পোস্টগুলি

কদম রসূল দরগাহের ইতিহাস ও কিছু শোনা কথা

ছবি
              কদম রসূল দরগাহ বন্দর নবীগঞ্জ।  একসময় আমাদের বাসস্থান ছিল নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানাধীন লক্ষ্মণখোলা আদর্শ কটন মিলস্ অভ্যন্তরে। তাই কোনোএক সময় কদম রসূল দরগাহ'র বাৎসরিক ওরশ উপলক্ষে যেই মেলা বসে, সেই মেলায় ঘুরতে যেতাম। কদম রসূল দরগাহ'র ওরশ উপলক্ষে মেলায় গিয়েই প্রথমে যেতাম, দরগাহ অভ্যন্তরে থাকা কদম রসূল নামে কালো পাথর দেখতে। দেখতে গিয়ে পায়ের ছাপযুক্ত কালো পাথরটি ছুঁয়ে ভক্তি করতাম। তারপর হাত পেতে থাকতাম পাথর থেকে ঘামানো দুই-তিন ফোঁটা জলের জন্য। খাদেম সাহেব হাতের তালুতে দুই-তিন ফোঁটা জল দিলে তা চুমু দিয়ে খেতাম, মাথায় মাখতাম। তারপর হতো মেলায় ঘুরাঘুরি। এ ছোটবেলার কথা। তারপর যখন হাঁটি হাঁটি পা পা করে বড় হলাম, তখন লোকমুখে শুনতাম এই কদম রসূল দরগাহ নিয়ে নানারকম কাহিনী।  কদম রসূল দরগাহ নিয়ে লোকমুখে যা শোনা যেতো, তা হলো এরকম: অনেকেই বিশ্বাস করে, পবিত্র দরগাহ'টি গায়েবি উঠেছিল।  কিন্তু তা কীভাবে? ❝শোনা যায়, একদিন রাতভোর হতে-না-হতেই মজমপুর (বর্তমান কদম রসূল) গ্রামের মানুষ এই  দরগাহ শরিফটি দেখতে পায়। তাই অনেকের ধারণা এটি আল্লাহতাও...

শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কালের সাক্ষী হয়ে ভেসে আছে ভাসমান ডকইয়ার্ড

ছবি
ভাসমান ডকইয়ার্ড, বন্দর, চৌরাপাড়া, নারায়ণগঞ্জ।   শীতলক্ষ্যা একটি নদীর নাম। যা নারায়ণগঞ্জ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলছে, যুগযুগ ধরে। স্বচ্ছ পানির জন্য সুনাম অর্জনকারী শীতলক্ষ্যা নদী বঙ্গদেশের সবার কাছেই পরিচিত। স্বচ্ছ পানির সুনাম বর্তমানে না থাকলেও, নদীর দুই পাড় নিয়ে সুখ্যাতি আজও অখ্যাত রয়ে গেছে।  শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে রয়েছে প্রচুর মিল-ইন্ডাস্টি, ব্যবসা বাণিজ্য সহ আরও অনেককিছু। এসব নিয়ে লিখে শেষ করা যায় না। তাই আর কিছু লিখলামও না। লিখতে চাই শীতলক্ষ্যা নদীর পানির উপরে ভেসে থাকা বি.আই.ডব্লিউ. টি.সি'র ভাসমান ডকইয়ার্ড নিয়ে। এই ভাসমান ডকইয়ার্ডটিও প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসের একটা ঐতিহ্য। যা যুগযুগ ধরে শীতলক্ষ্যা নদী, আর নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য বহন করে চলছে। এই ভাসমান ডকইয়ার্ডটি পানিতে চলাচলকারী জাহাজ, লঞ্চ-ইস্টিমার, কার্গো, ট্রলার সহ আরও বহুরকম নৌযান মেরামত করার সময়োপযোগী স্থান।  আমরা সবাই সচরাচর দেখি ডকইয়ার্ড থাকে, নদীর পাড় ঘেঁষা খোলা জায়গায়। কিন্তু এটি নদীর পাড় ঘেঁষা কোনও খোলা জায়গা বা ভূমিতে নয়! এটি হলো পানির উপরে ভাসমান (ভেসে থাকা) অবস্থায়। নদীতে চলাচলকারী নৌযা...

