পোস্টগুলি

যেই গল্পের শেষ নেই

ছবি
যেই গল্পের শেষ নেই - কবিতা ✨ যেই গল্পের শেষ নেই ✨ ✍️ লেখক: নিতাই বাবু 🪶 ভূমিকা জীবনে কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলোর শুরু কোথা থেকে তা মনে থাকে না, আবার শেষ কবে হবে—সেটাও কেউ জানে না। সেই গল্পগুলো হয়তো কারো চোখে জল হয়ে ঝরে, কারো ঠোঁটের কোণে হাসি হয়ে ফুটে ওঠে। এই কবিতাটি ঠিক তেমন এক অন্তহীন অনুভবের গল্প , যেটা কোনো এক নীরব বিকেলে শুরু হয়, আর চলে যায় সময়ের সীমানার বাইরেও। এই কবিতা শুধু শব্দের নয়—এটা ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আর মানুষের মধ্যেকার এক নীরব সংলাপ। 🌠 মূল কবিতা 🌅 একটা গল্প শুরু হয়েছিলো একটি নিঃশব্দ সন্ধ্যায়... দিগন্তে তখন শেষ রোদের হালকা আঁচ, পাখিরা ফিরছিলো আপন গৃহে 🕊️। 📖 সেই গল্পের — না ছিলো সূচনা, না ছিলো পরিণতি, শুধু কিছু অনুভূতি, শব্দহীন ভাষা… যা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়। ❤️ গল্পটা কেমন ছিলো? তোমার-আমার মাঝখানে একটা অলিখিত কবিতা, যেখানে প্রত্যেকটা নিঃশ্বাস একটি করে বাক্য হয়ে জন্ম নেয়। 🌊 প্রতিদিন নতুন একটি পৃষ্ঠা, নতুন আলো, নতুন ছায়া— ...

আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না

ছবি
  ✍️ ভূমিকা: জীবন বড়ই ক্ষণস্থায়ী। আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি, থাকি কিছুদিন, আবার হারিয়ে যাই এক নিরব অনন্তের দিকে। অথচ জীবন চলতেই থাকে—সূর্য ওঠে, পাখি গান গায়, ফুল ফোটে, আর মানুষ নতুন স্বপ্নে পথ হাঁটে। তবু কোনো এক গভীর মুহূর্তে আমাদের মনে পড়ে যায়—এই পথেও তো কেউ হেঁটে গিয়েছিল একদিন। এই কবিতাটি সেই হারিয়ে যাওয়া, চলে যাওয়া, এবং থাকবার তীব্র ইচ্ছের এক মর্মস্পর্শী স্বীকারোক্তি। “আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না” —এই পংক্তিতে যেমন সময়ের সত্য উচ্চারিত হয়েছে, তেমনি রয়েছে ভালোবাসা, আত্মঅনুধ্যান ও বেঁচে থাকাকেই উপলক্ষ্য করে যাওয়ার এক তীব্র চেষ্টা। এটি শুধুই একটি কবিতা নয়, এটি এক নিরব আলাপন—জীবনের সাথে, মৃত্যুতে হারিয়ে যাওয়া সমস্ত মুখগুলোর সাথে। 🌌 আনন্দ থাকবে, আমি থাকবো না এই পৃথিবীর আনন্দ থাকবে সারাক্ষণ, আমি থাকবো না—জীবন থামবে কোন গোপনক্ষণ। নিঃশ্বাস হলো অবিশ্বাস, থেমে যাবে যবে, আনন্দ, গান, রং-তামাশা—সব মিলাবে ভবে। সূর্য উঠবে, পাখি গাইবে ভোরের নতুন গান, আমার খালি ঘরে আর ফিরবে না কারো টান। চায়ের কাপ থাকবে, রুমালও থাকবে...

আমরা কী না খাই?

