পোস্টগুলি

দুখী মানব

ছবি
দুখী আমি অভাগা আমি লোকে বলে আমি ভিখারি, ভিক্ষুক চাইলে দেয়না ভিক্ষা  তারাই নাকি এই সমাজে হাজারী।  দিনমজুর আমি অভাবী আমি লোকে বলে আমি নাকি দুখী, পরের ধন খায় লুটেপুটে  তারাই নাকি এই সমাজে চিরসুখী।  কাঙাল আমি জঞ্জাল আমি এই সমাজের মানুষের কাছে, কাঙালিদের খাবার কেড়ে খায় তারাই নাকি থাকে ক্ষমতার আগে-পাছে। প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।  ০৯/০৫/২০২৩ইং।

মায়ের ভালোবাসা

ছবি
মায়ের ভালোবাসা এমনই হয়, সন্তানে মুখে খাবার তুলে দিয়ে নিজেই না খেয়ে রয়! মায়ের দায়িত্ব এমনই হয়, শত দুঃখ-কষ্ট আপদ-বিপদেও সন্তানকে বুকে ধরে রয়! মায়ের ভুমিকা এমনই হয়, কখন যে আসবে ঝড়তুফান  সেদিকে কান পেতে রয়! মায়ের আশা এমনই হয়  সন্তানকে লেখাপড়া শেখানোর জন্য ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে তুলে লয়! মায়ের ঋণ শোধরাবার নয়, সন্তানের শরীরের চামড়া দিয়েও যদি মায়ের পায়ের জুতো বানানো হয়।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৮/০৫/২০২৩ইং।

পাঁচ বালতি জমি

ছবি
পাঁচ বালতি জমি আমার পরের বাড়ি থাকি, জমিতে করেছি ফুলের চাষ ধান থাকলো বাকি। আস্তেধীরে চাষ করবো সব আলু পটল বেগুন, এসবের নাকি ফলন ভালো  দামেও চড়া দ্বিগুণ। পাঁচ বালতি জমিতে আমার তুলসী দেখায় শোভা,  তুলসী লাগে দেব পূজায়  ফুলও লাগে জবা। একটা গাছে ফুটেছে রক্তজবা  আর একটায় কামিনী,  তা দেখে সবাই খুশি  খুশি মোর অর্ধাঙ্গিনী। প্রিয় পাঠক, লেখা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু, নাগরিক সাংবাদিক ও ব্লগার, ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ। ০৯/০৫/২০২৩ইং।

হে জাতির পিতা

ছবি
হে জাতির পিতা,  আমি যদি শিল্পী হতাম, তোমার ছবি এঁকে রাখতাম! দেয়ালে দেয়ালে তোমার ছবি আঁকতাম,   ছবিগুলো দেখে রাখতে অনুরোধ করতাম। যাদুঘরে মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করে রাখতাম, জনমে জনমে মনের মনিকোঠায় রেখে দিতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি কবি হতাম! তোমার নামে কবিতা লিখতাম, আমার সোনালী ডায়রিতে লিখে রাখতাম! কবিতার বই ছাপিয়ে সবাইর হাতে দিতাম, তোমার নাম কাগজে লিখে বাতাসে ওড়াতাম! হে জাতির পিতা,  আমি যদি ইতিহাসবিদ হতাম!  তোমার নামে ইতিহাস রচনা করতাম, তুমি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তা লিখতাম।  জীবনভর শুধু তোমার ইতিহাসই লিখে যেতাম, পৃথিবীর বাইরে থাকা ভিনগ্রহেও প্রচার করতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি হিমালয় হতাম! পর্বতের চূড়ায় পদ্মাসনে বসাতাম, তোমাকে আমার দেবতা মেনে পূজা করতাম! আমার মন মন্দিরে তোমার ছবি টাঙিয়ে রাখতাম, সকাল-সন্ধ্যা-রাতে তোমার ছবিতে ফুল ছেটাতাম।  হে জাতির পিতা,  আমি যদি বিচারক হতাম! তোমার হত্যাকারীদের শাস্তি দিতাম, ১৫ আগস্টে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতাম! দুষ্টু মদতদাতাদের বিচারের আওতায় আনতাম, বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাকারীদের ...