দুনিয়ার স্বর্গ-নরক

ছবি
              ছবি ও এডিটিং নিজের।  দুঃখ থেকে কান্না আসে সুখ থেকে হাসি, বেশি দুঃখে বুক ছাপড়ায়  আনন্দে বাজায় বাঁশি!  খাবার যদি না থাকে ঘরে ক্ষুধা বাড়ে অকারণ, পকেটে যদি না থাকে কড়ি জীবন থাকতেও হয় মরণ।  সংসারের অশান্তি নরক যন্ত্রণা  থাকুক যতই ধনসম্পত্তি, টাকা-পয়সায় বাড়ায় বিলাসিতা  অশান্তিতে ভুগে দম্পতি।  দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্ট নরক যন্ত্রণা  ধনসম্পত্তিতে শান্তি হয়না, জীবদ্দশায় যদি না পায় শান্তি  স্বর্গেও শান্তি মেলেনা।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।   ০৯/০৫/২০২৩ইং।

অযত্নে অবহেলায় দাড়িয়ে আছে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ কেল্লা।

ছবি
                ছবি ও এডিটিং নিজের। প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জে রয়েছে মোগল আমলের অনেক স্থাপনা। তারমধ্যে একটি হলো হাজীগঞ্জ  দুর্গ বা হাজীগঞ্জ কেল্লা। মোগল স্থাপত্য কেল্লাটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১৪.৬৮ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।    এটি নারায়ণগঞ্জ থেকে চিটাগাং রোড যেতে মাঝপথে নবীগঞ্জ গুদারা ঘাটের একটু সামনেই, হাজীগঞ্জ ফায়ার ব্রিগেডের পরই হাজীগঞ্জ কেল্লাটির অবস্থান। কোনো একসময় এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও সবার কাছে পরিচিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ সিটির  হাজীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরেই এই ঐতিহ্যবাহী কেল্লাটি অযত্নে অবহেলায় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।  নারায়ণগঞ্জ-চিটাগাং রোড ভায়া ডেমড়া আসা-যাওয়ার পথিমধ্যে এই কেল্লাটি সবার চোখে পড়ে। দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে এই কেল্লাটির চারপাশে গড়ে উঠেছিল টিনসেট পাটের গোডাউন। সেসময় নারায়ণগঞ্জ পাট ও বস্ত্রশিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল।  এখন সেই নাম-কাম না থাকলেও, কেল্লাটির চারপাশে কিছুকিছু দখলদারি স্থাপনা এখনো দিব্বি  রয়ে গেছে। এসব দখলদারি স্থাপনাগুলোর জন্য মোগল আমালের...

অভাবে স্বভাব নষ্ট

ছবি
              ছবি নিজের এডিটিং করা। সংসারে যদি থাকে অভাব  বলে তাকে অভাবী, অভাবে হয় স্বভাব নষ্ট  হয় সে দুশ্চরিত্র স্বভাবী।  অভাব নাই যার ঘরে সুখ তার সংসারে, সুখী সংসারেও লাগে আগুন  জ্বলে-পুড়ে মরে। যার নাহয় স্বভাব নষ্ট  হয়না তার কষ্ট, যদিও থাকে না খেয়ে সে থাকে সুস্থ পরিপুষ্ট। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৯/০৫/২০২৩ইং।

দুখী মানব

ছবি
দুখী আমি অভাগা আমি লোকে বলে আমি ভিখারি, ভিক্ষুক চাইলে দেয়না ভিক্ষা  তারাই নাকি এই সমাজে হাজারী।  দিনমজুর আমি অভাবী আমি লোকে বলে আমি নাকি দুখী, পরের ধন খায় লুটেপুটে  তারাই নাকি এই সমাজে চিরসুখী।  কাঙাল আমি জঞ্জাল আমি এই সমাজের মানুষের কাছে, কাঙালিদের খাবার কেড়ে খায় তারাই নাকি থাকে ক্ষমতার আগে-পাছে। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৯/০৫/২০২৩ইং।

মায়ের ভালোবাসা

ছবি
মায়ের ভালোবাসা এমনই হয়, সন্তানে মুখে খাবার তুলে দিয়ে নিজেই না খেয়ে রয়! মায়ের দায়িত্ব এমনই হয়, শত দুঃখ-কষ্ট আপদ-বিপদেও সন্তানকে বুকে ধরে রয়! মায়ের ভুমিকা এমনই হয়, কখন যে আসবে ঝড়তুফান  সেদিকে কান পেতে রয়! মায়ের আশা এমনই হয়  সন্তানকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে তুলে লয়! মায়ের ঋণ শোধরাবার নয়, সন্তানের শরীরের চামড়া দিয়েও যদি মায়ের পায়ের জুতো বানানো হয়।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।