ছবি
  আমরা কী না খাই? আমরা ভাত খাই, মাছ খাই, মাংস খাই, বিস্কুট খাই, রুটি খাই, কলা খাই, ডিম খাই, মামলেট খাই, ভাজি খাই, হালুয়া খাই, পরোটা খাই, পরেরটা খাই, আমরা কী না খাই? আমরা সব খাই! আমরা বুট খাই, বাদাম খাই, চানাচুর খাই, বার্গার খাই, কেক খাই, জিলাপি খাই, নিমকি খাই, মুড়ি খাই, চিড়া খাই, খিরা খাই, কীড়া খাই, কসম খাই, আমরা কী না খাই? আমরা সব খাই! আমরা কচু খাই, লতি খাই, শিম খাই, আলু খাই, পটল খাই, বেগুন খাই, ফুলকপি খাই, বাঁধাকপি খাই, লাউ খাই, কুমড়া খাই, হামলা খাই, মামলা খাই, আমরা কী না খাই? আমরা সব খাই! আমরা পিঠা খাই, মিষ্টান্ন খাই, খই খাই, লাড়ু খাই, পায়েস খাই, সন্দেশ খাই, মিষ্টি খাই, ছানা খাই, দানা খাই, দুধ খাই, দই খাই, নদী খাই, আমরা কী না খাই? আমরা সব খাই! আমরা মাঠা খাই, ঘোল খাই, মাখন খাই, পুরি খাই, সিঙ্গারা খাই, চটপটি খাই, ফুচকা খাই, হালিম খাই, গ্রিল খাই, কাবাব খাই, গোল খাই, দোল খাই, আমরা কী না খাই? আমরা সব খাই! আমরা বেদানা খাই, কমলা খাই, পেস্তা খাই, বড়ই খাই, চড়ুই খাই, তেল খাই, বেল খাই, ঝোল খাই, আম...

দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা

ছবি
  🎭 দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা 🎭 — সমাজের ছলনাবাজ মুখোশধারীদের মুখোশ উন্মোচনের প্রতীকী কবিতা দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথা, মনে হয় যেন সুধা, হাসিমুখে ডাকে কাছে, পিছনে থাকে দুধর্ষ বুধা। চোখে চোখে স্বপ্ন বোনে, কানে কানে সুর, বুঝতে যখন চাও ওদের — তখন জ্বলে নূর! মিষ্টি ভাষার জাল বিছিয়ে নয়নে দেয় ঘোর, হৃদয় খুঁড়ে নেয় ধীরে বিনিময়ে দেয় বঁড়। মনের মাঝে রাখে চাবি, চুপে চুপে চুরি, বিশ্বাস করে যারা ওদের, হয় সর্বস্ব হরি। ভালোবাসা দেখায় মুখে, অন্তরে তেজাল ছুরি, সুযোগ পেলে কৌশলে চাপে দিয়ে যায় ধুরি। তারা কাঁদে, তারা হাসে, ভক্তি মাখা ছলে, আসলে খোঁজে স্বার্থ শুধু, ভালোবেসে নয় চলে। তাদের চোখে নকল জ্যোতি, ভবিষ্যতের ধোঁকা, ঘর পুড়িয়ে দেয় নিমিষে, মুখে বলে – "ভালো থাকো।" গুণীজনের অপমান করে, নামে আনে দোষ, নিজেকে সব জানে ভাবে, দেয় না ন্যায়ের তোষ। তাদের হাসি মুক্তার মতো, আছে বিষের ধারা, পারে যারা চিনতে না, তারা হারায় সারা। তাদের কথা মধুর স্বরে মুগ্ধ করে মন, তবু তাতে লুকিয়ে থাকে বিষাক্ত এক দহন। চোখে পড়ে চমৎকার, বক্তব্যে বড়ো ধার, ভেতরে শুধু ফাঁপা স...

নিশ্বাসের শেষ সুর

ছবি
  নিশ্বাসের শেষ সুর নিশ্বাসের শেষ সুর জীবনের মায়ায় ডুবে থাকা এই মন, বিরহের বেলায় ভেঙে পড়ে একাকীত্বের স্রোত। দেহটাকে রক্ষা করে রাখি আমি ভালোবাসার ছায়ায়, তবু স্মৃতির সাঁঝে ভেসে যায় একাকী ভাবের জোয়ার। অনেক স্বপ্ন ছিল, অনেক আশা ঝরেছিল হৃদয়ের বাগানে, যেগুলো ছুঁয়ে গিয়েছিল আকাশ। কিন্তু সময়ের নীরব হাত থামায় সব খেলায়, বাকি থাকে শুধু ব্যথা আর আঁধারের গান। মরণ যেন নীরব পথিক, কাঁধে নিঃশ্বাস বয়ে চলে, তাকে ভয় পাই, তাকে চিরকাল ভুলতে চাই না। কারণ তার এক কোলে লুকিয়ে আছে সত্যের মুখ, যেখানে শেষ হয়ে যায় সব, শুরু হয় অন্য একটি পৃথিবী। তবুও বেঁচে থাকার লড়াই চলে দিনরাত, হাসি, কান্নার মিশেলে গড়ে ওঠে জীবন-মন্ত্র। যতদিন বুকে বেঁচে আছে স্পন্দন, যতদিন চোখে জ্বলে আশা, জীবনের প্রতিটি ক্ষণ হবে এক নাচ, এক গান, এক কবিতা। নিশ্বাস থেমে যাওয়া আগে, ভালোবাসার ছোঁয়া রেখে যাবো, যা থেকে যাবে হৃদয়ে, যা ছুঁয়ে যাবে মানুষকে। এই জীবন আমার, এই মৃত্যু আমার, আর তার মাঝে বাঁধা আছে অজস্র ভালোবাসার গল্প। লেখক পরিচিতি নিতাই চন্দ্র পাল (নিতাই বাবু) একজন সাহিত্যিক ও ব্লগার, যি...

