উন্নয়ন বিসর্জন

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দুর্মূল্যের কথা করেছি শ্রবণ 
দাম বেড়েছে চাল ডাল তেল মরিচ আলু পটল লবণ
রোজগার তো বাড়েইনি খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ এখন
দিনমজুররা সীমিত মজুরিতে খেতেও পাচ্ছে না তেমন। 

বড়লোকরা তো টেরই পায় না, তারা করে নিত্য ভ্রমণ
কেউ যায় সিঙ্গাপুর, কেউ আমেরিকা, কেউ যায় লন্ডন
দ্রব্যাদির দাম যতই বাড়ুক, তারা করে রাজকীয় ভোজন
ইলিশ মাছ ভাজা, রুই মাছের ঝোল, মাংসও থাকে কমন।

দুর্মূল্যের জাঁতা কলে মরছে দেশের যতো গরিব জনগণ
নুন আনতে ফুরোয় পান্তা, দেখা যায় গ্রাম শহরে এমন
আগে গরিবেরা খেতো আটার রুটি, ধনীরা হাসতো তখন
সেই আটা গরিবের হাত ছাড়া, ধনীরাই খায় যখন-তখন। 

দুর্মূল্যের বাজারে সবকিছু বদলে হয়েছে পরিবর্তন 
গরিবের ফুটপাতে ভিড় জমায় শহরের নামি মহাজন
রিকশাওয়ালাকে ছোটলোক বলতো কতো বিশিষ্টজন
এখন তারাই চশমা পরে রিকশা চালায় রাত হয় যখন। 

ডাস্টবিনে ফেলা পচা খবর খেয়ে যারা বাঁচাতো জীবন 
সেই ডাস্টবিনে খাবার না পেয়ে হচ্ছে অনেকেরই মরণ
৭৪-এর দুর্ভিক্ষে আটার জাউ গরিবরা করেছিল ভক্ষণ 
দুর্মূল্যের এই নীরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মরছে কতোজন?

মন্ত্রী বলে প্রতিদিন তিনবেলা মাংস খেতে পারে প্রতিজন
সরেজমিনে দেখা যায় দুবেলা ভাতই পায় না মানুষজন
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে কচুরিপানা খেতে দিচ্ছে ভাষণ 
সয়াবিনের পরিবর্তে বাদাম তেল খেতে বলছেও এমন।

কিন্তু হায়! এসব কি পারা যায়? হে রাষ্ট্রীয় গুণীজন 
সিন্ডিকেট রুখতে হবে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আছেন যতক্ষণ
একদিকে দুর্ভিক্ষের হাতছানি অন্যদিকে হচ্ছে উন্নয়ন
দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে না পারলে শত উন্নয়ন বিসর্জন। 

প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক 
লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন। 

নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার,
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
০৯/০৫/২০২৩ইং।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমার শৈশবের বন্ধু— শীতলক্ষ্যা

একটি মাঠ; হাজারো প্রাণের স্মৃতি

মা নাই যার, সংসার অরণ্য তার