অশান্ত মন

ছবি
অশান্ত এই মন  করে শুধু বনবন  ভাবে বসে সারাক্ষণ কী করি এখন?  দিতে চায় ওজন  সেরে সেরে মণ মেলে না যখন গোলমাল বাধে তখন! ভাবতে হয় ভীষণ হিসাব নেবে মহাজন  মেলাবে কে এখন সময়ও নেই বেশিক্ষণ! তবুও ভাবে কিছুক্ষণ  ফাঁকি চলে কতক্ষণ  হাতে সময় অল্পক্ষণ  কী হবে যে কখন! কে আছে আপন  কোথায় আপনজন প্রিয়জন পরিজন আত্মীয়স্বজন বন্ধুগণ কাছে নেই স্বজন।  বিপদে বন্ধুর লক্ষণ ক্ষুধায় উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ  লোভে কুমন্ত্র গ্রহণ  বিশ্বাসে মন্ত্র শ্রবণ।  এমনি করে কতোজন  ভাগ্যে সিংহাসনে আহরণ  জোটে ক্ষমতার আসন ময়দানে বক্তৃতা ভাষণ। বনে যায় রাবণ কাঁপায় রাজনীতির অঙ্গন  দুর্নীতিতে গড়ে বিলাসভবন  চামচিকা করে তৈলমর্দন।  এভাবেই চলছে ভূবণ  মরছে দেশের জনসাধারণ  চালিয়ে যায় আন্দোলন নিশ্বাস থাকে যতক্ষণ।  হোক না মরণ চলুক দমন পীড়ন  করবো না পলায়ন প্রভুকে করবে স্মরণ!  একজন দুইজন তিনজন  ক্ষমতায় আসে যতজন  তারাই করছে ভোজন  কে আছে আস্থাভাজন?  মেলেনা মনের মতন  এমনই হিসাবের ধরন  বোধহয় জীবনটা রণাঙ্গন...

উন্নয়ন বিসর্জন

ছবি
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দুর্মূল্যের কথা করেছি শ্রবণ  দাম বেড়েছে চাল ডাল তেল মরিচ আলু পটল লবণ রোজগার তো বাড়েইনি খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ এখন দিনমজুররা সীমিত মজুরিতে খেতেও পাচ্ছে না তেমন।  বড়লোকরা তো টেরই পায় না, তারা করে নিত্য ভ্রমণ কেউ যায় সিঙ্গাপুর, কেউ আমেরিকা, কেউ যায় লন্ডন দ্রব্যাদির দাম যতই বাড়ুক, তারা করে রাজকীয় ভোজন ইলিশ মাছ ভাজা, রুই মাছের ঝোল, মাংসও থাকে কমন। দুর্মূল্যের জাঁতা কলে মরছে দেশের যতো গরিব জনগণ নুন আনতে ফুরোয় পান্তা, দেখা যায় গ্রাম শহরে এমন আগে গরিবেরা খেতো আটার রুটি, ধনীরা হাসতো তখন সেই আটা গরিবের হাত ছাড়া, ধনীরাই খায় যখন-তখন।  দুর্মূল্যের বাজারে সবকিছু বদলে হয়েছে পরিবর্তন  গরিবের ফুটপাতে ভিড় জমায় শহরের নামি মহাজন রিকশাওয়ালাকে ছোটলোক বলতো কতো বিশিষ্টজন এখন তারাই চশমা পরে রিকশা চালায় রাত হয় যখন।  ডাস্টবিনে ফেলা পচা খবর খেয়ে যারা বাঁচাতো জীবন  সেই ডাস্টবিনে খাবার না পেয়ে হচ্ছে অনেকেরই মরণ ৭৪-এর দুর্ভিক্ষে আটার জাউ গরিবরা করেছিল ভক্ষণ  দুর্মূল্যের এই নীরব দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মরছে কতোজন? মন্ত্রী বলে প্রতিদিন তিনবেলা মাংস খেতে পা...

বাংলার পাট শ্রমিক

ছবি
তারা বাংলার পাট শ্রমিক,  শ্রম দিয়ে পায় পারিশ্রমিক,  শরীরের ঘাম ঝরায় দৈনিক,  তারা জীবন যোদ্ধা সৈনিক।  তাদের শ্রমের মূল্য যতসামান্য,  তবুও যা পায় তাতেই হয় ধন্য, বেশি পাবার আশা খুব সামান্য,  আশায় থাকেও না বেশির জন্য। শ্রমজীবীরা পারিশ্রমিক পেলেই খুশি, সবসময়ই থাকে মুখে হাসি, যদিও খায় পান্তা পচা বাসি, তবুও অল্পতেই হয় মহাখুশি।  ছবি: বাংলাদেশ সমবায় শিল্প সংস্থা জুট প্রেস থেকে তোলা।  প্রিয় পাঠক, কবিতা পড়ে ভালো লাগলে দয়াপূর্বক  লাইক/কমেন্ট ও শেয়ার করে বাধিত করবেন।  নিতাই বাবু: ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, সোনেলা ব্লগ ও শব্দনীড় ব্লগ।   ০৯/০৫/২০২৩ইং।