!

আর কি আসবে ফিরে
সেই সোনালী দিনগুলো,
জানি আসবেনা ফিরে সেদিন 
তবুও আঁকি স্মৃতিগুলো!

নিতাই বাবু:
নাগরিক সাংবাদিক,
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
০২/০৫/২০২৩ইং।
ছবি নিজের তোলা। এলাকার বাদশা মিয়া।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

একটি মাঠ; হাজারো প্রাণের স্মৃতি

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার