পোস্টগুলি

কবি লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবির মন

ছবি
কবির মন, শুধু ভাবে কী যে লিখি এখন কারণে আর অকারণ, রাতদিন যখন-তখন, বিচলিত কবির মন, কী লিখবে যে কখন ঘুমহীন চোখে, কবি ভাবে বসে সর্বক্ষণ! কবির মন, স্রষ্টার সৃষ্টি নিয়ে ভাবে কীভাবে হয়েছিল শুরু, শেষ হবে কীভাবে? কী কথা ছিলো, আর কী করছি ভবে যখন যাবো চলে, তখন কী হবে? কবির মন, ভাবে সুন্দর কেন প্রকৃতি  বিশাল এই পৃথিবী, গোলাকার তার আকৃতি, সাগর-নদী, বন-জঙ্গল, ফল-মূল প্রবৃত্তি  পাহাড়-পর্বত, আকাশ-বাতাস, বসুমতী! কবির মন, ভাবনা পাখিরা কেন গায় কষ্ট ওদের, বাসাটা যখন ঝড়ে উড়ে যায়, শত কষ্ট ভুলে গিয়ে আবার বাসা বানায়  সারাদিন উড়ে বেড়ায়, নীড়ে ফিরে সন্ধ্যায়!  কবির মন, ভাবনা দেশ জাতি ও ধর্ম সকলেই তো ধর্মানুরাগী, তবু কেন অপকর্ম? বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ধর্ম দোষের কী? ধর্মানুসারীরা জানে ধর্মের মর্ম! কবির মন, জীবের জীবন নিয়ে ভাবে পৃথিবীতে কি করে চলছে, কে কীভাবে? কেউ খাচ্ছে, কেউ মরছে, চলছে এভাবে তবুও থামেনি সময়, সময় এভাবেই যাবে! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ। 

স্মৃতির আল্পনা

ছবি
কোথায় যে হারিয়ে গেলো সেই সোনালী দিন, ঝোলাবাতি গোল্লাছুট খেলা খেলে কেটে যেতো সারাদিন।  বিকালে আমরা জড়ো হতাম ছোট একটা মাঠে, খেলা শেষে দৌড়ে যেতাম  ঐ নদীর ঘাটে। সাঁতার কেটে পাড়ি দিতাম ঐ খরস্রোতা নদী, সাঁতরে যেতাম ভয়ভয় মনে কুমিরে ধরে যদি! কারোর হাতে যদি দেখতাম সেকালের ক্যামি ঘড়ি, অবাক চোখে তাকিয়েই থাকতাম ফিরতাম না বাড়ি! যদি দেখতাম কেউ-না-কেউ বাজাচ্ছে এফএম রেডিও, সারাদিন শুনতাম রেডিওর গান ক্ষুধায় মরতাম যদিও! বাবার সাথে বাজারে গিয়ে ধরতাম কতো বায়না, বাবুল বিস্কুট তক্তি বিস্কুট  কেন কিনে দেয়না? অভাবী বাবা বিরক্তি মনে দিতেন পকেটে হাত, দিতেন মাত্র দশ পয়সা  তাতেই হতো বাজিমাত! পাচ পয়সার বাবুল বিস্কুট  পাচ পয়সার তক্তি, খুশিতে হাঁটতাম আর খেতাম  করতাম বাবাকে ভক্তি! আর কি আসবে ফিরে সেই সোনালী দিনগুলো, জানি আসবেনা ফিরে সেদিন  তবুও আঁকি স্মৃতিগুলো! নিতাই বাবু: নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ০২/০৫/২০২৩ইং। ছবি নিজের তোলা। এলাকার বাদশা মিয়া।