ব্যর্থ জীবন

ছবি
  ব্যর্থ জীবন কেন এই পৃথিবীতে এলাম? কার উদ্দেশ্যে এই আগমন? বেঁচে থাকবার অর্থ কি শুধুই নিঃশ্বাস নেওয়া আর মৃত্যুর অপেক্ষা করা? এত বছর কেটে গেলো— তবুও আজ নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হয়, কি করলাম আমি এই জীবনে? না পেরেছি নিজের অস্তিত্বের অর্থ খুঁজে পেতে, না পেরেছি মানুষের জীবনে আলো জ্বালাতে। জন্মের পর থেকে কেবলই ছুটেছি। কখনো জীবিকার জন্য, কখনো প্রমাণের জন্য, কখনো আপনজনের ভালোবাসা পাবার আকুতি নিয়ে। তবুও যেন কোথাও পৌঁছাতে পারিনি। শুধু কষ্ট জমেছে বুকের খাঁচায়, শুধু ঋণ বেড়েছে জীবনের কাছে। স্মৃতির খাতায় যদি চোখ রাখি, দেখি সেখানে আছে অপূর্ণতা, অসফলতার দীর্ঘ ছায়া, আর আছে কিছু অনুতাপ— যা রাতে নিঃশব্দে কাঁদিয়ে তোলে। অহংকার করেছিলাম এই দেহ নিয়ে— চেহারা, সামান্য বিদ্যা, সামান্য কিছু সম্পদ। ভেবেছিলাম, এটাই বুঝি আমার অর্জন! কিন্তু মৃত্যু এসে বলে দেবে— "তোর কিছুই তোর নয়, সবই সময়ের ধার।" এই দেহ পুড়ে যাবে চিতার আগুনে, রেখে যাবে একমুঠো ছাই আর কিছু শোকবার্তা। কারও চোখে অশ্রু নাও আসতে পারে, কারও মুখে উচ্চ...

ব্যর্থ জীবনের গল্প

ছবি
  গল্প: ব্যর্থ জীবন বিকেলটা ছিল অদ্ভুত রকমের নীরব। সূর্যটা ছিল যেন একটু তাড়াহুড়োয়, নরম আলোটা ঘরের মেঝেতে হেলে পড়ছিল ধীরে ধীরে। সোহেল উদাস চোখে জানালার বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাড়ির পাশের পুরনো আমগাছটার পাতার ফাঁকে ফাঁকে আলো এসে পড়ছে তার মুখে, আর তাতেই যেন বেদনার রংটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। ৬৩ বছর বয়স— এই জীবনে কী পেল সে? একটা চাকরি ছিল, তাও মাঝখানেই ছেড়ে দিতে হয়েছিল পারিবারিক চাপে। ব্যবসা শুরু করেছিল—হঠাৎ এক বন্ধু বিশ্বাসঘাতকতা করল। স্ত্রীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, আজ সেই স্ত্রী-ই যেন প্রতিদিন মনে করিয়ে দেয়— সে ব্যর্থ। সোহেল ধীরে ধীরে উঠলো, চুপচাপ আয়নার সামনে দাঁড়ালো। চুলে পাক ধরেছে অনেক আগেই, চোখে কালি, মুখে গাঢ় ক্লান্তি। নিজেকে দেখে তার মনে হলো, “এই আমি কি সেই সোহেল, যে একদিন স্বপ্ন দেখত—জীবনের রং পাল্টে দেবে?” সে জানালার পাশে বসে গেল। পিঠে একটা পুরনো চাদর জড়িয়ে, এক কাপ কড়া লাল চা হাতে নিয়ে ভাবতে লাগলো— “কেন এসেছিলাম এই পৃথিবীতে?” “শুধু ব্যর্থতা দেখার জন্য?” স্মৃতিগুলো একে একে ভিড় করতে লাগল ...