ঈশ্বর কি ঘর চেনে? গদ্য কবিতা (পর্ব-৪)
🪔 গদ্য কবিতা – পর্ব-৪:
ঈশ্বর কি ঘরঈশ্বর চেনে?
ঈশ্বর কি ঘর চেনে?
চেনে কি দেয়ালের রং, চেনে কি মাথার উপর ছাদ?
চেনে কি মসজিদের মিনার, মন্দিরের গম্বুজ, গির্জার ক্রুশ?
নাকি তিনি থাকেন শুধু— যেখানে মানুষ ভালোবাসে, আর বাঁচতে চায়?
আমি দেখি, অনেকেই ঘর বানায় ঈশ্বরের নামে,
তাতে লিখে রাখে— "এখানে কেবল সৎ লোকের প্রবেশ।"
কিন্তু কীভাবে বুঝবে কে সৎ আর কে নয়?
যে ক্ষুধার্তের পেটে ভাত নেই, তার পবিত্রতা কি সনদের দরকার?
তোমরা বলো, ঈশ্বর নির্দিষ্ট ঘরে থাকেন,
কেউ বলে, থাকেন উপসনালয়ে,
কেউ বলে, রথযাত্রার রশিতে,
আবার কেউ বলে, মোমবাতির আলোয়।
আমি বলি— ঈশ্বর ঘর চেনেন না,
তাঁর ঘর নেই, তাঁর ঠিকানা শুধু হৃদয়।
তিনি যখন আসেন, তখন দেয়াল ভাঙে,
ভেতরের ঘরের পাপ পরিষ্কার হয়,
আর মানুষে মানুষে মিলনের সেতু গড়ে ওঠে।
ঈশ্বর কি ঘর চেনে?
হয়তো চেনেন না, তাই প্রতিদিন
তিনি নতুন নতুন হৃদয়ে জন্ম নেন,
একেকটা করুণ মুখে,
একেকটা সাহসী মমতার ছোঁয়ায়।
— নিতাই বাবু
![]() |
নিতাই বাবু
পুরস্কারপ্রাপ্ত নাগরিক সাংবাদিক – ২০১৭। লেখালেখির শুরু শৈশবে, এখনো চলছে। 🌐 ব্লগ: নিতাই বাবু ব্লগ | জীবনের ঘটনা | চ্যাটজিপিটি ভাবনা |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
nitaibabunitaibabu@gmail.com